পশ্চিম বর্ধমান জেলা Paschim Bardhaman জেলা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত বর্ধমান বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম বর্ধমান । এই জেলার সদর হল আসানসোল। এটি মূলত কয়লা ও শিল্প প্রধান জেলা। আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমা নিয়ে এই নতুন জেলা তৈরির প্রস্তাব দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৭ এপ্রিল ২০১৭ সালে এই জেলার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়। নতুন জেলা হল পশ্চিম বর্ধমান।
প্রাথমিক ঐতিহাসিক সময়ে বর্ধমানভুক্তি রাঢ় অঞ্চলের একটি অংশ, যা ধারাবাহিকভাবে মগধ, মৌর্য, কুষাণ এবং গুপ্ত দ্বারা শাসিত হয়। সপ্তম শতাব্দীতে যখন শশাঙ্ক রাজা ছিলেন, তখন এলাকাটি গৌড় রাজ্যের অংশ ছিল। ১১৭১ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি দ্বারা এটি দখল না হওয়া পর্যন্ত পাল এবং সেনগণ দ্বারা শাসিত হয়েছিল। প্রাথমিক মুসলিম শাসকগণ গৌড় বা লখনৌতি থেকে বাংলার প্রধান অংশ শাসন করেছিলেন।আইন-ই-আকবরীতে বর্ধমানকে সরকার শরিফাবাদের একটি মহল বা পরগনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দামোদর নদ ও অজয় নদের মাঝখানের এলাকাকে গোপপুম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, যেখানে সাদগোপ রাজারা শাসন করেছিলেন। কাঁকসা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে শ্যামারপুর গড় এবং ইছাই ঘোষের দেউল তখনকার সময়কালের ধ্বংসাবশেষ।
১৬০৩.১৭ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে তৈরি হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা ।জনসংখ্যা ২৮লক্ষ ৮৩ হাজার ৩১। আসানসোল ও দুর্গাপুর পুর নিগম- ১০টি বিধানসভা – থাকছে ১৬টি থানা ও ২ মহিলা থানা রয়েছে নতুন জেলায়। চারটি সরকারি হাসপাতাল ও ১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে।- ৮টি ব্লক-২টি মহকুমা, আসানসোল ও দুর্গাপুর- আসানসোল লোকসভা ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের একাংশ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে- নতুন জেলায় থাকছে বারাবনীর ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত- সালানপুরের ১১টি ও রানীগঞ্জের ৬টি – জামুড়িয়ার ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে- থাকছে ফরিদপুরের ৬টি ও অন্ডালের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত- কাঁকসার ৭টি পঞ্চায়েতও নতুন জেলায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে- গ্রাম সংসদ- ৮৩৩টিগ্রাম পঞ্চায়েত- ৬২টি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দুটি বিমানবন্দর রয়েছে। এই দুটি বিমানবন্দর হল দুর্গাপুর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বার্ণপুর শহরে দাদোদর নদের তীরে অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত বার্ণপুর বিমানবন্দর। বার্ণপুর বিমানবন্দরের মালিকানা রয়েছে ইস্কো ইস্পাত (বার্নপুর ইস্পাত কারখানা) কারখানার কাছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিমানবন্দরের রানওয়ে ১,২২০ মিটার (৪,০০০ ফু) দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া।বিমানবন্দরটিতে কোনো টার্মিনাল বা প্রান্তিক নেই। নেই কোনো এটিসি নিয়ন্ত্রণ ভবন।
কাজী নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর দুর্গাপুর বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এই বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত দুর্গাপুর বিমাননগরী (দুর্গাপুর এয়াট্রোপোলিশ) হল ভারতের প্রথম বিমাননগরী। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে এয়ারপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। ২০১৭-২০১৮ সালের যাত্রী পরিবহনের হিসাবে দুর্গাপুর বিমানবন্দর হল পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় ও ভারতের ৮৩ তম ব্যস্ত বিমানবন্দর। বর্তমানে এই বিমানবন্দর থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে উড়ান পরিচালনা করছে এয়ার ইন্ডিয়া।
