Baneswar Shiva Temple রাজার শহর কোচবিহার Cooch Behar । যারা প্রথমবার Cooch Behar কোচবিহার ঘুরতে আসছেন তাদের কাছেই এই শব্দ টা খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হবে । বেড়াতে আসার আগে চোখ বুজলেই মনের ভেতরে যে ছবিগুলো ভেসে উঠবে সেটা হল গম্বুজওয়ালা বাড়ি, কারুকার্য করা খিলান, প্রশস্ত বাগান শ্বেত পাথরের দালান, জলভরা দেখি সমস্ত কিছু । যদি ঠিক সময়ে আসেন তাহলে নাগরিকদের ঝড় তোলা রাসমেলা, দোল উৎসব আপনার পর্যটন স্মৃতিতে বাড়তি পাওনা হিসেবে থেকে যেতে পারে । ইতিহাস এখানে আপনাকে শোনাবে এক যে ছিল রাজা এক যে ছিল রানীর কাহানি । Baneswar Shiva Temple কোচবিহারের রাজবাড়ির দরবারে এসে অন্দরমহলে একবার ডুব দিলে সারা জীবনের এক অসীম সঙ্গী হয়ে থেকে যাবে অবাক করা এক অনুভূতি ।
১৯৪৯ সালে ভারত ভুক্তি চুক্তির আগে এই শহর ছিল মহারাজাদের তৎকালীন কোচ রাজাদের নাম থেকে এই জেলার নাম হচ্ছে কোচবিহার । প্রজাবৎসল মহারাজা আর নেই কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া স্থাপত্য আজও গোটা শহরকে রাজকীয় ভাবনায় মেখে রেখেছে। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন ১৮৮৭ সালে ইউরোপীয় স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন সেটিই এখন কোচবিহার রাজবাড়ি নামে পরিচিত। রাজবাড়ী চারদিকে বাগান রয়েছে রাজবাড়ীতে ঢোকার মুখে রয়েছে বিশাল আকৃতির সিংহদরজা। মার্বেলের মেঝেতে আকার রাজ প্রতীক আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে ।
এছাড়াও এখানে রয়েছে মদনমোহন মন্দির । কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বৈরাগী দিঘির সামনে অবস্থিত মদনমোহন মন্দির । এখানে রয়েছে রুপোর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত প্রাণের ঠাকুর মোদন মোহন ঠাকুর । আমার শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বানেশ্বর শিব যা ভক্তদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় ।তবু শুধু প্রাচীন স্থাপত্যে নয় জেলার বিভিন্ন জায়গাতে প্রকৃতি ও পর্যটকদের মুগ্ধ করতে ব্যস্ত । কোচবিহার শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতার জঙ্গল সংলগ্ন বাংলাতে এক রাত কাটালে প্রকৃতির একজন সদস্য হয়ে উঠবেন ।
এই মন্দির দর্শন করতে গেলে আপনাকে সকাল ৮ টা থেকে রাত্রি ৮ টার মধ্যে আসতে হবে। এখানে শিব চতুর্দশীতে মহা ধুমধাম করে এক সপ্তাহ ধরে মেলা চলে। এই মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি বিশাল বড় পুকুর। যে পুকুরে রয়েছে অসংখ্য কালো কচ্ছপ। এই কচ্ছপগুলিকে ডাকা হয় মোহন নামে। পুকুরের কাছে গিয়ে আপনি এই মোহনদের খাবার খাওয়াতে পারবেন। এই কচ্ছপদের খুব পবিত্র বলে মানা হয়, পুজো করা হয় এদের।
কিভাবে যাবেন : হাওড়া অথবা শিয়ালদা স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ , তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট পদাতিক ও অসমগামী যেকোনো ট্রেনে নিউ কোচবিহার স্টেশন এ নেমে আসতে হয় ।
কোথায় থাকবেন : আনন্দময়ী ধর্মশালা রয়েছে, এবং রয়েছে হোটেল ইলোরা বিশ্ব সিংহ রোডে অবস্থিত , রয়েছে হোটেল রয়েল প্যালেস সুনীতি রোডে অবস্থিত ।