:উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করল। এবার যুদ্ধে ব্যবহার হওয়া মাঝারি পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রও ব্যবহার হল মণিপুরের হিংসায়। গত ১৬ মাস ধরে চলা মণিপুর হিংসায় সরকারী হিসেবে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২২৫ ছাড়িয়ে গেল। তবে স্থানীয়দের দাবি, মণিপুরে হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশী। এদিন বিকেলে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইম্ফলে রাজভবনে যান।
এরপর জোর জল্পনা চলছি অবশেষে হয়তো ইস্তফা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে দেন। এবং সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠাবেন। মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবির জোরালো হতে শুরু করলেও মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শান্তি ফেরানোর দিকে জোর দিলেন। এদিন, শনিবার সকালে মণিপুরে জঙ্গি হামলায় একজন নিহত হন ৷
পরে পাহাড়ের উপর দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে চারজন নিহত হয়েছেন ৷ ·গতকাল, মণিপুরের বিষ্ণুপুরের মোইরাঙে লোকালয় লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক প্রবীণ। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। দেখুন ইস্তফা জল্পনা উড়িয়ে দিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ।
গত এক সপ্তাহ ধরে মণিপুরে জঙ্গি নাশকতার জেরে তটস্থ কেন্দ্রীয় বাহিনী। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালিয়ে জঙ্গি আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জঙ্গি ডেরার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায় মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয় বলে খবর। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্যেই জিরিবাম (Jiribam) জেলায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়ায়।
রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে নিহত পাঁচজন। গণেশ চতুর্থীর সাত সকালে বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর এলাকায় শনিবার গোলাগুলির পাশাপাশি বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। বিষ্ণুপর জেলার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন এই হামলা হয়।