Malda মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষের জন্যে যে জমি দিয়েছিলেন, সেই জমিই দখল করার অভিযোগ তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। সরকার থেকে পাট্টা পাওয়া কৃষকদের জমি জোর করে দখলের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র, বাঁশ নিয়েও হামলা হয়েছে তাঁদের উপরে। ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচ চাষি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মালদহর Malda হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত খোসালপুর গ্রামের ঘটনা।
কৃষকদের একাংশের দাবি রশিদাবাদ মৌজায় তাঁদের চাষের জমি রয়েছে। সরকারই তাঁদের জমির পাট্টা দিয়েছিল। কিন্তু রেকর্ড ছিল না। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী গুমেদ ইকবাল, আসাদুল ইকবাল, জালালউদ্দিনরা প্রভাব খাঁটিয়ে ভূমি দফতরে গিয়ে বেআইনিভাবে এই জমি তাঁদের নামে রেকর্ড করিয়েছে। তারপর বাহুবলে জমি দখলের চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার চাষিরা মাঠে ধান কাট ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় অভিযুক্ত এই তিনজন সহ আরও পাঁচ জনের দলবল কৃষকদের উপর চড়াও হয় বলে দাবি আহতদের। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। আহত কৃষকরা বর্তমানে Malda হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের হাতে গুরুতর চোট রয়েছে। তাঁকে Malda মালদা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বাহিনী।
আহত কৃষক আবদুল বারেক বলেন, “আমাদের পাট্টা আছে। দীর্ঘদিন ধরে চাষ করছি। এখন ওরা সেই জমি দখল করছে।” যদিও পাল্টা গুমেদ ইকবালের দাবি, এই জমি তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা চাষ করে আসছেন। চাষিদের এই বছর তাঁরা চাষ করতে দিয়েছিল। যদিও, স্থানীয় একাংশের অভিযোগ এই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের কাজ বাহুবলে জমি দখল করা। এটা কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী মর্জিনা খাতুনের বক্তব্যতে তা স্পষ্ট। সমগ্র ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “যদি এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকে সে ক্ষেত্রেও পুলিশকে বলব উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে।”