উত্তর দিনাজপুর জেলা Uttar Dinajpur পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যতম জেলা হল উত্তর দিনাজপুর জেলা Uttar Dinajpur District in West Bengal। এই জেলার জেলাসদর হল রায়গঞ্জ৷ দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর, যা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত৷পরবর্তীতে ব্রিটিশরা রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে Uttar Dinajpur দিনাজপুর।
দেশভাগের পর দিনাজপুর জেলার পশ্চিমাংশ পশ্চিম দিনাজপুর নামে পশ্চিবঙ্গে যুক্ত হলে পরে তার উত্তরাংশ এবং বিহারের কিশানগঞ্জের ইসলামপুর অঞ্চলকে এক করে Uttar Dinajpur উত্তর দিনাজপুর জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে৷ ধর্মীয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, পৌরাণিক, প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ উত্তর দিনাজপুর জেলাটি সেন, পাল, মৌর্য ও ইসলামিক শাসনের ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের স্মৃতি বহন করে চলেছে৷ প্রাচীনকালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা পুণ্ড্র সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল৷ জনমতানুসারে উচ্চবর্ণ পুণ্ড্ররা প্রাচীন ঐতরেয় ব্রাহ্মণদের উত্তরসূরী৷ পুণ্ড্রদের অস্তিত্ব হরিবংশম ও মহাভারতেরবপ্রাথমিক পর্যায়গুলোতে পাওয়া যায়৷ ঐতিহাসিকদের মতে পুণ্ড্রবর্ধন সাম্রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ বর্তমান বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে পাওয়া যায়৷ সাম্রাজ্যের অন্য নগরগুলি হল পুণ্ড্রনগর ও কোটিবর্ষ৷
১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কী সেনানায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী নবদ্বীপ আক্রমণ করলে গৌড়রাজ লক্ষ্মণসেন মাত্র ১৮ জন সৈনিকের ভয়ে আত্মসমর্পণ করেন৷ পরে খিলজী দেবকোটে রাজধানী স্থাপন করেন ও বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চলে প্রভুত্ব বিস্তার করেন৷ পরে ১২০৬ সনে সহস্র সৈন্য নিয়ে তিব্বতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷এরপর আলি মর্দন খিলজী ও মুহাম্মাদ সিরান খিলজী লক্ষণাবতীর সিংহাসনে বসেন৷ দিনাজপুরের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আলি মর্দন দেওয়ান নিয়োগ হলে ১২১০ সনে হামিম উদ্দিন ইওয়াজ তাকে হত্যা করে পরবর্তী ১৪ বছরের শাসনভার গ্রহণ করেন৷ তার শাসনকালে রাজধানী আবার দেবকোট থেকে গৌড়-লক্ষ্মণাবতীতে স্থানান্তরিত করা হয়৷
১২২৭ সনে দিল্লীর সুলতান ইলতুৎমিশের জ্যেষ্ঠ পুত্র নসির উদ্দিন হাসিম উদ্দিন ইওয়াজকে পরাজিত করেন ও ১২৮৭ অবধি পরবর্তী ৬০ বছর শাসন করেন৷ গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র বুগরা খানের নেতৃত্বে গৌড় অঞ্চল দিল্লীর শাসনবহির্ভূত একটি পৃথক রাজ্যে রূপান্তরিত হয়৷ ১৩২৮ সনে মুহাম্মদ বিন তুগলক বাংলায় শাসন কায়েম করলে শাসনের সুবিধার্থে তিনটি খণ্ড তথা লক্ষ্মণাবতী, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অঞ্চলে বিভক্ত করেন৷ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর গাজী ইলিয়াস শাহ ১৪৮৭ সন অবধি শাসন করেন৷ মুঘল শাসন চালু হওয়ার পর দিনাজপুরে জমিদার প্রথা প্রচলন হলেও এই দুশত বছরে বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি এসময় পশ্চিম দিনাজপুর তাজপুর ও পানজারা সরকার ও ইসলামপুর অঞ্চল পূর্ণিয়া পরগণার অংশ ছিল৷
১৭৬৫ খ্রীষ্টাব্দে যখন বাংলার দেওয়ানী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন থেকে দিনাজপুর ব্রিটিশ শাসনের আওতাভুক্ত হয়৷ ব্রিটিশ শাসনের প্রথম দিকে মালদহের বামনগোলার মদনাবতীতে প্রথম নীল কারখানা স্থাপিত হয়৷ ১৮৫৭ সনের সিপাহী বিদ্রোহ বা নবজাগরণের সময় এই জেলা নিজ স্থান অক্ষুণ্ণ রাখে৷ ১৯১৯ সনে জাতীয় কংগ্রেসের সহযোগীতায় সমান্তরাল প্রশাসন তৈরী করা হয় ও ১৯২৪ সনে শ্রী পুর্ণচণ্দ্র দাস গ্রেপ্তার হন৷
রাজ্য দল বালুরঘাট ও দিনাজপুরের আসন দখল করতে সক্ষম হয় ও ১৯২৮ এ সাইমনে কমিশনের বিরূদ্ধে সমগ্র জেলাজুড়ে বন্ধ ঘোষিত হয়৷ ১৯৪২ এ পুর্ণচন্দ্র দাসের গ্রেপ্তার সহ তেভাগা ও অসহযোগ আন্দোলনে রায়গঞ্জ, ইটাহার অগ্নিরূপ ধারণ করে৷ অতঃপর জেলাভাগ ও চরম বিশৃঙ্খলার সহিত ভারত স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে পশ্চিম দিনাজপুরের আত্মপ্রকাশ ঘটে৷১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের সঙ্গে বিহারের বাঙালী-সুরজাপুরী অঞ্চল ইসলামপুর মহকুমা যুক্ত করা হয়৷ ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে জেলাটির উত্তর অংশ পৃথক হয়ে Uttar Dinajpur উত্তর দিনাজপুর জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে৷
২০১১ সালের জনগননা অনুসারে Uttar Dinajpur উত্তর দিনাজপুর জেলার জনসংখ্যা ৩০০৭১৩৪ , ভারতে ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যা অনুসারে এটির স্থান ১২২তম। জেলার জনঘনত্ব ৭৫৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার । ২০০১-২০১১ তে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৩.১৫%। Uttar Dinajpur উত্তর দিনাজপুর জেলার লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৩৯ জন নারী এবং সাক্ষরতার হার ২০০১ সালে ৪৭.৮৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৫৯.০৭% । উত্তর দিনাজপুর জেলাটি ধানচাষের জন্য স্বনামধন্য এখানকার কিছু বিখ্যাত চালের প্রকারগুলি হলো তুলাইপঞ্জি, ঝিঙাশাল, পারিজাত ইত্যাদি৷
বিগত কিছু বছর ধরে সরকারী উদ্যোগে রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘি, কালিয়াগঞ্জে ভুট্টাচাষ বেশ বিখ্যাত।ভুট্টাকে কেন্দ্র করে জেলাটিতে ছোটো ছোটো কিছু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা পাটচাষের জমি রয়েছে যা কৃষিজ সর্বাধিক আয় বহন করে৷ প্রতিটি ব্লকেই উন্নতমানের পাটচাষ হয়৷ পাটকে কেন্দ্র করে কিছু কুটিরশিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ এই জেলার উত্তরভাগে আনারসের চাষ হয়৷ এছাড়াও প্লাস্টিক শিল্প, গুঁড়ো মশলা প্রস্তুতি এবং ইসলামপুর ও চোপড়াতে চা-এর বাজার উল্লেখযোগ্য৷
রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর এই দুটি মহকুমা নিয়ে এই জেলা গঠিত। ইসলামপুর মহকুমায় ৫ টি থানা, ৫ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি, ৫৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৭৫৭ টি মৌজা, ৩০ জনবসতিপূর্ণ গ্রাম, ২ টি পৌরসভা এবং ২ টি আদমশুমারি শহর রয়েছে । ইসলামপুর ও ডালখোলায় পৌরসভা রয়েছে। আদমশুমারির শহরগুলি হল: চোপড়া এবং হানসকুন্ডা । ইসলামপুর মহকুমার সদর দফতর ইসলামপুরে অবস্থিত।ইসলামপুর মহকুমা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলি হল ইসলামপুর , করণদিঘি , গোয়ালপোখর-১, গোয়ালপোখর-২ , চোপড়া ।
