Ekadashi Vrat Rules একাদশী হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং বিশেষ করে বৈষ্ণবদের জন্য কারণ তারা প্রচুর উত্সর্গ এবং ভক্তির সাথে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করে। একাদশীর উপবাস পবিত্র এবং যারা এই শুভ দিনে উপবাস পালন করে এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজা করে তারা পার্থিব কামনায় ধন্য হয় এবং ভগবান বিষ্ণু তাঁর ভক্তদের সমস্ত সুখ ও সমৃদ্ধি দান করেন।
Ekadashi Vrat Rules একাদশীর উপবাস কঠোর এবং এর বিভিন্ন নিয়ম ও প্রবিধান রয়েছে যা ভক্তদের অনুসরণ করতে হবে যদি তারা পূজা করতে এবং বিশেষ করে একাদশীর দিনে উপবাস পালন করতে ইচ্ছুক হন। সমস্ত ভক্ত বা নতুন ভক্তদের সুবিধার জন্য যারা একাদশীর উপবাস শুরু করার কথা ভাবছেন কিন্তু তারা পুরো পদ্ধতি জানেন না তাই তাদের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং একাদশীর উপবাসের সমস্ত নিয়ম-কানুন উল্লেখ করার জন্য আমরা এখানে এসেছি।
ভোরে শয্যা ত্যাগ করে শুচিশুদ্ধ হয়ে শ্রীহরির মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শ্রীহরির পাদপদ্মে প্রার্থনা করতে হয়, “হে শ্রীকৃষ্ণ, আজ যেন এই মঙ্গলময়ী পবিত্র একাদশী সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, আপনি আমাকে কৃপা করুন।” Ekadashiএকাদশীতে গায়ে তেল মাখা, সাবান মাখা, পরনিন্দা-পরচর্চা, মিথ্যাভাষণ, ক্রোধ, দিবানিদ্রা, সাংসারিক আলাপাদি বর্জনীয়।
এই দিন গঙ্গা আদি তীর্থে স্নান করতে হয়। মন্দির মার্জন, শ্রীহরির পূজার্চনা, স্তবস্তুতি, গীতা-ভাগবত পাঠ আলোচনায় বেশি করে সময় অতিবাহিত করতে হয়। এই তিথিতে গোবিন্দের লীলা স্মরণ এবং তাঁর দিব্য নাম শ্রবণ করাই হচ্ছে সর্বোত্তম। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীতে পঁশিচ মালা বা যথেষ্ট সময় পেলে আরো বেশি জপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একাদশীর Ekadashi দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ।
একাদশী ব্রত পালনে ধর্ম অর্থ, কাম, মোক্ষ আদি বহু অনিত্য ফলের উল্লেখ শাস্ত্রে থাকলেও শ্রীহরিভক্তি বা কৃষ্ণপ্রেম লাভই এই ব্রত পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য। ভক্তগণ শ্রীহরির সন্তোষ বিধানের জন্যই এই ব্রত পালন করেন। পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, বরাহপুরাণ, স্কন্দপুরাণ ও বৈষ্ণবস্মৃতিরাজ শ্রীহরিভক্তিবিলাস আদি গ্রন্থে এ সকল কথা বর্ণিত আছে।
বছরে ছাব্বিশটি একাদশী আসে। সাধারণত বার মাসে চব্বিশটি একাদশী। কিন্তু যে বৎসর পুরুষোত্তমাস, অধিমাস বা মলমাস থাকে, সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়। যারা যথাবিধি একাদশী উপবাসে অসমর্থ অথবা ব্রতদিনে সাধুসঙ্গে হরিকথা শ্রবণে অসমর্থ, তারা এই একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ বা শ্রবণ করলে অসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন।