Jaynagar Murder Case প্রেমের সম্পর্কে টানাপড়েন। প্রেমিকার দাবিমতো টাকা জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল প্রেমিককে। সেই থেকেই খুনের পরিকল্পনা। মুর্শিদাবাদ থেকে ডেকে এনে যুবতীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। দু’জনের ছবির সূত্র ধরে মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম গিয়াসউদ্দিন গাজি। বকুলতলা থানা এলাকার মনিরতটের বাসিন্দা তিনি।
তবে কর্মসূত্র থাকতেন গুজরাতে। সমাজমাধ্যমে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা লতিফা খাতুনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। গিয়াসউদ্দিন এবং লতিফা— দু’জনেই বিবাহিত। আলাপের পর দু’জন দু’জনের প্রতি আকৃষ্ট হন। গড়ে ওঠে গাঢ় প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। গিয়াসউদ্দিন পুলিশের কাছে জানান, প্রায়ই লতিফা তাঁর কাছে টাকা চাইতেন। প্রথম প্রথম চাহিদামতো টাকাও পাঠাতেন গিয়াসউদ্দিন।
কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরে লতিফার চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। গিয়াসউদ্দিন জানতে পারেন, লতিফা শুধু তাঁর সঙ্গে নয়, আরও অনেকের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখেছেন। তখনই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন গিয়াসউদ্দিন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লতিফাকে মুর্শিদাবাদ থেকে জয়নগরে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান গিয়াসউদ্দিন।
তার পর তাঁকে খুন করে জয়নগরের মায়াহাউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দপুর রথতলা এলাকায় ফাঁকা ধানক্ষেতের পাশের মাঠে ফেলে দেন লতিফার দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আছে লতিফা এবং গিয়াসউদ্দিনের একটি ছবি। তার পরই দু’জনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে পুলিশ। খোঁজ শুরু হয় গিয়াসউদ্দিনের খোঁজ। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পারেন অভিযুক্ত যুবক কুলতলি থানা এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে কুলতলি থানা এলাকা থেকে গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।