Maruti Suzuki জাপানের মানুষ এবার Made in India মেড ইন ইন্ডিয়া ফ্রনক্সে চড়বেন। কারণ, ভারতে তৈরি India Suzuki মারুতি এবার জাপানে বিক্রি হবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রপ্তানি। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে যে কোম্পানির স্পোর্টস ইউটিলিটি গাড়ি ফ্রনক্স জাপানে রপ্তানি শুরু করেছে তারা। Maruti Suzuki বিশ্বখ্যাত সুজুকি গাড়ির আদিবাস জাপানে। সূর্যোদয়ের দেশটির মূল দ্বীপ হনসুর উপকূলীয় শহর হামামাৎসুতে ১৯০৯ সালে গড়ে ওঠা সুজুকি মোটর করপোরেশন ভারতে গাড়ি তৈরি করতে আসে ১৯৮১ সালে।
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশটির মারুতি উদ্যোগ লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করছে ‘মারুতি সুজুকি’ গাড়ি। প্রায় ৪৩ বছর পর যেন শুরু হলো ‘উল্টো রথ’। জাপানের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি যেখানে গাড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি করা, তারাই এখন ভারতে তৈরি ‘সুজুকি’ নিয়ে যাচ্ছে নিজের দেশে। আজ বুধবার জাপানি গণমাধ্যম নিপ্পন ডট কম জানায়, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) ‘ফ্রনক্স’ ভারতসহ সারা পৃথিবীতে বেশ জনপ্রিয়। জাপানে এর যে মডেল পাওয়া যাচ্ছে তা দেশটির তুষারঢাকা রাস্তায় চলার উপযোগী। এই মডেলের চার-চাকার গাড়ি শুধু জাপানের বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য এর টায়ার ও জ্বালানি ব্যবস্থা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। সরু গলি দিয়ে চলাচলের পাশাপাশি সংকীর্ণ জায়গায় এই গাড়ি সহজেই রাখা যাবে বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
দেশের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, গুজরাটের পিপাভাভ বন্দর থেকে ১,৬০০টিরও বেশি গাড়ির প্রথম চালান জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ফ্রনক্স হবে মারুতি সুজুকি-এর প্রথম এসইউভি, যা জাপানে লঞ্চ হতে চলেছে। কোম্পানিটি তার গুজরাট প্ল্যান্ট থেকে একচেটিয়াভাবে এই মডেলটি তৈরি করে। ফ্রনক্স হল মারুতি সুজুকির দ্বিতীয় মডেল যা জাপানে রপ্তানি করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে, বালেনো জাপানে রপ্তানি করা হয়েছিল। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাশি তাকেউচি বলেছেন, জাপান বিশ্বের অন্যতম গাড়ির বাজার। জাপানে আমাদের রপ্তানি মারুতি সুজুকির বিশ্বমানের যানবাহন তৈরি করার ক্ষমতার প্রমাণ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপত্তা এবং গুণমানকে প্রতিফলিত করে।
সিগমা, ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ডেল্টা প্লাস অপশনাল, জেটা এবং আলফা এর মত ৬ টি ট্রিম বিকল্পে কিনতে পারবেন গাড়িটি। এই পাঁচ আসনের ক্রসওভার এসইউভি-এ সাতটি একঘেয়ে এবং তিনটি ডুয়াল টোন কালার অপশন রয়েছে। এই ক্রসওভারে এক লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। মাইলেজের কথা বললে, ফ্রন্টেক্সের পেট্রোল ভ্যারিয়েন্টের মাইলেজ প্রতি ঘণ্টায় ২২.৮৯ কিলোমিটার পর্যন্ত। সিএনজি ভ্যারিয়েন্টের মাইলেজ প্রতি ঘণ্টায় ২৮.৫১ কিলোমিটার পর্যন্ত। ২০২৩ সালের, অটো এক্সপো-এ বিশ্বব্যাপী প্রকাহ করার পরে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ভারতে চালু করা হয়েছিল ফ্রনক্স। ভারতে এই মারুতি গাড়ির বেস মডেলের মূল্য ৭.৫১ লক্ষ টাকা এবং শীর্ষ মডেলটির দাম ১৩.৪ লক্ষ টাকা (গড় এক্স-শোরুম প্রাইস)। ২০২৩ সালে মারুতি সুজুকি ফ্রনক্স চালু হওয়ার পর থেকে ভারতে ১.৫ লক্ষ ইউনিটের বেশি বিক্রি হয়েছে। এখন এটি একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বালেনো-ভিত্তিক হ্যাচব্যাক মাত্র ১৪ মাসে বিক্রি হয়ে এই নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। আরও বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:- ওয়্যারলেস স্মার্ট ডিভাইস চার্জার এসি অলস স্মার্টওয়াচ সংযোগ ট্র্যাকিং জিওফেন্স ইউভি কাট উইন্ডো গ্লাস ওভার স্পিড অ্যালার্ট ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে।