বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে Mutual Fund মিউচুয়াল ফান্ডের জনপ্রিয়তা দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বাজারেও এসেছে অনেক নতুন নতুন স্কিম। তবে এখনও আমজনতার একটা বড় অংশের কাছেই মিউচুয়াল ফান্ড অত্যন্ত জটিল বা আতঙ্কের ব্যাপার হিসেবেই থেকে গিয়েছে। অথচ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগ এখন এতই সহজ এবং সাধারণ হয়ে গিয়েছে যে, কোনও অতিরিক্ত প্রমাণপত্র ছাড়াই যে কোনও সংখ্যক ফান্ডে বিনিয়োগ করা সম্ভব।
Mutual Fund মিউচুয়াল ফান্ডে প্রথম বার বিনিয়োগ করার সময়ে সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারীর ‘কেওয়াইসি’(KYC) সম্পূর্ণ করা দরকার। এই ‘কেওয়াইসি’(KYC) একটি এককালীন প্রক্রিয়া। ‘কেওয়াইসি’(KYC) যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করার জন্যে আপনি ডিস্ট্রিবিউটর বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতার কাছে যেতে পারেন কিংবা অনলাইনেও ‘কেওয়াইসি’ (KYC) করাতে পারেন। প্রকৃত পক্ষে, ‘কেওয়াইসি’(KYC) মিউচুয়াল ফান্ড জগতের একটি দুর্দান্ত চাবিকাঠি।
এক বার ‘কেওয়াইসি’(KYC) প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ করলে আপনি প্রতিটি বিনিয়োগে অতিরিক্ত যাচাইকরণ ছাড়াই যে কোনও ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এক বার ‘কেওয়াইসি’(KYC) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তুত। মিউচুয়াল ফান্ড ডিস্ট্রিবিউটর, নিবন্ধিত বিনিয়োগ পরামর্শদাতা, শেয়ার বাজারের দালাল, ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও আর্থিক মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় বিনিয়োগ করার পদ্ধতিটিও বেছে নিতে পারেন। তবে আপনি যদি নিজেই বিনিয়োগ করতে চান, তবে ফান্ড হাউসের নিকটতম অফিসে যেতে পারেন বা অনলাইনেও বিনিয়োগ করতে পারেন।
কিন্তু যে কোনও ধরনের বিনিয়োগে হাত দেওয়ার আগে ভাল ভাবে দেখে বুঝে নিন। প্রয়োজনে বড় অঙ্ক বিনিয়োগ করার আগেই কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আর্থিক উপদেষ্টার থেকে বিশদে জেনে নিন আপনি যে ধরনের আশা রেখে বিনিয়োগ করছেন কোনও স্কিমে, তা শেষ অবধি পূরণ হবে কি না। বিনিয়োগের পদ্ধতিও যে খুব জটিল, তা একেবারেই নয়। অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে নিতান্তই সহজ ভাবে ডিস্ট্রিবিউটর, ব্রোকার বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সাহায্যে বিনিয়োগের পথ খুঁজে বার করুন, যা আপনার সব থেকে ভাল এবং লাভজনক মনে হচ্ছে।