
iran israel war
ইজ়রায়েলের সঙ্গে চলমান iran israel war সংঘাত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, ইজ়রায়েলের ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ প্রয়োগ করাই সংঘাত বন্ধের একমাত্র উপায়। অন্যদিকে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ এখন ‘বিজয়ের পথে’ রয়েছে। ইজ়রায়েলি বাহিনী ইরানের শহরগুলোতে বিমান থেকে বোমা হামলা আরও জোরদার করেছে। জি-৭ সম্মেলনের জন্য সফরসূচি কাটছাঁট করে আগেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের iran israel war মধ্যে সংঘর্ষ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল। iran israel war দু’দেশের যুদ্ধের আবহে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির জন্যই জি-৭ সম্মেলনের সূচি সম্পূর্ণ না-করে ফিরতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও মঙ্গলবার রাতেই ওয়াশিংটনে ফিরছেন বলে খবর। হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, পশ্চিম এশিয়ায় যা চলছে, সে কারণেই রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নৈশভোজের পরে আমেরিকায় ফিরে আসবেন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসার চেষ্টা করার জন্য আমেরিকার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, জি-৭ বৈঠকের সূচিতে ট্রাম্প কাটছাঁট করার খবর প্রকাশ্যে আসার কিছু আগেই নিজের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেখানে তেহরান থেকে সকলকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য বলেন তিনি। যদিও এর কোনও কারণ ওই পোস্টে উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। তিনি লেখেন, “আমি যে ‘চুক্তি’তে ইরানকে সই করতে বলেছিলাম, তা ইরানের করে নেওয়া উচিত ছিল। কী লজ্জার বিষয়, মানুষের জীবন কী ভাবে নষ্ট হচ্ছে! সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ইরান পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারে না।
আমি বার বার বলেছি!” এর পরের বাক্যেই তিনি লেখেন, “প্রত্যেককে অবিলম্বে তেহরান থেকে সরে যাওয়া উচিত!” জি-৭ সম্মেলনেও ট্রাম্প জানান, তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যেতে হবে ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমাকে ফিরতে হবে। এটা খুবই জরুরি।” ওই বক্তৃতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নেরও প্রশংসা করেন তিনি। কার্নেকে দুর্দান্ত আয়োজক বলেও অভিহিত করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “কিন্তু আমি যা দেখছি, তা হয়তো আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন। আমাকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যেতে হবে।” মঙ্গলবার সকালেও ইজ়রায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেনের শব্দ পাওয়া গিয়েছে।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ এখনও অব্যাহত। বস্তুত, গত শুক্রবার থেকে ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। ইরান দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরি করার জায়গায় চলে এসেছে বলে আশঙ্কা করছে ইজ়রায়েল। সেই আশঙ্কা থেকেই ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে গত শুক্রবার হামলা চালায় ইজ়রায়েল। যদিও ইরানের দাবি বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অন্যান্য শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্যই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চলছে।
সোমবার এক্সে এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিই কূটনৈতিকভাবে সমাধানে আগ্রহী হন এবং এই যুদ্ধ থামাতে চান, তাহলে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সে অনুযায়ী হবে।’ আব্বাস আরাগচি আরও বলেন, ‘ইজ়রায়েলের অবশ্যই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা পুরোপুরি বন্ধ না হলে পাল্টা জবাব অব্যাহত থাকবে। ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোনকলই নেতানিয়াহুর মতো কাউকে থামাতে পারে। আর সেটা কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে।’ একাধিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, তেহরানের পক্ষ থেকে কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ করা হয়েছে—তারা যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যাতে তিনি ইজ়রায়েলের ওপর তাঁর প্রভাব খাটিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে উদ্যোগী হন। বিনিময়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে। দুজন ইরানি এবং ওই অঞ্চলের তিনটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে এ কথাগুলো বলেছে। ইজ়রায়েলের একটি বিমানঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইজ়রায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা—এই দুই প্রধান লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজয়ের পথে আছি। তেহরানের নাগরিকদের বলছি, “সরে যান”, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।