আসানসোল সদর মহকুমায় ১০ টি থানা, ৪ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (বরাবনি, জামুড়িয়া, রাণীগঞ্জ ও সালানপুর), ৪ টি পঞ্চায়েত সমিতি, ৩৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৮১ টি মৌজা, ১৬৫ টি জনবহুল গ্রাম, ১টি পৌরস্ংস্থা, ৩ টি পৌরসভা (রানীগঞ্জ, জামুরিয়া ও কুলটি) এবং ২৬ + ১টি(আংশিক) আদমশুমারি শহর রয়েছে। আদমশুমারির শহরগুলি হল: চিত্তরঞ্জন, হিন্দুস্তান কেবলস শহর, ডোমোহনী, ভানোয়ারা, মাঝিরা, পাঙ্গাছিয়া, চরণপুর, কুনুস্তারা, তোপসী, নিমসা, চিনচুরিয়া, কেন্দা, পারসিয়া, রতিবাটি, চাপুই, জেমারি (জে কে নগর টাউনশিপ), বাঁশরা, বেলেবাটন, চেলাদ, মুরগাথৌল, আমকুলা, বকরনগর, এগারা, সাহেবগঞ্জ, রঘুনাথচাক, বল্লভপুর এবং কেন্দ্র খোট্টামদী(আংশিক)। মহকুমার সদর দফতর আসানসোলে রয়েছে। ৩ জুন ২০১৫ সালের কলকাতা গেজেট প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কুলটি, রানীগঞ্জ এবং জামুরিয়া পৌরসভা অঞ্চলগুলি আসানসোল পৌর কর্পোরেশনের এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই মহকুমার অন্তর্গত চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
দুর্গাপুর মহকুমায় ৬ টি থানা, ৪ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর, ফরিদপুর-দুর্গাপুর ও কাঁকসা), ৪ টি পঞ্চায়েত সমিতি, ২৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৭১ টি মৌজা, ১৫১ জন জনবহুল গ্রাম, ১ টি পৌরসভা এবং ৩৯ টি আদমশুমারি শহর + ১ (আংশিক) রয়েছে। একক পৌর কর্পোরেশন দুর্গাপুরে। আদমশুমারির শহরগুলি হ’ল সিডুলি, খন্দ্রা, চক বাঁকোলা, উখড়া, মহিরা, দক্ষিণ খন্দ, পরশকোল, কাজোড়া, হরিশপুর, পলাশবান, দিগনালা, আন্দাল (গ্রাম), ওণ্ডাল, বাসকা, বিলপাহারী, রামনগর, ডালুরবান্দ, বৈদ্যনাথপুর, মহল, কোনারদিহি, নবগ্রাম, সঙ্করপুর, হরিপুর, ছোড়া, বহুলা, মন্দারবাণী, বনগ্রাম, সিরশা, নবঘনপুর, সরপী, ইছাপুর, অরা, গোপালপুর, বামুনার, আমলাজোড়া, কঙ্কসা, দেবিপুর, প্রয়াগপুর ও কেন্দ্র খোট্টামদী (আংশিক)। মহকুমার সদর দুর্গাপুরে রয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিধানসভা কেন্দ্র
সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সুপারিশ ক্রমে পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তিত বিধানসভা কেন্দ্র বিন্যাসে আসানসোল পৌরসংস্থা এলাকা দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত।
আসানসোল পৌরসংস্থার ১-৮, ১০-১৭, ১৯, ২৩-৩৩ ওয়ার্ডগুলি নিয়ে আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
আসানসোল পৌরসংস্থার ৯, ১৮, ২০, ৩৪-৫০ নং ওয়ার্ডগুলি এবং রানিগঞ্জ ব্লকের আমড়াসোতা, এগারা, বল্লভপুর, জেমারি ও তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
রানিগঞ্জ ব্লকের অবশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি, জামুরিয়া পুরসভা এলাকা ও জামুরিয়া ব্লক নিয়ে জামুরিয়া বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
রানিগঞ্জ পুরসভা এলাকা নিয়ে রানিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
কুলটি পুরসভা এলাকা নিয়ে কুলটি বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
বারাবনি ও সালানপুর ব্লকদুটি নিয়ে বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত।
বরাবনি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বরাবনি ব্লকের গ্রামীণ এলাকা আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল বরাবনি, ইটাপড়া, নুনি, পানুড়িয়া, দোমোহানি, জামগ্রাম, পাঁচগাছিয়া ও পুঁচড়া। এই ব্লকের শহরাঞ্চল পাঁচগাছিয়া (খ) ও ভানোরা সেন্সাস টাউন দুটি নিয়ে গঠিত।ব্লকটি বরাবনি ও আসানসোল (উত্তর) থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর দোমোহানি বাজার।
জামুড়িয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক জামুড়িয়া ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল জামশোল, পুরাতন জামশোল, চকতুলুসী, বাহাদুরপুর, চাকদলা, ডোবরানা, মদনতোড়, সত্তোর, তালতোড়, বিজয়নগর, ধসল, তপসী, চিনচুরিয়া, হিজলগড়া, পাথরচুড়, লালবাজার, দরবারডাঙা, বারুল, শাঁখিড়-কুমারডিহা, বীরকুলটি, পরাশিয়া, চুরুলিয়া, কেন্দা ও শ্যামলাকেন্দা। এই ব্লকের শহরাঞ্চল পরাশিয়া, কেন্দা ও কুনুস্তোরিয়া, সেন্সাস টাউন তিনটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি জামুড়িয়া ও পাণ্ডবেশ্বর থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর বাহাদুরপুর। বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এ ব্লকের একটি নামকরা বিদ্যালয়। এখানে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও আছে।
রাণীগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রাণীগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল আমড়াসোতা, এগারা, রতিবাটী, বল্লভপুর, জেমারি ও তিরাট। এই ব্লকের শহরাঞ্চল বাঁশড়া, চেলোদ, রতিবাটী, চাপুই, জেমারি (জে. কে. নগর টাউনশিপ), আমকুলা, মুরগাথুল, রঘুনাথচক, বল্লভপুর ও বেলেবাথান সেন্সাস টাউন দশটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি রাণীগঞ্জ থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর সিয়ারশোল রাজবাড়ি।
সালানপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক Paschim Bardhaman সালানপুর ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল আছড়া, দেন্দুয়া, ফুলবেরিয়া, লালগঞ্জ, পর্বতপুর, সামডি বোলকুণ্ডা, আল্লাদি, এথোরা, রূপনারায়ণপুর, বাসুদেবপুর জেমারি, জিতপুর-উত্তররামপুর, সালানপুর ও কাল্লা। এই ব্লকের শহরাঞ্চল চিত্তরঞ্জন, হিন্দুস্তান কেবলস টাউন ও জেমারি সেন্সাস টাউন তিনটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি চিত্তরঞ্জন ও সালানপুর থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর রূপনারায়ণপুর বাজার।
পাণ্ডবেশ্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক Paschim Bardhaman এই ব্লকটি উত্তরে বীরভুম জেলা, পূর্বে ফরিদপুর-দূর্গাপুর, পশ্চিমে জামুরিয়া ও দক্ষিনে অন্ডাল ব্লক দ্বারা বেস্টিত। ৫ টি গ্রাম পন্চায়েত যথা বৈদ্যনাথপুর, নবগ্রাম, হরিপুর, কেন্দ্রা-খোট্টাডিহি এবং শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে এই ব্লক গঠিত। এই এলাকগুলি মূলত কয়লাখনির জন্য বিখ্যাত। চাষাবাদ প্রায় I’ve বললেই চলে। ১৪(পূর্বে ৬০) নং জাতীয় সরক এই ব্লকের লাইফ লাইন। এই ব্লকেই আছে বিখ্যাত পঞ্চপাণ্ডব মন্দির যা থেকে এর নামকরণ। বিভিন্ন ভাষাভাষীর লোক এই ব্লকে বসবাস করে যারা মূলত কয়লাখনিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত পান্ডবেশ্বর বাজার এই ব্লকের প্রানকেন্দ্র এবং ব্লক হেড কোয়ার্টার।
অন্ডাল সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
ফরিদপুর-দুর্গাপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
কাঁকসা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল শহর রেল পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু। আসানসোল রেলওয়ে বিভাগ বর্তমানে পূর্ব রেল জোনের একটি অংশ। এই শহরটি আসানসোল রেল বিভাগের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৪৯৩ কিলোমিটার (৩০৬ মাইল) রেলপথ রয়েছে এই রেল বিভাগে। আসানসোল রেল বিভাগের স্টেশনগুলি হল অণ্ডাল, রাণীগঞ্জ এবং দুর্গাপুর। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রধান রেললাইনটি শহরের মধ্য দিয়ে হাওড়া থেকে নতুন দিল্লির দিকে যায় এবং সীতারামপুর রেল জংশনে গ্রান্ড কর্ড লাইন যুক্ত রয়েছে, আসানসোল জংশনের সামান্য কিছু পশ্চিমে। বর্ধমান-আসানসোল রেলপথ হাওড়া-দিল্লি প্রধান লাইনের একটি অংশ। অন্ডালের সঙ্গে আসানসোল এবং পরে জামশেদপুর, পুরুলিয়া ও খড়্গপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের আরেকটি রেলপথ রয়েছে। একটি শাখা লাইন সাহেবগঞ্জ লুপের উপর সাঁথিয়া দিয়ে অন্ডালকে সংযুক্ত করেছে।
ভারতে কয়লা উত্তোলন প্রথম রানীগঞ্জ কয়লাখানিতে শুরু হয়। ১৭৭৪ সালে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন সুমনার এবং সুটিনিউস গ্রান্ট হেইলি বর্তমানে ইথোরা নিকটবর্তী কয়লা পেয়েছিলেন, বর্তমানে এটি সালানপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। ১৯৭৩ সালে, ভারত সরকার দেশের সকল নন-কোকিং কয়লা খনি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ১৯৭৫ সালে কোকিং ও নন-কোকিং কয়লা খনি পরিচালনার জন্য কোল ইন্ডিয়া গঠন করা হয়। ইস্টার্ন কোয়ালিফিল্ডগুলি তার খোলা মুখ খনি থেকে প্রতি বছর ৩০ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করছে, এটি ভূগর্ভস্থ খনি থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের জন্য ভূগর্ভস্থ খনিগুলি আধুনিকায়ন করছে।
জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পশ্চিম বর্ধমান জেলা বর্ধমান জেলা থেকে বিভক্ত হওয়ার পর জনসংখ্যা ছিল ২৮,৮২,০৩১ জন। যার মধ্যে ১৪,৯৭,৪৭৯ (৫২%) জন পুরুষ এবং ১৩,৮৪,৪৫২ (৪৮%) জন নারী ছিল। ৬ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা ৩,২২,২৬৮ জন ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ২০১৭ সালের বর্ধমান জেলার বিভক্তকরণের পর পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২০,১৫,০৫৬ জন সাক্ষর (6 বছরের বেশি জনসংখ্যার 78.75%), যার মধ্যে পুরুষ সংখ্যা ১১,৩৬,৯৯০ জন (পুরুষের জনসংখ্যার ৮৫.৪৪% ৬ বছরের বেশি বয়ষ্ক) এবং মহিলার সংখ্যা ৮,০৬,০১০ জন (৬ বছরের বেশি বয়ষ্ক মহিলার জনসংখ্যার ৬৫.৫৫%)। পাশ্চিম বর্ধমান জেলায় ধর্ম হিন্দু ৮৪.৭৫% ইসলাম ১৩.৩২% খ্রিস্টান ০.৪৪% অন্যরা ১.৪৯% ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাশ্চিম বর্ধমান জেলায় হিন্দুদের সংখ্যা ২৪,৪২,৪১৪ জন যা মোট জনসংখ্যার ৮৪.৭৫%। মুসলমানদের সংখ্যা ৩,৮৪,০২৭ জন, যা মোট জনসংখ্যার ১৩.৩২%। খ্রিস্টান সংখ্যা ১২,৬৩৬, যা মোট জনসংখ্যার ০.৪৪% গঠন। অন্যান্যদের সংখ্যা ৪২,৯৫৪ জন, যা মোট জনসংখ্যা ১.৪৯%।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
পশ্চিম বর্ধমান ব্লক কয়টি? Paschim Bardhaman এই জেলায় 16টি থানা, 8টি উন্নয়ন ব্লক , 2টি পৌর কর্পোরেশন, 62টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা Paschim Bardhaman কি জন্য বিখ্যাত? পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর আসানসোল। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর । কয়লাখনি,রেলের ডিভিশন অফিস ও (মূলত দুর্গাপুর) শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আয়তন কত? Paschim Bardhaman জেলা সম্পর্কে বৈশিষ্ট্য পরিমাপ আয়তন ১৬০৩ বর্গ কিমি জনসংখ্যা ২৮,৮২,০৩১ ব্লক ৮ গ্রাম পঞ্চায়েত ৬২
পশ্চিমবঙ্গের ২৩ তম জেলা কোনটি? পশ্চিমবঙ্গের 23তম জেলা হিসাবে পূর্ববর্তী বর্ধমান জেলাকে বিভক্ত করার পরে 7 এপ্রিল 2017-এ পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়েছিল।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল কেন বিখ্যাত? Paschim Bardhaman এই শহরটি রেলওয়ের পাশাপাশি কয়লা ও ইস্পাত শিল্পের জন্য জনপ্রিয় । আসানসোল শহর ভ্রমণকারীদের মধ্যে তার মনোরম পার্ক, ঐতিহ্যবাহী মন্দির এবং উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গন্তব্যগুলির জন্য সুপরিচিত যা সারা বছর ধরে অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।