totaka পরিশ্রম না করলে জীবনে সফল হওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সব মানুষই চেষ্টা করেন জীবনে কি ভাবে বড় হওয়া যায় এবং সাফল্য অর্জন করা যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যথেষ্ট পরিশ্রম করা সত্ত্বেও বার বার অসাফল্য আসে এবং নিরাশ হতে হয়। সুখী ও বিলাসিতা পূর্ণ জীবনযাপনের জন্য আর্থিক উন্নতির প্রয়োজন পড়ে। তাই আমরা প্রত্যেকে উন্নত ভবিষ্যৎ ও কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট থাকি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন একটি পরিস্থিতি আসে, যখন আমরা কাঙ্খিত সাফল্য লাভ করতে পারি না।
অনেকে রক্ত জল করা পরিশ্রম সত্ত্বেও সফল হতে পারেন না। এমন পরিস্থিতেত ধীরে ধীরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে শুরু করি আমরা। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র এই অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের সাহায্য করেছে। জ্যোতিষে উল্লিখিত কিছু উপায়ের মাধ্য়মে এই হতাশা ও অবসাদপূর্ণ জীবন কাটিয়ে ওঠা যাবে। নিরাশার হাত থেকে বাঁচতে করুন এই সব totaka টোটকা।
গণেশের পুজো যে সব ঠাকুরের পুজোর আগে করতে হয় এটা আমরা সকলেই জানি। এ ছাড়া যে কোনও শুভ কাজ বা যে কোনও জায়গায় বেরনোর আগে যদি গণেশ মন্ত্র জপ করা হয় তা হলে সাফল্য আসে খুব দ্রুত। প্রথমে গণেশ মন্ত্র জপ করে চার পা পিছিয়ে তার পর যে কোনও কাজ শুরু করতে হয়।
• হিন্দু ধর্ম অনুসারে মনে করা হয় মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে নানা বিপত্তির অবসান হয়ে যায়। তাই জীবনে সাফল্য পেতে এই মন্ত্র দিনে অন্তত ২১ বার জপ করতে হবে।
গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করলেও সমান ফল পাওয়া যায়।
• কালো সুতো মানুষকে নানা বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। কিছুটা কালো সুতো নিয়ে তাতে নিজের বয়সের সমান সংখ্যক গিঁট দিতে হবে এবং তুলসী পাতার রসে ভিজিয়ে বাহুতে বেঁধে নিতে হবে। একটানা ২১ দিন এই কালো সুতো নিজের হাতে রাখলে সব রকম বাধা জীবন থেকে কেটে যাবে।
• জীবনে যদি বার বার অসাফল্য আসে তা হলে হাতে বানানো রুটি কুকুরকে খাওয়ান কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে।
প্রতিদিন সকালে কাককে ভাত খাওয়ান। এই উপায় করলে জাতকের ওপর থেকে শনির অশুভ প্রভাব দূর হবে। বৈদিক জ্যোতিষে শনিকে কর্মফল দাতার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ব্যক্তির কর্মের অনুরূপ ফল প্রদান করেন শনি। কর্মপ্রধান গ্রহ হওয়ায় আমাদের প্রত্যেকের কেরিয়ার ও পেশার ওপর শনির প্রভাব থাকে। কাক শনির বাহন। তাই কাককে ভাত খাওয়ালে শনি তুষ্ট হবেন এব সুফল প্রদান করবেন।
চাকরি পাচ্ছেন, কিন্তু তা খুব বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না? কোনও না-কোনও কারণে চাকরি হাত ছাড়া হচ্ছে? আবার চাকরির খোঁজে বেরিয়েও মনোনুকূল ফলাফল পাচ্ছেন না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে গায়ত্রী মন্ত্র ও মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত। কমপক্ষে ৩১ বার এই মন্ত্র দুটি জপ করলে সুফল পাবেন। প্রতিদিন এই মন্ত্র জপ করলে মনস্কামনা পূর্ণ হবে। পাশাপাশি চাকরি লাভের পথে আগত বাধাও দূর হবে।
জ্যোতিষে সূর্যকে গ্রহের অধিপতি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সূর্য চাকরি, সরকারি চাকরি, উচ্চপদ, প্রশাসনিক পদের কারক গ্রহ। তাই কর্মজীবনে স্থায়ীত্ব ও উন্নতির জন্য সূর্যের উপাসনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে উঠে সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দিন। তামার লোটায় জল নিয়ে তাতে গুড় ও লাল চন্দন মেশান। সেই জল দিয়ে সূর্যকে অর্ঘ্য দেবেন। এ সময় ওম সূর্যায় নমঃ মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। এই উপায় কেরিয়ার ও চাকরির জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।
হিন্দু শাস্ত্রে সকালে উঠে সবার আগে নিজের হাত দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। জ্যোতিষ মতে প্রতিদিন এই কাজ করলে ব্যক্তি অর্থ লাভ করতে সফল হন। শাস্ত্র মতে আমাদের হাতেই লক্ষ্মী, সরস্বতীর বাস। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাত দেখলে অর্থের পাশাপাশি বুদ্ধি অর্জন করা যায়। সকালে নিজের হাত দেখার পর এই শ্লোকটি পাঠ করবেন। এটি হল– করাগ্রে বসতে লক্ষ্মী, কর মধ্যে সরস্বতী, করমূলে তু গোবিন্দম, প্রভাতে কর দর্শনম।
গণেশকে বিঘ্নহর্তা বলা হয়। জীবনে সাফল্যের পথে বাধা এলে গণেশের পুজো করুন। কেরিয়ারে সাফল্য ও বাধা মুক্তির জন্য গণেশের বীজমন্ত্র পাঠ করার কথা বলা হয়। শাস্ত্র মতে গণেশের বীজ মন্ত্রটি হল ‘গং’। গণেশের আশীর্বাদ লাভ করার জন্য এর সঙ্গে যুক্ত মন্ত্র ওম গং গণপতয়ে নমঃ জপ করা অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী। এর ফলে আর্থিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করা যাবে। কোনও ব্যক্তি যদি বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাফল্য লাভ করতে না-পারে, তা হলে এই মন্ত্র জপ করতে পারেন।