
Kolkata
কলকাতায় Kolkata বিধ্বংসী আগুনে মৃত ১৫ । বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির ৬ তলা হোটেলে বিধ্বংসী আগুন Kolkata। জোড়াসাঁকো থানা এলাকা পড়ে ওই হোটেল। হোটেলটির নাম ঋতুরাজ হোটেল। সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে পৌনে ৮টা নাগাদ আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫। তাঁদের মধ্যে আনন্দ পাসোয়ান নামে এক জন আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে Kolkata মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মৃতের তালিকায় রয়েছে দুই শিশুও। প্রবল ধোঁয়ার জেরে কার্যত হোটেলটি ‘গ্যাসচেম্বার’-এ পরিণত হয়। যার ফলে হোটেলের ভিতরে দমকল কর্মীরা ঢুকতে পারছিলেন না। তাঁরা মই দিয়ে চার ও পাঁচ তলার ঘরের জানলা ভেঙে সেখানে দিয়ে হোটেলের ভিতর প্রবেশ করেন। হোটেলে যাঁরা আটকে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রবল ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন বলে খবর।
আগুনের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন হোটেলের ছাদে আশ্রয় নেন। তাঁরা মোবাইলের ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে সঙ্কেত দেন বহু মানুষ। প্রাণে বাঁচতে হোটেলের উপর তলায় কার্নিসে এসে দাঁড়ান। সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছাদে আটকে পড়াদের ল্যাডারে করে পাশের বাড়ির ছাদে নামানো হয়। দমকলের মই করে নিচে নামিয়ে আনা হয় আবাসিকদের কয়েকজনকে। ঘটনাস্থলে রাতেই আসেন নগরপাল ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। হোটেল থেকে অনেককেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় RG কর, NRS ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
৬ নম্বর মদনমোহন বর্মন স্ট্রিটের এই ঋতুরাজ হোটেলের একতলায় দোকান ও গুদাম রয়েছে। ওপরের অংশে হোটেল। হোটেলের ৪৭টি ঘর রয়েছে। হোটেলের কর্মী সংখ্যা ৬০ জন। ৪২টি ঘরে ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। প্রাণ বাঁচাতে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে মৃত্যু হয় একজনের। কেউ কেউ ছাদের কার্নিস থেকে পড়ে যান। সিঁড়ির কাছেও অনেকের দেহ মেলে। স্থানীয়দের দাবি, রাত সোয়া ৮টা নাগাদ একতলার রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রের খবর ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দম আটকে আর ১ জন প্রাণ বাঁচাতে নিচে ঝাঁপ দিতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রবল ধোঁয়ার জেরে দমবন্ধ হওয়ায় বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা, জানিয়েছেন নগরপাল।মঙ্গলবার সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা, তার উপর হোটেলে আবাসিক ভর্তি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। ঢোকা-বেরনোর একটাই সিঁড়ি। তাই অনেকেই নিচে নামতে পারেননি। কেউ হোটেলের ঘরেই আটকে পড়েন। হোটেলে রাজ্যের ও ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা থাকতেন।
সম্ভবত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ঠিকঠাক না থাকায় ও ইমার্জেন্সি এগজিটের সুবন্দোবস্ত না থাকায় অনেকেই বেঁচে বের হতে পারেননি।আগুনের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন হোটেলের ছাদে আশ্রয় নেন। তাঁরা মোবাইলের ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে সঙ্কেত দেন বহু মানুষ। প্রাণে বাঁচতে হোটেলের উপর তলায় কার্নিশে এসে দাঁড়ান। সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছাদে আটকে পড়াদের ল্যাডারে করে পাশের বাড়ির ছাদে নামানো হয়। Kolkata দমকলের মই করে নিচে নামিয়ে আনা হয় আবাসিকদের কয়েকজনকে। ঘটনাস্থলে রাতেই আসেন নগরপাল ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।