দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা (South 24 Parganas)। প্রতিটি জেলাই একে অন্যের থেকে যেমন ভূমিরূপে আলাদা, তেমনি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকেও স্বতন্ত্র। প্রতিটি জেলার এই নিজস্বতাই আজ আমাদের বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে। সেরকমই একটি জেলা হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা (South 24 Parganas)। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা৷
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা বলতে প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুন্দরবনের কর্দমাক্ত বাদাবন যা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি। চোখের সামনে ভেসে ওঠে গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যার্থীর ঢল, বকখালির মনোরম সূর্যাস্ত। ভৌগলিক দিক থেকে দেখলে এই জেলার উত্তরে কলকাতা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে পূর্ব মেদিনীপুর, এবং পূর্বে বাংলাদেশ অবস্থিত।
এই জেলার নদীগুলির মধ্যে হুগলি, বিদ্যাধরী, পিয়ালী, মাতলা, ইছামতী ও যমুনা প্রধান নদী। জেলার পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে হুগলি সহ বাকি নদীগুলি। ৯৯৬০ বর্গকিমি স্থান জুড়ে বিস্তৃত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা আয়তনের বিচারে সর্বপ্রথম স্থান অধিকার করেছে৷ ২০১১ সালের জনগননা অনুসারে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, নবাব মীরজাফর ১৭৫৭ সালে কলকাতার দক্ষিণে কুলপি পর্যন্ত ২৪টি জংলীমহল বা পরগনা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে জমিদারি সত্ত্ব ভোগ করার অধিকার দিলে এরপর থেকে এই অঞ্চলকে একত্রে চব্বিশ পরগণা নামে ডাকা শুরু হয়। এই জেলার নামকরণের ইতিহাস জানতে পড়ুন এখানে। এই জেলা পাঁচটি মহকুমা নিয়ে গঠিত তথা আলিপুর সদর, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং, এবং কাকদ্বীপ।বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত এই জেলায় বেশ কিছু ভ্রমণের স্থান আছে৷ যার মধ্যে গঙ্গাসাগর একটি অন্যতম তীর্থক্ষেত্র। এখানে প্রতি বছর মকর সংক্রান্তি বা পৌষসংক্রান্তিতে কপিলমুনির মেলা ও পুন্যস্নান উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হয়৷ পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ব-দ্বীপ সুন্দরবন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্র।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সাথে সাথে বাঘ দেখার বিশেষ আকর্ষণে শীতের শুরুতে এখানে পর্যটকের ভীড় বাড়তে শুরু করে৷ এছাড়া বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, পাঁকুড়তলা, মৌসুনী আইল্যান্ড, হেনরী আইল্যান্ড ইত্যাদি পর্যটনক্ষেত্রগুলিও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্যানিং এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য কেন্দ্র, ফলে মৎস্য লেনদেন ব্যবসা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অর্থনীতির মেরুদন্ড হয়ে উঠেছে।এই জেলায় জন্মানো কৃতী সন্তানদের মধ্যে নাট্যকার রামনারায়ণ তর্করত্ন , সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ উমেশচন্দ্র দত্ত, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজসেবকপণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ উল্লেখযোগ্য৷
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মােট জনসংখ্যা ৮,১৬১,৯৬১ জন। জনসংখ্যার দিক থেকে এই জেলা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল জেলা। পুরুষ জনসংখ্যা – ৪,১৭৩,৭৭৮ জন মহিলা জনসংখ্যা – ৩,৯৮৮,১৮৩ জন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার – ১৮.১৭% জনঘনত্ব – ৮১৯ জন/বর্গ কিলোমিটার লিঙ্গ অনুপাত – ৯৫৬ জন মহিলা/১০০০ জন পুরুষ স্বাক্ষরতা – ৭৭.৫১%।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৬৪.২৫% মানুষ হিন্দু ধৰ্ম, ৩৪.৫৭% মানুষ ইসলাম ধৰ্ম, ০.৮১% মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম এবং বাকি ০.৪৫% মানুষ অন্যান্য ধর্ম পালন করেন।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা অতীতের সাতগাঁ বা সপ্তগ্রাম বৃহদাঞ্চলের একটি অংশ। চব্বিশ পরগনা তৈরি হওয়ার আগে দক্ষিণবঙ্গের এই অঞ্চল সেন বংশের সময়কালে বাংলাদেশ রাঢ়, বাগড়ী, বরেন্দ্র, বঙ্গ ও মিথিলা বিভাগে বিভক্ত ছিল। এইগুলির মধ্যে বঙ্গ বিভাগ লক্ষনৌতি, সাতগাঁ বা সপ্তগ্রাম এবং সোনারগাঁ অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। আকবরের সময়ে বাংলার প্রথম জরিপে বাংলাকে ১৯টি সরকারে এবং ৫৩টি মহলে ভাগ করা হয়। এগুলির মধ্যে সপ্তগ্রামের সরকারের বিস্তৃতি ছিল উত্তরে পলাশী, পূর্বে কপোতাক্ষ, দক্ষিণে সাগরদ্বীপের হাতিয়ারগড় এবং পশ্চিমে হুগলি নদী পর্যন্ত। ১৭২২ সালে মুর্শিদকুলী খাঁয়ের সময়ে এই পরগনাগুলিকে চাকলা হুগলীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৬১ সালে সমগ্র জেলাকে ৮টি মহকুমায় ভাগ করা হয়। এই মহকুমাগুলি হলো ১) আলিপুর, ২) ডায়মন্ড হারবার, ৩) বারাসাত, ৪) ব্যারাকপুর, ৫) দম দম, ৬) বারুইপুর, ৭) বসিরহাট এবং ৮) সাতক্ষিরা। ১৯৮৬ সালে চব্বিশ পরগনাকে উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিভক্ত করা হয়।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মহকুমা ৫টি, এগুলি হল – আলিপুর সদর মহকুমা, বারুইপুর মহকুমা, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা, ক্যানিং মহকুমা , কাকদ্বীপ মহকুমা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আলিপুর সদর মহকুমা
আলিপুর সদর মহকুমার অন্তর্গত এলাকাগুলি হল: তিনটি পৌরসভা: মহেশতলা, বজবজ ও পূজালি।
বিষ্ণুপুর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চারটি জনগণনা নগর (দৌলতপুর, ভাসা, বিষ্ণুপুর ও কন্যানগর) নিয়ে গঠিত।
বিষ্ণুপুর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও এগারোটি জনগণনা নগর (নহাজারি, নাদাভাঙা, কাঙ্গনবেড়িয়া, বড় গগনগোহালিয়া, চন্দনদহ, বড়কালিকাপুর, পাথরবেড়িয়া, রামকৃষ্ণপুর, আমতলা, কৃপারামপুর ও চক এনায়েতনগর) নিয়ে গঠিত।
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সাতটি জনগণনা নগর (উত্তর রায়পুর, বলরামপুর, বুইটা, বেনজানহারি আচারিয়াল, অভিরামপুর, নিশ্চিন্তপুর ও বিড়লাপুর) নিয়ে গঠিত।
বজবজ ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাঁচটি জনগণনা নগর (চক কাশীপুর, চক আলমপুর, বাওয়ালি, দক্ষিণ রায়পুর ও পোয়ালি) নিয়ে গঠিত।
ঠাকুরপুকুর মহেশতলা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নয়টি জনগণনা নগর (জোকা, চটা কালিকাপুর, গন্যে গঙ্গাধরপুর, রামেশ্বরপুর, অসুতি, হাঁসপুকুরিয়া, কালুয়া, রামচন্দ্রপুর ও সামালি।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা বারুইপুর মহকুমা
বারুইপুর মহকুমা নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত: তিনটি পুরসভা: রাজপুর সোনারপুর, বারুইপুর ও জয়নগর মজিলপুর।
বারুইপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা উনিশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বারোটি জনগণনা নগর (পেটুয়া, গড়িয়া, পাঁচঘড়া, মল্লিকপুর, হরিহরপুর, চম্পাহাটি, সোলগোহালিয়া, নারিদানা, বারুইপুর, সালিপুর, খোদার বাজার ও কোমারহাট) নিয়ে গঠিত।
ভাঙড় ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি জনগণনা নগর (মরিচা, ভাঙর রঘুনাথপুর ও গোবিন্দপুর) নিয়ে গঠিত।
ভাঙড় ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা বারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ছয়টি জনগণনা নগর (রায়নগর, কালিকাপুর বারাসাত, বহড়ু, উত্তরপারাঞ্জি, আলিপুর ও উত্তর দুর্গাপুর) নিয়ে গঠিত।
জয়নগর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দু’টি জনগণনা নগর (নিমপীঠ ও তুলসীঘাটা) নিয়ে গঠিত।
কুলতলি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, শুধুমাত্র নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
সোনারপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাতটি জনগণনা নগর (রাধানগর, দাংগা, রামচন্দ্রপুর, বিদ্যাধরপুর, কালিকাপুর, চক বেড়িয়া ও সাহেবপুর) নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ডায়মন্ড হারবার মহকুমা
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত: একটি পুরসভা: ডায়মন্ড হারবার
ডায়মন্ড হারবার ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চারটি জনগণনা নগর (মাসাত, সংগ্রামপুর, মোহনপুর ও দুর্গানগর) নিয়ে গঠিত।
ডায়মন্ড হারবার ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পটদহ জনগণনা নগর নিয়ে গঠিত।
ফলতা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা তেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চারটি জনগণনা নগর (হাসিমনগর, বাণেশ্বরপুর, চাঁদপালা অনন্তপথপুর ও ফতেপুর) নিয়ে গঠিত।
কুলপি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা চোদ্দোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দু’টি জনগণনা নগর (বেরান্দারি বাগারিয়া ও ধোলা) নিয়ে গঠিত।
মগরাহাট ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নয়টি জনগণনা নগর (অযোধ্যানগর, শিরাকোল, উত্তর বিষ্ণুপুর, ঘোলা নোয়াপাড়া, উস্থি, বারিজপুর, উত্তর কুসুম, কালিকাপোতা ও বামনা) নিয়ে গঠিত।
মগরহাট ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা চোদ্দোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও আটটি জনগণনা নগর (ধামুয়া, শ্যামপুর, নৈনান, উত্তর কলস, ডিহি কলস, সংগ্রামপুর, বিলান্দাপুর ও মগরাহাট) নিয়ে গঠিত।
মন্দিরবাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি জনগণনা নগর (চাঁদপুর, বংশীধরপুর ও পূর্ব বিষ্ণুপুর) নিয়ে গঠিত।
মথুরাপির ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চারটি জনগণনা নগর (পূর্ব রানাঘাট, লালপুর, কৃষ্ণচন্দ্রপুর ও মথুরাপুর) নিয়ে গঠিত।
মথুরাপুর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ক্যানিং মহকুমা
ক্যানিং মহকুমা নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত:
বাসন্তী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা তেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাসন্তী জনগণনা নগর নিয়ে গঠিত।
ক্যানিং ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও আটটি জনগণনা নগর (কালারিয়া, গৌড়দহ, বাঁশড়া, রাজাপুর, তালদি, বয়ারসিং, মাতলা ও দিঘিরপাড়) নিয়ে গঠিত।
ক্যানিং ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও মাখালতলা জনগণনা নগর নিয়ে গঠিত।
গোসাবা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র চোদ্দোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা কাকদ্বীপ মহকুমা
কাকদ্বীপ মহকুমা নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত:
কাকদ্বীপ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
নামখানা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
পাথরপ্রতিমা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র পনেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
সাগর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা শুধুমাত্র নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার পৌরসভা ৭টি, এগুলি হল – বারুইপুর পৌরসভা, ডায়মন্ড হারবার পৌরসভা, পুজালি পৌরসভা, রাজপুর-সােনারপুর পৌরসভা, জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভা, বজ বজ পৌরসভা ও মহেশতলা পৌরসভা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার ব্লক সংখ্যা হল ২৯টি, এগুলি হল – বিষ্ণুপুর-১, বিষ্ণুপুর-২, বজ বজ-১, বজ বজ-২, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা, বারুইপুর, ভাঙড়-১, ভাঙড়-২, জয়নগর-১, জয়নগর-২, কুলতলী, সোনারপুর, ডায়মন্ড হারবার-১, ডায়মন্ড হারবার-২, ফলতা, কুলপি, মোগরাহাট-১, মোগরাহাট-২, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর-১, মথুরাপুর-২, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, বাসন্তী, ক্যানিং-১, ক্যানিং-২ ও গোসাবা।
থানা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় ৪০টি থানা রয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় রয়েছে ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতি।
গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৩১০টি।
সেন্সাস টাউন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় রয়েছে ১১১টি সেন্সাস টাউন।
গ্রাম সংসদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় ৪,৮৮৩টি গ্রাম সংসদ রয়েছে।
মৌজা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় মৌজা রয়েছে ২,১৩৯টি।
গ্রাম দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় ১,৯৯৬টি গ্রাম রয়েছে।
জেলা পরিষদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদ
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় লােকসভার আসন রয়েছে ৫টি, এগুলি হল – জয়নগর লােকসভা কেন্দ্র, মথুরাপুর লােকসভা কেন্দ্র, ডায়মন্ড হারবার লােকসভা কেন্দ্র, যাদবপুর লােকসভা কেন্দ্র ও কোলকাতা দক্ষিণ লােকসভা কেন্দ্র।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় বিধানসভার আসন রয়েছে ৩১টি, এগুলি হল – গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্র(তফসিলি জাতি), কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), পাথরপ্রতিমা বিধানসভা কেন্দ্র, কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্র, সাগর বিধানসভা কেন্দ্র, কুলপি বিধানসভা কেন্দ্র, রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্র, মন্দিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র, বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র, মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র, ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্র, ফলতা বিধানসভা কেন্দ্র, সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র, বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি), সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র, ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র, মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্র, বজবজ বিধানসভা কেন্দ্র, মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্র, যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র, টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র, কসবা বিধানসভা কেন্দ্র, বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র ও বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র।
প্রাচীনকাল থেকে ষোড়শ শতক অবধি আদি ভাগিরথীর পারে কালিঘাট, বোড়াল, রাজপুর, মহিনগর, বারুইপুর, জয়নগর, মজিলপুর, ছত্রভোগের মত জনপদ গড়ে উঠেছিল। বিপ্রদাস পিপলাইয়ের মনসাবিজয় থেকে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম এবং নগরের তালিকা পাওয়া যায়। শ্রী চৈতন্যদেব ভাগিরথীর পার ধরে পুরি যাওয়ার পথে বারুইপুরের কাছে আটসিরাতে এবং সর্বশেষ মথুরাপুরের ছত্রভোগে থেমেছিলেন। ১৫৩৮ সালে পর্তুগীজরা গৌরের শেষ ইলিয়াস শাহি সুলতান গিয়াসুদ্দিন মাহমুদের থেকে সরস্বতী এবং ভাগীরথী-হুগলির সংযোগস্থলে অবস্থিত সাতগাঁওতে বসতি গড়ার অনুমতি পায়।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা গড়িয়ায় পূর্বে বিদ্যাধরী নদীর তীরে তার্দা বন্দরে ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগীজরা প্রথম ঘাঁটি গাড়ে। এরপর এই সময়ে বাংলায় মুঘলদের বিরুদ্ধে বারো ভুইয়াঁদের মিত্রশক্তি হয়ে ওঠে পর্তুগীজরা এবং নদী তিরবর্তী অঞ্চলে তাদের জলদস্যুতা বজায় রাখতে থাকে। পরবর্তি ১০০ বছর তাদের আধিপত্য বজায় ছিল উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে। এর ফলে এই অঞ্চলে অনেক সমৃদ্ধশালী জনপদ জনশূন্য হয়ে যায়। ১৭ শতাব্দীর শুরুতে বাংলার বারো ভুঁইয়ার (১১ ভুঁইয়া ও ১ মুঘল সম্রাট) একজন যশোররাজ প্রতাপাদিত্য যশোর, খুলনা, বরিশাল সহ গোটা ২৪ পরগনা জেলার অধিপতি ছিলেন। প্রতাপাদিত্য পর্তুগিজ জলদস্যুদের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন।