ইসলামপুর ব্লক ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল অগদিম্তি – খানতি, গুঞ্জারিয়া, মটিকুণ্ড ১, মটিকুণ্ড ২, রামগঞ্জ ১ রামগঞ্জ ২, গাইশাল ১, গাইশাল ২, ইসলামপুর, পণ্ডিতপোতা ১,পণ্ডিতপোতা ২, কমলগাঁও – সুজালী, গোবিন্দপুর।
চোপড়া ব্লক আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল হাপতিয়াগছ, মাঝিয়ালী,চোপড়া,ঘিড়নিগাঁও, লক্ষ্মীপুর দাসপাড়া, চুটিয়াখোর, এবং সোনাপুর
গোয়ালপোখর ১ ব্লক ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল ধরমপুর ২, গোয়ালপোখর, লোধন, সাহাপুর জৈনগাঁও, মহুয়া, সাহাপুর ২, গোয়াগছ ১, ধরমপুর ১, গোটি, পাঞ্জিপাড়া, গোয়াগছ ২, খাগড় এবং পোখরিয়া।
গোয়ালপোখর ২ ব্লক ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল সাহাপুর ১, সাহাপুর ২, সুরজাপুর ১, সুরজাপুর ২, নিজামপুর ১,নিজামপুর ২, বেলন, বিদ্যানন্দপুর, কানকি, তোরিয়াল এবং চাকুলিয়া।
করণদিঘি ব্লক ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল আলতাপুর ১,লাহুতারা ১, লাহুতারা ২, দোমোহনা, বাজারগাঁও ২, করণদিঘি ১, করণদিঘি ২, বাজারগাঁও ১, রাণীগঞ্জ, রসখোয়া ১, রসখোয়া ২৷ আলতাপুর ২, ডালখোলা ১। ইসলামপুর মহকুমার থানাগুলি হল ইসলামপুর , গোয়ালপোখর , চাকুলিয়া , ডালখোলা , চোপড়া , করণদিঘি।
রায়গঞ্জ মহকুমার রায়গঞ্জ , হেমতাবাদ , কালিয়াগঞ্জ , ইটাহার এই ৪ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও রায়গঞ্জ পৌরসভা ও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা এই ২ টি পৌরসভা রয়েছে।
হেমতাবাদ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত সেগুলি হল বাঙালবাড়ি, চৈনগর, নওদা, বিষ্ণুপুর, হেমতাবাদ৷ সদরটি হেমতাবাদ-এ অবস্থিত৷
ইটাহার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত , সেগুলি হল ছয়ঘড়া, গুলন্দর ১ ও ২, জয়হাট, পাতিরাজপুর, দুর্গাপুর, কাপাশিয়া, সুরুন ১ ও ২, দুর্লভপুর, ইটাহার, মারনাই৷ সদরটি ইটাহার-এ অবস্থিত৷
কালিয়াগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত , সেগুলি হল অনন্তপুর, ভাণ্ডার, ধানকৈল, মুস্তাফানগর, বরুণা, বোচাডাঙ্গা, মালগাঁও, রাধিকাপুর৷ সদরটি কালিয়াগঞ্জ-এ অবস্থিত৷
রায়গঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত , সেগুলি হল – বাহিন, গৌরী, মাহিপুর, শীতগ্রাম, বরুয়া, ভিন্দোলে, জগদীশপুর, মারাইকুড়া, ভাতুন, কমলাবাড়ি ১ ও ২, শেরপুর, রামপুর মহারাজাহাট, বীরঘই৷ সদরটি রায়গঞ্জ-এ অবস্থিত৷উত্তর দিনাজপুর লোকসভা কেন্দ্রটি হল রায়গঞ্জ , আর বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ, চোপড়া, ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ইটাহার।
উত্তর দিনাজপুর Uttar Dinajpur জেলায় রয়েছে অনেক পর্যটন স্থল ও দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থান হল কুলিক পাখিরালয়ইয়(রায়গঞ্জ), উত্তর দিনাজপুর জেলা সংগ্রহশালা , সাপনিকলা বনাঞ্চল ( চোপড়া) , বয়রা কালী মন্দির (কালিয়াগঞ্জ),নাট মন্দির (কালিয়াগঞ্জ), বিজোলিয়া প্রকৃতিবান্ধব পর্যটন , বিন্দোল ভৈরবী মন্দির , বয়রা কালী মন্দির ( কালিয়াগঞ্জ), রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য , মহারাজাহাট , নাট মন্দির( কালিয়াগঞ্জ ), শ্রী শ্রী বৈদ্যনাথ ধাম, শ্রী শ্রী শিব গোপাল এর জাগ্রত মন্দির , বাহিন রাজবাড়ী।
জেলাটির কিছু বিখ্যাত মেলা হল পীরের উরস , শনি মন্দির মেলা প্রাঙ্গণ ( মহারাজাহাট), করণদিঘি শিরুয়া মেলা , মহারাজাহাট কিরতন মেলা , করণদিঘি শিরুয়া মেলা।এই জেলা জুড়েই ছোটো-বড় বাঁশের কাজ দেখা যায়৷ কালিয়াগঞ্জের ধানকলে বাঁশের তৈরী বাঁদর-মুখোশ তৈরী করা হয় , বিন্দলের কুলো জেলার মধ্যে বিখ্যাত, রংবেরঙের পাটের ঢোকরার কাজ জগৎবিখ্যাত৷ মালগাঁওতে পাট ব্যবহার করে উৎকৃষ্ট ও সুদর্শন পাটি, আসন, শতরঞ্চি তৈরী করা হয়৷ডালখোলা ও করণদিঘি অঞ্চলে বোঞ্জ এর পুতুল তৈরী বা পাতের ওপর কাজ করা হয়৷উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার ব্লকের কিছু গ্রামেই নাটুয়া নাচ করার রীতি আছে ৷দিনাজপুরী ও সুরজাপুরি উপভাষাতে রচিত জঙগানগুলি হেমতাবাদ, চোপড়া অঞ্চলের ঐতিহ্য।
উত্তর দিনাজপুরের কয়টি থানা আছে ? প্রশাসনিক মহকুমা ইসলামপুর মহকুমা ইসলামপুর এবং ডালখোলা পৌরসভা এবং পাঁচটি সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত: চোপড়া, গোয়ালপোখর-I, গোয়ালপোখর-II, ইসলামপুর এবং করন্দিঘি। রায়গঞ্জ জেলা সদর। এই জেলায় 9টি থানা, 9টি উন্নয়ন ব্লক, 4টি পৌরসভা, 98টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং 1516টি গ্রাম রয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরে কয়টি মহকুমা আছে? Uttar Dinajpur district – উত্তর দিনাজপুর জেলায়, দুটি মহকুমা রয়েছে, রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুর, একে অপরের থেকে 110 কিমি (68 মাইল) দূরে। 1577টি গ্রাম জুড়ে চারটি পৌরসভা, নয়টি ব্লক এবং 99টি পঞ্চায়েত রয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজবাড়ীটির নাম কী? বাহিন জমিদার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রামে অবস্থিত। জেলা এটি জেলা সদর রায়গঞ্জ থেকে 1 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি একটি উত্তর দিনাজপুর জেলার উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে একটি।
উত্তর দিনাজপুরের মাটি কেমন? উত্তর দিনাজপুর একটি অত্যন্ত উর্বর মাটি দিয়ে ভূষিত। পলি সঞ্চয়ের কারণে মাটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ যা ধান, পাট, মেস্তা ও আখ ইত্যাদি জন্মাতে সাহায্য করে। কুলিক নদীর তীরে রায়গঞ্জ জেলা সদর, যেখানে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখির অভয়ারণ্য রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অবস্থিত।
উত্তর দিনাজপুর পৌরসভা কয়টি? উত্তর দিনাজপুর জেলার অধীনে চারটি পৌরসভা রয়েছে যথা রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা এবং ইসলামপুর পৌরসভা।
উত্তর দিনাজপুরের জনসংখ্যা কত? এক নজরে জেলা এলাকা: ৩১৪২ বর্গ কিমি জনসংখ্যা: ৩০,০৭,১৩৪. স্বাক্ষরতার হার: ৬০.১৩ % ব্লক: ০৯. গ্রাম: ১৫১৬. পৌরসভা: ০৪. থানা: ০৯.
উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর কবে ভাগ হয়? পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে 1992 সালে উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভক্ত করা হয়।
উত্তর দিনাজপুরের নতুন নাম কি? উত্তর দিনাজপুর বা উত্তর দিনাজপুর পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা। পূর্ববর্তী পশ্চিম দিনাজপুর জেলার বিভাগ দ্বারা 1লা এপ্রিল 1992 সালে তৈরি করা হয়েছিল, এটি রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুর দুটি মহকুমা নিয়ে গঠিত।
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস