East Bengal ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের কোচিংয়ে ২০১৩ সালে গ্রুপে অপরাজিত থেকে এএফসি কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। সেবারই সেমি-ফাইনালে খেলেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ১১ বছর পর অস্কার ব্রুজোঁর কোচিংয়ে গ্রুপে অপরাজিত থেকে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। খুব খারাপ অবস্থায় ভুটানে এই টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিল East Bengal ইস্টবেঙ্গল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা আট ম্যাচে হারের পর হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছিল East Bengal ইস্টবেঙ্গল। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ভুটানে সব ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে যাবেন লালচুংনুঙ্গা, ক্লেইটন সিলভারা। কিন্তু নতুন প্রধান কোচ অস্কার দলকে নতুন করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভুটানে গিয়েছিলেন। তিনি বদলে যাওয়া দল নিয়ে কলকাতা ফিরছেন। এই East Bengal ইস্টবেঙ্গল এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যা মিটছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ইস্টবেঙ্গল যে লড়াইয়ের জন্য পরিচিত, সেই লড়াই ফিরে এসেছে। নেজমে এসসি-র বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে লেবাননের নেজমে এসসি-র বিরুদ্ধে জয় পাওয়া জরুরি ছিল। এই ম্যাচে জয় না পেলে গ্রুপের শীর্ষে থাকতে পারত না ইস্টবেঙ্গল। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিল East Bengal ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই কর্নার থেকে নেজমের ফুটবলার মুসার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর ১৫ মিনিটে দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকসের গোলে ব্যবধান বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেই ছন্দ হারায় ইস্টবেঙ্গল। ১৮ মিনিটে হেক্টর ইয়ুস্তেকে সহজেই টপকে ব্যবধান কমান নেজমের ওপারে। এরপর ৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করেন হুসেন মনজার। প্রথমার্ধের খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। এরপর ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন দিমিত্রিওস।