তিনি সাগরদ্বীপ, সরসুনা, জগদ্দল প্রভৃতি অঞ্চলে দুর্গ বানিয়ে এদের আটকাবার চেষ্টা করেন ও বিতাড়িত করতে সক্ষম হন৷ ১৮৯০ সালে সুন্দরবন সফরকারী এক ইংরেজ সাহেব রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজপুরীর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। ১৬১০ সালে সলকা ও মগরাহাটের যুদ্ধে মুঘল সেনাপতি মান সিংহের হাতে প্রতাপাদিত্য পরাজিত হন। মান সিংহ ছিলেন কামদেব ব্রহ্মচারীর শিষ্য। কামদেবের বংশধর হালিশহরের জায়গিরদার লক্ষীকান্ত মজুমদারকে ১৬১০ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর মাগুরা, পাইকান, আনোয়ারপুর, কলকাতা ইত্যাদি একুশটি অঞ্চলের জমিদারি স্বত্ত্ব দেন।
প্রতাপাদিত্য যখন রাজা বসন্ত রায়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন তখন থেকে প্রতাপাদিত্যের সংস্রব ত্যাগ করেছিলেন লক্ষ্মীকান্ত। লক্ষ্মীকান্ত মজুমদারের নাতি কেশবচন্দ্র মজুমদার মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে বর্তমানের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও খুলনা অঞ্চলের জমিদার নিযুক্ত হন। ১৭২২ সালে মুর্শিদকুলি খাঁর সময়ে মোগল আমলের শেষ জরিপে ওই পরগনাগুলিকে হুগলি চাকলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পলাশীর যুদ্ধের ছয় মাস পরে ১৭৫৭ সালে ২০শে ডিসেম্বর মীরজাফর ইংরেজদের কলকাতা সহ দক্ষিণে কুলপী পর্যন্ত ২৪টি পরগনাকে কলকাতার জমিদারি বা ২৪ পরগনার জমিদারির নামে ৮৮২ বর্গমাইল এলাকা দান করেছিলেন।
১৯২৩ সালে বারুইপুরের দুই মাইল উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত গোবিন্দপুর গ্রামে দ্বাদশ শতাব্দীর সেন রাজা লক্ষ্মণসেনের একটি তাম্রশাসন পাওয়া যায় (খাড়ি গ্রাম দ্রষ্টব্য)। এই তাম্রশাসন থেকে লক্ষ্মণসেন কর্তৃক গ্রামটি দান করার কথা জানা গিয়েছে। এই গ্রামেরই হেদোপুকুর নামে পরিচিত একটি পুরনো পুকুরের পাড়ে কারুকার্য শোভিত ইটের একটি স্তুপ দেখা যায়। গোবিন্দপুরের মাইলখানেক দক্ষিণে বেড়াল-বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে প্রাচীন এক দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। আরও দক্ষিণে কল্যাণপুর গ্রামে একটি জীর্ণ প্রাচীন মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে, যাঁকে রায়মঙ্গল কাব্যের ‘কল্যাণমাধব’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বারুইপুরের পাঁচ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে কুলদিয়া গ্রামে ১ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা ও ১ ফুট চওড়া একটি সুন্দর সূর্যমূর্তি এবং সেই সঙ্গে বেলেপাথরের নৃসিংহের একটি ভাস্কর্য আবিষ্কৃত হয়েছে। জয়নগর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ বারাসাত গ্রামে বিষ্ণু ও নৃসিংহের একাধিক মূর্তি, বিষ্ণুচক্র ও স্তম্ভ ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে। এখানকার সেনপাড়ায় পুকুর খননের সময় মাথায় নিখুঁত বহুগুণাবিশিষ্ট সর্পছত্রযুক্ত জৈন তীর্থংকর পার্শ্বনাথের এক নগ্নমূর্তি আবিষ্কৃত হয়। দক্ষিণ বারাসাতের দুই মাইল দক্ষিণে বড়ুক্ষেত্র বা বহড়ু গ্রামেও ছয় ফুট উচ্চতার একটি সূর্যমূর্তি পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই বিগ্রহ লৌকিক দেবতা পঞ্চানন রূপে পূজা করে। ময়দা গ্রামে পুকুর খননের সময় দেড় ফুট উচ্চতার এক নৃত্যরত গণেশের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। জয়নগরেও সূর্যমূর্তি পাওয়া গিয়েছে।
মথুরাপুরে পাওয়া গিয়েছে ভূমিস্পর্শমুদ্রা-যুক্ত একটি ভাঙা বুদ্ধমূর্তি ও একটি সূর্যমূর্তি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মথুরাপুরের দুই মাইল দক্ষিণপশ্চিমে ঘটেশ্বর গ্রামে পুকুর খননের সময় তিনটি জৈন মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। এগুলির মধ্যে একটি মূর্তি কুসংস্কারবশত গ্রামবাসীরা জলে বিসর্জন দেয়, একটি বেদখল হয়ে যায় এবং তৃতীয় মূর্তিটিকে মজিলপুরের কালিদাস দত্ত নিজের সংগ্রহে এনে রাখেন। কাঁটাবেনিয়া গ্রামেও বিষ্ণু, বাসুদেব ও গণেশের মূর্তি, মন্দিরের দ্বারফলক, পাথরের বড়ো বড়ো স্তম্ভ এবং পার্শ্বনাথের একটি বড়ো মূর্তি অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে। পার্শ্বনাথের মূর্তিটি বর্তমানে স্থানীয় বিশালাক্ষী মন্দিরে গ্রামদেবতা পঞ্চানন রূপে পূজিত হয়। জয়নগরের তিন মাইল দক্ষিণে উত্তরপাড়া গ্রামের জমিদারদের এক পুরনো কাছারি বাড়ির কাছে পুকুর সংস্কারের সময় তিনটি সুন্দর বিষ্ণুমূর্তি ও একটি দশভূজা দুর্গামূর্তি পাওয়া যায়।
এগুলি জমিদারেরা তাঁদের উত্তরপাড়া লাইব্রেরিতে নিয়ে যান। ছত্রভোগে আবিষ্কৃত হয়েছে কুবের, বিষ্ণু ও দশভূজা দুর্গার মূর্তি এবং ব্রোঞ্জের গণেশ ও নৃসিংহ মূর্তি। আটঘড়া থেকে তাম্রমুদ্রা, মাটির পাত্রের টুকরো, পোড়ামাটির মেষ, যক্ষিণীমূর্তি, সিলমোহর, তৈজসপত্র ও পাথরের বিষ্ণুমূর্তি ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৮৬০-এর দশকে মথুরাপুর থানার ১১৬ নং লটে পুরনো আদিগঙ্গার খাতে গভীর জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করার সময় ‘জটার দেউল’ নামে একটি পুরাকীর্তি আবিষ্কৃত হয়। একটি মতে, এখানে ‘জটাধারী’ নামে একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ছিল; আবার অন্য মতে, এখানে বড়ো বড়ো ‘জটাধারী বাঘ’ ঘুরে বেড়াত। অধিকাংশ প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে, জটার দেউলের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে ওডিশার দেউল স্থাপত্যশৈলীর মিল রয়েছে এবং সেই দিক থেকে ও অন্যান্য আবিষ্কৃত নিদর্শন পর্যালোচনা করে তাঁরা এটির নির্মাণকাল আনুমানিক দ্বাদশ শতাব্দী বলে মনে করেন।
১৯১৮ সালে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় জটার দেউলের ছয় মাইল দূরে দেউলবাড়ি নামক স্থানে (লট নং ১২২) এই ধরনের আরও একটি পুরাকীর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। যদিও বর্তমানে এটি বিলুপ্ত। এই স্থানের আধমাইল পূর্বে কম-বেশি এক বিঘা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছিল। ১৯২১-২২ সালে জটার দেউলের বারো-তেরো মাইল দক্ষিণপশ্চিমে জগদ্দল গাঙের কাছে বনশ্যামনগরে আরও একটি মন্দিরের অবশেষের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। মাটি খোঁড়ার সময় এখানে ইটের ঘর, প্রচুর ইট, মৃৎপাত্রের টুকরো ও মানুষের অস্থি-কঙ্কাল ইত্যাদি পাওয়া যায়। বনশ্যামপুরের আট মাইল উত্তরপশ্চিমে (লট নং ১১৪) এই সময় জঙ্গলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় ইটের স্তুপ খুঁড়ে নিচে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। গর্ভগৃহ ছাড়া এই মন্দিরের আর কোন অংশের চিহ্ন ছিল না। খননকালে চারটি বিষ্ণুমূর্তি (একটি ৪ ফুট, দু’টি ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং আরেকটি ৩ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা) এবং ৩ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা একটি দশভূজ নটরাজমূর্তি পাওয়া যায়। নটরাজমূর্তিটির গলায় আজানুলম্বিত একটি মালা ও মালার নিচে দশটি ঝোলানো নরমুণ্ড দেখা যায়। এছাড়া পাথরপ্রতিমা, রাক্ষসখালি প্রভৃতি অঞ্চলেও অষ্টধাতুর বুদ্ধমূর্তি, পাথর ও পোড়ামাটির অন্যান্য মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কয়টি থানা আছে ও কি কি? দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত: আলিপুর সদর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং ও কাকদ্বীপ। এই জেলার সদর আলিপুরে অবস্থিত। জেলায় মোট ৪০ টি থানা, ২৯টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ৭টি পুরসভা ও ৩১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সদর শহরের নাম কি? দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা, যার সদর দপ্তর আলিপুরে অবস্থিত।
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস