Hili কাঁটাতারের ওপারের বাড়ি ছেড়েছেন কয়েক দশক আগে। কিন্তু ওই পৈতৃক বাড়িকেই ঢাল করে চলত আন্তঃদেশীয় পাচার। এর আগে পাঙ্গাস মাছ ছাড়াও অনেক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। গতকাল ওই ব্যক্তিকে সোনা সহ বিএসএফ পাকড়াও করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল সবার। ঘটনার তদন্তে নেমে পাচার রহস্যের খোলস ছাড়ান বিএসএফের গোয়েন্দারা। উঠে আসে অনেক তথ্য। গতকাল রাতে ধৃতকে হিলি শুল্ক দপ্তরের অপরাধ দমন শাখায় হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষার পাশাপাশি ধৃতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছেন শুল্ক দপ্তরের কর্তারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, হিলি থানার কিসমতদাপট গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে কৃষ্ণ মণ্ডল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভিমপুর বিওপির ওপারে বাংলাদেশের শ্রীরামপুর গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি। সেখানে একটি পুকুরে মাছ চাষ করেন সে। পৈতৃক বাড়ি ও মাছ চাষের অছিলায় কাঁটাতারের ওপারে আকছার যাতায়াত ছিল তার।
কিন্তু কাউকে ঘুণাক্ষরেও পাচারের ব্যবসা বুঝতে দেয়নি। তাদের গোটা পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গলবার দুপুরে পৈতৃক বাড়ি থেকে শ্রীরামপুর সীমান্ত ফটক দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন সঞ্জয়। তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের নজরে আসে তাঁর পায়ের দিকে সেলোটেপ জড়নো রয়েছে। ওই জায়গা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করেন জওয়ান। তখনই সঞ্জয়ের পায়ে ধাতুর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
সঞ্জয়কে পাকড়াও করে পা থেকে সেলোটেপ খোলে বিএসএফ। বেরিয়ে আসে তিনটি সোনার বিস্কুট। তৎক্ষণাৎ তাকে আটক করে ভিমপুর বিওপিতে নিয়ে যায় ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়ন বিএসএফ। তিনটি সোনার বিস্কুটে ৩৪৯ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৯৬ টাকা। ঘটনার তদন্তে বিএসএফ ধৃতকে জেরা করে সোনা পাচারচক্রের সন্ধান চালায়। জেরায় বিএসএফ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের কাটলা থেকে ওই সোনার বিস্কুট শ্রীরামপুরে বাড়িতে নিয়ে আসছিল কৃষ্ণ Hili ।
সেই বিস্কুট তিনটি মালদায় পাচারের উদ্দেশ্যে ছিল তার। তাকে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট আনা হচ্ছিল। জওয়ানের দূরদর্শিতায় পাচারের ছক বানচাল হয়েছে। পাচারের কৌশল প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সীমান্তে অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না।’ তবে এনিয়ে আবার রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এবং পাচারকারী।
শুনছি ধৃত ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি Hili কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে৷ যার ফলে কাঁটাতার পারাপার হওয়াটা তার কাছে খুব সুবিধাজনক। আমরা শুনেছি এর আগেও ওই ব্যক্তি এমন পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷ এই সব কাজ যাতে সহজে করতে পারে, তার জন্য স্ত্রীকে শাসকদলের ভোটে দাঁড় করিয়েছিল। দুবারের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন। নিজেও তৃণমূল দলটা করত৷ এমন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’ সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘ধৃত ওই ব্যক্তির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। এই ক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বিজেপি দাবি করলেই সব হয় না।’
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস