
black box
ব্ল্যাক বক্স black box কি যাবে আমেরিকায় America এআই ১৭১-এর দুর্ঘটনার তদন্তে এ বারে ব্ল্যাক বক্স, ফ্লাইট ভয়েস রেকর্টার এবং তীব্র আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিডিআর) পাঠানো হবে আমেরিকায়। সেখানে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে একটি ল্যাবরেটরিতে যন্ত্রগুলিকে পরীক্ষা করা হবে এবং সেগুলিতে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে বলে সূত্রের খবর। দুর্ঘটনায় তদন্তকারী ভারতীয় আধিকারিকেরাও আমেরিকায় যাবেন।
ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার করা গেলে, তা ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে দেওয়া হবে বলেও খবর। ওই কাজে কয়েক মাস লাগতে পারে। যদিও, বিমান পরিবহণ মন্ত্রক তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য তিন মাস ধার্য্য করেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন এক বার্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি বিমান পরিষেবায় যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং বিমানের দুই পাইলটের একত্রে ১৩ হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল। সূত্রের খবর, আমদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রিমলাইনার বিমানটির ডান দিকের ইঞ্জিনের খোলনলচে বদল করা হয় গত মার্চ মাসে। এপ্রিলে বাঁ দিকের ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়। ওই বিমানের দুটি ইঞ্জিনই নিয়মিত নজরদারির আওতায় ছিল। সমস্যাও ধরা পড়েনি। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে ৩৩টি বোয়িং উড়ানের মধ্যে ২৬টি খুঁটিয়ে পরীক্ষার পরে যাত্রী পরিবহণের জন্য নিরাপদ বলে জানানো হয়েছে।
অন্য বিমানগুলির পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে, আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের আশপাশে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে কোনও ভবন বা পরিকাঠামো নির্মাণের উপর রাশ টানতে চলেছে বিমান মন্ত্রক। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি নতুন খসড়া বিধিমালাও প্রকাশ করেছে তারা। বিমান (ভবন ও গাছ ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট বাধা অপসারণ) বিধিমালা, ২০২৫ জারি করে বিমান মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুযান অধিনয়ম, ২০২৪’ লঙ্ঘন করে বিমানবন্দরের আশপাশে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে নির্মিত যে কোনও ভবন ভেঙে দেওয়া হবে।
বলা হয়েছে, কোনও ভবন বা গাছের ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করলে নিকটবর্তী এরোড্রোমের অফিসার ইন চার্জ সংশ্লিষ্ট মালিককে নোটিস পাঠাবেন এবং ডিজিসিএ-কে জানাবেন। ডিজিসিএ-ও ওই ভবন বা গাছের মালিককে নির্দেশ পাঠাবে। সেই নির্দেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে আপত্তিজনক ভবনের নকশা ও অন্যান্য বিশদ বিবরণ জমা দিতে হবে। নচেৎ এরোড্রোমের জমা দেওয়া তথ্যই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়া হবে।
তার পরে ভবনের মালিকের তথ্য যাচাই করে ভবনটি ভেঙে ফেলা বা তার উচ্চতা কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গাছের ক্ষেত্রেও একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভবনের মালিক অবশ্য আদেশের বিরুদ্ধে আর্জি জানাতে পারবেন। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে গত বুধবার মধ্যমগ্রাম পুরসভায় বেশ কিছু কাঠামো, গাছ ইত্যাদি নিয়ে সমস্যার কথা জানান এক দল আধিকারিক।
পুরসভা ওই সমস্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার যান্ত্রিক সমস্যায় কলকাতা বিমানবন্দরের টরম্যাক থেকে একটি আগরতলাগামী বিমান ফিরিয়ে আনা হয়। ওই বিমান রানওয়ের দিকে যাওয়ার পথেই বিপত্তি নজরে আসায় পাইলট বিমান নিয়ে ফিরে আসেন বলে খবর। এ দিনই ইন্ডিগো সংস্থার একটি উড়ান দিল্লি থেকে লেহ যাওয়ার পথে সমস্যার কারণে ফিরে আসে বলে খবর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।