শ্রী চৈতন্যদেব Chaitanyadev চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের বর্ণনা ও বঙ্গীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের মতানুযায়ী, ১৪০৭ শকাব্দের বা ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে Chaitanyadev চৈতন্য মহাপ্রভু ফাল্গুনী পূর্ণিমার (দোল যাত্রা উৎসব) সন্ধ্যাকালে সিংহলগ্নে চন্দ্রগ্রহণের সময় নদিয়ার নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতামাতা ছিলেন প্রাচীন গৌড়বঙ্গে নদিয়া অন্তর্গত নবদ্বীপের অধিবাসী জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবী। সেন রাজবংশ-এর সময় নবদ্বীপ ছিল বাংলার অন্যতম রাজধানী।
:৩১–৩২ ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমে বক্তিয়ার খিলজি এই নবদ্বীপ জয় করেই বাংলা জয়ের সূচনা করেন। নবদ্বীপের সমৃদ্ধি বহুকালের, গঙ্গাতীরে নবদ্বীপ তখন ছিল বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ স্থান। বাণিজ্য ও বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র হিসাবে খ্যাতিলাভ করায় বাংলাদেশের নানা অঞ্চল থেকে গুণীজ্ঞানী ব্রাহ্মণপণ্ডিত ও জীবিকাপ্রার্থীদের আগমনে নবদ্বীপ খুবই বড় হয়ে উঠতে থাকে। Chaitanyadev শ্রীচৈতন্যের জন্মের সমকালে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অশান্তি তেমন ছিল না। ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসন অধিকার করে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ দেশের শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখেন।
চৈতন্যদেবের Chaitanyadev মাতামহ ও পিতৃ প্রদত্ত নাম ছিল শ্রীবিশ্বম্ভর মিশ্র। কিশোরাবস্থায় তার পিতৃবিয়োগ ঘটে। প্রথম যৌবনে তিনি ছিলেন স্বনামধন্য পণ্ডিত। তার প্রধান আগ্রহের বিষয় ছিল সংস্কৃত গ্রন্থাদি পাঠ ও জ্ঞানার্জন। ব্যাকরণশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জনের পর মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তিনি ছাত্রদের অধ্যয়নের জন্য একটি টোল স্থাপন করেন। তর্কশাস্ত্রে নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতি ছিল অবিসংবাদিত। দ্বিগ্বিজয়-কেশবকাশ্মীর নামক এক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিতকে তরুণ নিমাই তর্ক-যুদ্ধে পরাস্ত করেন। জপ ও শ্রী হরির নাম কীর্তনের প্রতি তার আকর্ষণ যে ছেলেবেলা থেকেই বজায় ছিল, তা জানা যায় তার জীবনের নানা কাহিনি থেকে।
নবদ্বীপ শহরের মহাপ্রভু ধাম মন্দিরে শ্রী শ্রী বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে Chaitanyadev শ্রীচৈতন্যর পাদুকা যুগল। কাঠের এই পাদুকা দু’টি ৫০০বছর আগে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীকে দিয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং মহাপ্রভু। কথিত রয়েছে, শ্রীচৈতন্যদেব সন্ন্যাস নেওয়ার এক বছরের মাথায় শান্তিপুরে এসেছিলেন শচীমাতাকে দর্শনের জন্য। শচীমাতাকে দর্শনের পরেই পুরীধামে চলে যাওয়ার কথা ছিল তার। অচমকা পুরীর যাত্রা বাতিল করে তিনি নবদ্বীপে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শ্রীবাস, গদাধরকে সঙ্গে নিয়ে কীর্তন করতে তিনি নবদ্বীপে চলে আসেন। বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী সেই সময় বাড়িতে পুজো করছিলেন।
সন্ন্যাসীদের স্ত্রীর মুখ দর্শনের নিয়ম নেই। তাই উঠোনে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন মহাপ্রভু। বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী ঘর থেকে বের হয়ে স্বামীকে প্রণাম করতে যান। প্রণাম শেষ হতেই বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী দেখেন, এক জোড়া পাদুকা রেখে গিয়েছেন মহাপ্রভু। সামনে মহাপ্রভু নেই। ওই দিন রাতে বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী মায়ের স্বপ্নাদেশ পান, জন্মভিটের নিম গাছ থেকে কাঠের বিগ্রহ তৈরি করে পুজো করতে এবং তার সঙ্গে পাদুকাও পুজো হবে। সেই থেকে মহাপ্রভুর পাদুকা পুজো হয়ে আসছে। বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর ভাইয়ের বংশধররা ওই পাদুকা যুগল সুরক্ষিত রেখেছেন। ১৯৬০সালের পর ওই পাদুকা দু’টিকে একটি রুপোর খাপের মধ্যে রাখা হয়।
তার প্রথম ধর্মপত্নী লক্ষ্মীপ্রিয়াদেবী কে বিয়ের পর একবার আদিনিবাস শ্রীহট্ট গিয়েছিলেন তিনি। পূর্ববঙ্গে পর্যটনকালে লক্ষ্মীপ্রিয়াদেবীর সর্পদংশনে মৃত্যু ঘটলে তিনি মায়ের অনুরোধে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সাথে পাণিগ্রহণ করেন। এরপর গয়ায় পিতার পিণ্ডদান করতে গিয়ে পিতা ও প্রথম স্ত্রীর বিয়োগ কাতর নিমাই তার মন্ত্রদাতাগুরু স্বামী ঈশ্বর পুরীর সাক্ষাৎ পান। ঈশ্বর পুরীর নিকট তিনিশ্রীশ্রীগোপাল অষ্টাদশাক্ষর মহামন্ত্রেরাজে দীক্ষিত হন। এই ঘটনা নিমাইয়ের পরবর্তী জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে।
বাংলায় প্রত্যাবর্তন করার পর শিক্ষাভিমানী পণ্ডিত থেকে কৃষ্ণভাবময় ভক্ত রূপে তার অপ্রত্যাশিত মন পরিবর্তন দেখে অদ্বৈত আচার্যের নেতৃত্বাধীন স্থানীয় বৈষ্ণব সমাজ আশ্চর্য হয়ে যান। অনতিবিলম্বে নিমাই নদিয়ার বৈষ্ণব সমাজের এক অগ্রণী নেতায় পরিণত হন। হিন্দুধর্মের জাতিভেদ উপেক্ষা করে তিনি সমাজের নিম্নবর্গীয় মানুষদের বুকে জড়িয়ে ধরে “হরি বল” ধ্বনি বিতরণ করতেন এবং হরিনাম প্রচারে মৃদঙ্গ (শ্রীখোল)-করতাল সহযোগে অনুগামীদের নিয়ে নবদ্বীপের রাজপথে ‘নগর সংকীর্তন’-এ বের হতেন। অত্যাচারী জগাই ও মাধাইকে তিনি ভক্তেরূপে পরিণত করেন। তার প্রভাবে মুসলমান ‘যবন’ (হরিদাস ঠাকুর) সনাতন ধর্ম ও বৈষ্ণব মত গ্রহণ করেন এবং নবদ্বীপের শাসক চাঁদকাজী তার আনুগত্য স্বীকার করেন। চৈতন্যভাগবত-এ আছে, জাতিভেদের অসারতা দেখানোর জন্য তিনি শূদ্র রামরায়কে দিয়ে শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিয়েছিলেন।
মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে কাঞ্চন নগরে স্বামী কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাসাশ্রমে দীক্ষিত হওয়ার পর নিমাই পণ্ডিত শ্রীমন্ কৃষ্ণচৈতন্যদেব নাম গ্রহণ করেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি জন্মভূমি গৌড়বঙ্গ ও নদিয়া ত্যাগ করে কয়েক বছর ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান যথা: নীলাচল, দাক্ষিণাত্য, পণ্ডরপুর, বৃন্দাবন আদিতে তীর্থ পর্যটন করেন। পথে সত্যবাই, লক্ষ্মীবাই নামে বারাঙ্গনাদ্বয় এবং ভীলপন্থ, নারেজী প্রভৃতি দস্যুগণ তার শরণ গ্রহণ করে। এইসব স্থানে ভ্রমণের সময় তিনি এতদাঞ্চলের ভাষা (যথা: ওড়িয়া, তেলুগু, মালয়ালম প্রভৃতি) বিশেষভাবে শিক্ষা করেন।
এই সময় তিনি অশ্রুসজল নয়নে অবিরত কৃষ্ণনাম জপ ও কঠোর বৈরাগ্য সাধন (আহার-নিদ্রা ত্যাগ করে কৌপীনসার হয়ে) করতেন। জীবনের শেষ চব্বিশ বছরের অধিকাংশ সময় তিনি অতিবাহিত করেন জগন্নাথধাম পুরীতে। ওড়িশার সূর্যবংশীয় সনাতনধর্মীয় সম্রাট গজপতি মহারাজা প্রতাপ রুদ্রদেব চৈতন্য মহাপ্রভুকে কৃষ্ণের সাক্ষাৎ অবতার রূপে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। মহারাজা প্রতাপরুদ্র চৈতন্যদেব ও তার সংকীর্তন দলের পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছিলেন। জীবনের শেষপর্বে চৈতন্যদেব ভক্তিরসে আপ্লুত হয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতেন এবং অধিকাংশ সময়েই ভাবসমাধিস্থ থাকতেন। ১৫৩৩ খ্রীষ্টাব্দে আষাঢ় মাসের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে রবিবারে পুরীধামে ৪৮ বছর বয়সে তার লীলাবসান ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনানুসারে তিনি পুরীধামের জগন্নাথের দেহাভ্যন্তরে লীন হয়ে যান।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
চৈতন্য জীবনী কি? চৈতন্য মহাপ্রভু – (১৪৮৬ খ্রিঃ – ১৫৩৩ খ্রিঃ) ছিলেন ভারতবর্ষে আবির্ভূত এক বহু লোকপ্রিয় বৈষ্ণব সন্ন্যাসী ও ধর্মগুরু মহাপুরুষ এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক। তিনি গৌড়বঙ্গের নদিয়া অন্তর্গত নবদ্বীপে (অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলা) হিন্দু ব্রাহ্মণ পণ্ডিত শ্রীজগন্নাথমিশ্র ও শ্রীমতী শচীদেবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীর লেখক কে ছিলেন? চৈতন্যভাগবত প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব সন্তকবি বৃন্দাবন দাস ঠাকুর (১৫০৭–১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দ) রচিত চৈতন্য মহাপ্রভুর একটি জীবনীগ্রন্থ। এটি বাংলা ভাষায় রচিত চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী।
চৈতন্যদেবের পিতামহের নাম কি? শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পিতামহ নীলাম্বর চক্রবর্তী, রঘুনাথ দাসের পিতা এবং কাকার সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ছিলেন।
চৈতন্যের আসল নাম কি? Chaitanyadev চৈতন্য চরিতামৃত অনুসারে, চৈতন্য ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণিমা রাতে চন্দ্রগ্রহণের সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতামাতা তার নাম রাখেন ‘বিশ্বম্ভর’।
চৈতন্যদেবের স্ত্রীর নাম কি? Chaitanyadev চৈতন্য মহাপ্রভুর দুইজন স্ত্রী ছিলেন। লক্ষ্মী ও বিষ্ণুপ্রিয়া।
চৈতন্যদেব কে ছিলেন ? চৈতন্য (জন্ম ১৪৮৫, নবদ্বীপ, বঙ্গ, ভারত—মৃত্যু ১৫৩৩, পুরী, উড়িষ্যা) ছিলেন একজন হিন্দু কৃষ্ণের উপাসক । যার আনন্দময় গান ও নৃত্যের মাধ্যমে দেবতা কৃষ্ণের উপাসনা করার পদ্ধতি বাংলার বৈষ্ণবধর্মের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল । ব্রাহ্মণের পুত্র, তিনি ধার্মিকতা এবং স্নেহের পরিবেশে বেড়ে ওঠেন।
ইসকন কি চৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে সম্পর্কিত? – ISKCON ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস, ইসকন, চৈতন্য মহাপ্রভুর সংকীর্তন আন্দোলনের ধারাবাহিকতা । চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর সহযোগীদের সাথে সংকীর্তনে জপ করছেন।
