Birbhum বীরভূম জেলার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে (Bolpur ) পুলিশ সেলের জানলাতে বিছানার চাদরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল বিচারধীন এক বন্দি। শুক্রবার দুপুরে রহস্যজনক এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম দেবনাথ বাগদি। বয়স ৩২। মৃতের বাড়ি বোলপুরের নায়েক পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর এলাকায় একটি চুরির ঘটনায় দেবনাথকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ।
তারপুর সিয়ান জেলে সে জল হেফাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে (Bolpur ) বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের পুলিশ সেলে থাকার সময় বিছানার চাদর ছিঁড়ে জানলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেবনাথ আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। যদিও মৃতের বাড়ির সদস্যদের এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও রকম তথ্য দেওয়া হয়নি বলে পরিবারের দাবি। কীভাবে এই বিচারধীন বন্দির হাসপাতালের পুলিশ সেলে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃত ওই যুবকের বাড়ি বীরভূম জেলার নায়েক পাড়ায়। গ্রেফতার হওয়ার দিন ধৃতকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দেবনাথ বাগদিকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান। ২৪ তারিখের পর থেকে বোলপুরের সিয়ান জেলে সে। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই বিচারধীন বন্দিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর পুলিশে সেলের জানলায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বিছানার চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই বিচারাধীন বন্দি আত্মঘাতী হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে পুলিশের তরফে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। পরে হাসপাতাল সূত্রে দেবনাথ বাগদির মৃত্যুর ঘটনা পরিবারকে জানানো হয়। এই ঘটনার খনর পাওয়ার পরেই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ কেন হাসপাতালে সেলে নজরদারির ব্যবস্থা করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি স্থানীয় পুলিশের আধিকারিকরা।