
Islamic terrorists
প্রভাকর রায় – ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে কাশ্মীরের Islamic terrorists মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ জায়গা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হত্যা শুরু হয়ে গিয়েছিল।অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী বা অন্যান্য ধর্মস্থানে আগত পুণ্যার্থীরাও বার বার হামলার শিকার হয়েছেন Islamic terrorists ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের হাতে। কিন্তু প্রায় দু’দশকের ব্যবধানে কাশ্মীর উপত্যকার এত বড় হামলার শিকার হলেন হিন্দু পর্যটকেরা। এটা একটা ভয়ঙ্কর ইসলামিক জঙ্গি হামলা! যেখানে বিবাহিত হিন্দু কাপেলদের টার্গেট করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়া এক বাঙালি হিন্দুর।
কখনও ভেবে দেখেছেন এটা কত বড় পরিকল্পনা? একদিকে ইসলামিক জঙ্গি হামলা, সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করা ও অন্যদিকে ভারতের ভিতরে হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছে। ভারত সরকার ও ইন্টালিজেন্সের ওপর একটা বিশাল চাপ সৃষ্টির কৌশল ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের । এটা বুঝতে হবে আমাদের! কিছু রাজনৈতিক দল এই হামলার ফলে খুব খুশি! অনেক ভেবে চিনতে এই প্ল্যান ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের।পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় জেরে সৌদি আরব সফর কাঁটছাঁট করে বুধবার সকালে ভারতে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার রাতে সৌদির রাজার নৈশভোজ অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই নয়াদিল্লির বিমান ধরেন মোদী। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌদি থেকেই মোদী এক্সে লেখেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করছি।
যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। প্রার্থনা করি, আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। সব রকমের সাহায্য করা হবে।’’ তার পরেই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জঙ্গিদের। তাঁর কথায়, ‘‘এই জঘন্য অপরাধের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না! তাঁদের অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পণ দৃঢ়। এটা আরও কঠিন হবে।’’
পাঁচ-ছ’জন Islamic terrorists ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী একের পর এক হিন্দু পর্যটককে গুলি করে মেরেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বিতানও। পাটুলির বাসিন্দা বিতান। বিতানের বয়স ৪০ বছর। কর্মসূত্রে থাকতেন ফ্লোরিডায়। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত যুবকের স্ত্রী সোহিনীও থাকেন সেখানে। গত ৮ এপ্রিল তাঁরা তিন বছরের পুত্র হৃদানকে নিয়ে কলকাতার বাড়িতে ফিরেছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল তিন জনে জম্মু-কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর বেড়াতে গেলে পর্যটকদের জন্য অবশ্য-দর্শনীয় বৈসরন উপত্যকা পহেলগাঁওয়ে। ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’ হিসাবে পরিচিত সবুজে ঢাকা যে জায়গা মঙ্গলবার ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দের হাতে রক্তাক্ত। উপত্যকা জুড়ে শুধু হিন্দু নিরীহ মানুষের কান্না আর আর্তনাদের প্রতিধ্বনি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক পর্যটক জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন। হঠাৎই তারা রাইফেল উঁচিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে পর্যটকদের এক এক করে পরিচয় জানা শুরু করে। ইসলাম ধর্মের মানুষ ছাড়া বাকি হিন্দুদের উপর নির্বিচারে শুরু হয় গুলিবর্ষণ। বিদেশিরাও বাদ যাননি। অনেককেই পয়েন্ট ব্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে মারা হয়। পালাতে গিয়ে গুলির শিকার হন অনেকে। শতাধিক রাউন্ড গুলি চালিয়ে নিরাপদে জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয় তারা। নিহত হিন্দু পর্যটকদের মধ্যে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশার বাসিন্দারা রয়েছেন। পাক ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) মঙ্গলবার রাতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।