
OBC
রাজ্যের অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় তথা ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তির উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রস্তুত করা নতুন অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) তালিকায় ৭৬টি মুসলিম শ্রেণির অন্তর্ভুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট । এই ঐতিহাসিক রায়কে বিচার বিভাগের একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা রাজ্য সরকারের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ সমতা ও ন্যায়ের নীতি বজায় রেখেছে এবং ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহার রোধ করেছে।
১৪০টি জনজাতিকে নিয়ে ওবিসি সংরক্ষণের নতুন তালিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। মমতার মুসলিম তোষণের ফলে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া। ওবিসি তলিকা নিয়ে রাজ্যের সমীক্ষায় ত্রুটি রয়েছে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলাকারী অমল চন্দ্র দাসের আইনজীরা বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা যে ১৪০টি ওবিসি সম্প্রদায়কে তালিকাভুক্ত করেছে সেই তালিকা ত্রুটিপূর্ণ।
রাজ্য সরকার কিভাবে দ্রুত সমীক্ষা চালিয়ে তালিকা নির্দিষ্ট করল, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারি। যে ভাবে তালিকার প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এদিন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, এত দ্রুত সমীক্ষা করা যায়না। যারা প্রকৃত ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত, তাদেরকে আদৌ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। আসলে, গত বছর ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট 2010 সালের পরে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬ টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হয়।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে মামলাটি এখন কলকাতা হাইকোর্টেই বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, বিধানসভায় ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে মুসলিম তোষণের অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সোমবার বিধানসভায় তাঁর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, “ওবিসি তালিকা তৈরি করতে ধর্ম নয়, প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে শ্রেণিগত আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উপর ৷
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস