দক্ষিণ দিনাজপুরের Dakshin Dinajpur কুশমণ্ডিতে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ধানখেতে ঘাস কাটার সময় একা পেয়ে দশম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটি স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখলেও তিনি নির্যাতিতার পাশে না দাঁড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্ত দুজনই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের Dakshin Dinajpur কুশমণ্ডি থানা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটলেও শুক্রবার রাতে কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদিবাসী একতা পরিষদের জাতীয় সদস্য গণেশ মুর্মু বলেন, ‘ওই নাবালিকার বাবা-মা দুজনেই পরিযায়ী শ্রমিক। বর্তমানে তাঁরা ভিনরাজ্যে রয়েছেন। ওই নাবালিকা বাড়িতে একাই থাকত। আরও বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্রথমে সে বিষয়টি প্রকাশ করতে পারেনি। সে প্রথমে পিসির কাছে বিষয়টি জানায়। এরপর পিসির কাছ থেকে আমি বিষয়টি জানতে পারি।’ নাবালিকার পিসি বলেন, ‘আমার ঘরের পাশেই আমার ভাইয়ের ঘর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাইয়ের মেয়ে বাড়ির গোরুর জন্য ঘাস কাটতে ধানের খেতে গিয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনা হবে ভাবতে পারিনি। ঘটনার সময় একজন গোটা বিষয়টি দেখেছিল। তাকে চিনতে পেরেছে আমার ভাইয়ের মেয়ে। মূল অভিযুক্তকে সে চিনতে পারেনি। যে ঘটনাটি দেখেছিল সে মূল অভিযুক্তর পূর্ব পরিচিত।’ অভিযুক্ত দুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।
কুশমণ্ডি থানার আইসি তরুণকুমার সাহা জানিয়েছেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকা ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার পর ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।’ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুরের এসডিপিও দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।