প্রথম চৈতন্য জীবনী কাব্য কোনটি? বৃন্দাবন দাস প্রথম বাংলা ভাষায় চৈতন্য চরিত্র রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থ রচনার পর তিনি এর নাম দিয়েছিলেন চৈতন্যমঙ্গল। এই গ্রন্থুট তিনি তিন খন্ডে রচনা করেছিলেন। প্রথম খন্ডে শ্রীচৈতন্যের জন্ম, দ্বিতীয় খন্ডে তাঁর সন্ন্যাসগ্রহণ এবং তৃতীয় খন্ডে তাঁর নীলাচল গমনের উল্লেখ রয়েছে।
শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের রচয়িতা কে? Chaitanyadev চৈতন্যচরিতামৃত – উইকিপিডিয়া চৈতন্যচরিতামৃত কৃষ্ণদাস কবিরাজ কর্তৃক প্রণীত। এটি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবের (১৪৮৬-১৫৩৩) প্রতি নিবেদিত চরিত সাহিত্য ধারার চূড়ান্ত প্রামাণ্য রচনা হিসেবে মর্যাদাময় আসনে অধিষ্ঠিত।
ভক্তি আন্দোলনে শ্রীচৈতন্যদেবের অবদান কি ছিল? তিনি হরে কৃষ্ণ মহা মন্ত্রের জপকে জনপ্রিয় করেন , যা ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ, জাতি নির্বিশেষে, চৈতন্য মহাপ্রভুর ‘কীর্তন মণ্ডলী’-তে ভিড় জমায়। তিনি বর্ণ, বর্ণ বা ধর্মের কোনো ভেদাভেদ ছাড়াই ‘কৃষ্ণ ভক্তির’ বার্তাকে বিভিন্ন শহরে জনপ্রিয় করেছিলেন।
চৈতন্য উপনিষদ কি প্রামাণ্য? হ্যাঁ চৈতন্য উপনিষদের প্রথম সংস্করণের ভূমিকায়, শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন যে পাণ্ডুলিপিটি তাঁর কাছে এক বন্ধু, মধুসূদন প্রভু পাঠিয়েছিলেন, যিনি 1887 সালে প্রকাশিত বাংলা শ্লোকের অনুবাদও তৈরি করেছিলেন। সন্দেহবাদীরা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন
চৈতন্য মঙ্গলের রচয়িতা কে? বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত চৈতন্যমঙ্গল গ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাসে বিরচিত চৈতন্যভাগবত । এটি “চৈতন্যমঙ্গল” নামেও বহুল পরিচিত। শ্রীমদ্ভাগবত-এ বর্ণিত কৃষ্ণলীলা অনুকরণক্রমে চৈতন্যলীলা অর্থাৎ চৈতন্যজীবনের প্রথমার্ধ সরস আখ্যায়িকারূপে এ গ্রন্থে বর্ণিত।
চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে কয়টি শ্লোক আছে? আক্ষরিক অর্থে “অমরত্বে জীবন্ত শক্তির চরিত্র”, শ্রী চৈতন্য-চরিতামৃত হল ১১,০০০টিরও বেশি শ্লোক সমন্বিত একটি অসাধারণ অতীন্দ্রিয় সাহিত্য।
চৈতন্যদেব কত বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন? নিমাইয়ের দ্বিতীয় বিবাহ হয় বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে। ২৪ বছর বয়সে তিনি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে মথুরা বৃন্দাবনে চলে যান। তিনি সনাতন বৈষ্ণব ধর্মের প্রবক্তা ছিলেন।
চৈতন্য কে ছিলেন এবং তাঁর শিক্ষা কি ছিল? চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা অনুসারে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আত্মা বিশুদ্ধ ভক্তি অনুশীলন করে – চৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তি যোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং শিখিয়েছিলেন যে বিশুদ্ধ ভক্তি মুক্তি লাভের অন্যতম উপায় । গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতানুযায়ী, মুক্তি হল আত্মাকে পরমাত্মানে একীভূত করা।
শ্রী চৈতন্য কোন ধরনের ভক্তি প্রচার করেছিলেন? শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য ভগবত পুরাণ এবং ভগবত গীতার দর্শনের উপর ভিত্তি করে ভক্তি যোগের (অর্থাৎ কৃষ্ণ/ঈশ্বরের প্রতি প্রেমময় ভক্তি) বৈষ্ণব স্কুলের একজন উল্লেখযোগ্য প্রবক্তা ছিলেন।