নদিয়া Nadia জেলার একটি মহকুমা শহর ও পৌরসভা এলাকা হল Ranaghat রাণাঘাট । রাণাঘাট Ranaghat চুর্নী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। রাণাঘাটের রেল জংশনটি দেশভাগের পূর্বে অতি গুরুত্ববাহী ছিল। Ranaghat রাণাঘাট নামকরনের পিছনেও এক কাহিনী আছে।কিছু ইতিহাসবিদদের মতানুসারে, Ranaghat রাণাঘাটের পূর্বনাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। চুর্নী নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন জনপদে রনা বা রানা নামে এক ডাকাতের মূল ঘাঁটি ছিল। তার ভয়ে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা কাঁপত।
এই ভয়ের কারণেই বাসিন্দারা ব্রহ্মডাঙাকে আর ব্রহ্মডাঙা বলত না, বলত রানার ডাকাতের ঘাঁটি বা Ranaghat রানার ঘাট। এই ভাবেই ব্রহ্মডাঙা হয়ে গেল Ranaghat রাণাঘাট।এই শহরে পৌরসভা তৈরি হয় ১৮৬৪ সালে। মহকুমা শাসক হিসেবে আসেন বিখ্যাত কবি নবীনচন্দ্র সেন। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাণাঘাট শহরের জনসংখ্যা হল ৬৮,৭৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮০%। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। সমুদ্র সমতল থেকে এই শহরের গড় উচ্চতা হল ৭ মিটার।
রানাঘাট Ranaghat ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কাছের শহর ও গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রানাঘাট টাউন বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করে। রানাঘাট এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল।প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য কলকাতায় পরিবহন করা হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শহরের পূর্ব অংশে নোকরি গ্রামে একটি কোল্ড স্টোরেজ সংস্কার করেছিলেন।ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগ রানাঘাটে ফুল বিক্রেতাদের জন্য একচেটিয়াভাবে একটি বাজার কমপ্লেক্স স্থাপনের পরিকল্পনা করছিল। পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে ফুলের ক্যাপচারিং মার্কেট রয়েছে। আরেকটি শিল্প যা প্রচুর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় তা হস্তশিল্প এবং বুটিক। কমপক্ষে ১০০০ মানুষ তাদের জীবিকার জন্য এর উপর নির্ভর করে।
দুর্গাপূজা এবং কালী পূজা হল শহরের সবচেয়ে বড় এবং বর্ণিল উৎসব যা সারা শহর জুড়ে উদযাপিত হয়।এছাড়াও রানাঘাট শহরের সর্বত্র উদযাপিত হয় দোল যাত্রা। ‘হরিনগর’ নামে একটি গ্রাম ‘কীর্তনের’ জন্য পরিচিত। রানাঘাটের পালচৌধুরী এবং দে চৌধুরীর ইতিহাস প্রাচীন রানাঘাটের রথযাত্রার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পাল চৌধুরী রাজবংশে বিভিন্ন উপায়ে রথযাত্রা হয় একটি কৃষ্ণপান্তি এবং অন্যটি শম্ভুপান্তি। ইতিহাস থেকে জানা যায় কৃষ্ণপান্তি এবং শম্ভুপান্তি চূর্ণী নদীর তীরে রানাঘাট গ্রামটি নিলামে কিনেছিলেন। তাদের দান করা বিভিন্ন জমি নিয়ে আজকের রানাঘাট শহর গঠিত।
খ্রিস্টান সম্প্রদাইয়ের জন্য বেগোপাড়া চার্চে বড়দিন উদযাপন করে। ক্রিসমাসের সময়, সকল ধর্মের লোকেরা চার্চে যোগ দেয়। তাছাড়া, শহরের উপকণ্ঠে নাসরা-পাড়ায় একটি মসজিদ আছে। শিক্ষাগত ক্ষেত্রেও রানাঘাট বেশ উন্নত, শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ রয়েছে। রানাঘাট কলেজটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই কলেজে বিজ্ঞান ও কলা বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স করানো হয়।কলেজটি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত।
রানাঘাটের রেল নেটওয়ার্কও বেশ বিস্তৃত। রেল শিয়ালদহ -রানাঘাট রেল সংযোগ ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। এই প্রধান লাইনটি সেপ্টেম্বর 1862 সালে খোলা হয়েছিল। রানাঘাট -কল্যাণী এবং রানাঘাট -শান্তিপুর বিভাগগুলি 1963-64 সালে বৈদ্যুতিক রেলওয়ে চালু হয়েছিল। রানাঘাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে, ট্রেনগুলি উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে যাতায়াত করে।লোকাল ট্রেন পাওয়া যায় কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, শান্তিপুর, গেদে, বনগাঁ, বহরমপুর এবং শিয়ালদহ। মহিলা-বিশেষ ট্রেন 2010 সালে উদ্বোধন করা হয়। ভারতের রেল মন্ত্রক রানাঘাট রেলওয়ে স্টেশনকে জাতীয় গুরুত্বের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্ল্যাটফর্ম এবং আশেপাশের এলাকার আধুনিকায়ন ও উন্নতির জন্য অসংখ্য পরিকল্পনা বিবেচনা করা হয়েছে। শিয়ালদহ -লালগোলা রেলওয়ে বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন হল রানাঘাট । কলকাতা এবং ঢাকা সংযোগকারী “মৈত্রী এক্সপ্রেস” রানাঘাট দিয়ে যায়। এই শহরের বাস যোগাযোগও বেশ উন্নত।শহরে তিনটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, একটি রথতলায়, একটি রানাঘাট কলেজের কাছে এবং একটি পুলিশ ফাড়ির বিপরীতে জিএনপিসি রোডের উপর। কোলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়া সিএসটিসি বাসগুলিও এনএইচ-34-এ রানাঘাটে থামে। কৃষ্ণনগর, হাঁসখালী, পলাশী, বেথুয়া এবং নদীয়া জেলার অন্যান্য অংশে বাস চলাচল করে। উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার নাইট বাসও পাওয়া যায়।
১৮৬৪ সালে পৌরসভা তৈরি হওয়ার পর রানাঘাটের মহকুমা শাসক হিসেবে ছিলেন বিখ্যাত কবি নবীনচন্দ্র সেন। শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কালীময় ঘটক, নদিয়া কাহিনীর রচয়িতা কুমুদনাথ মল্লিক, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় রাণাঘাটের জমিদার পালচৌধুরীদের বড় অবদান আছে। খেলাধুলা, নাটক, সাহিত্য পত্রিকা, বিজ্ঞান আন্দোলন এবং সংগীত জগতের নিজস্ব ঘরানাতে রাণাঘাটের মানুষ বাংলার সংস্কৃতি জগতে অবদান রেখেছেন । সঙ্গীতের পাশাপাশি নাটকেও বিশেষ নাম রয়েছে এই শহরের। পালচৈাধুরীদের হাত ধরেই এই অগ্রগতি ঘটেছে বললে ভুল হবে না। ব্রজনাথ পালচৌধুরী ও দ্বারিকানাথ পালচৌধুরী উদোগ্যে বাসন্তী ক্লাব নামে প্রথম থিয়েটারের দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এর পরে হ্যাপি ক্লাব, মেরি ক্লাব, ন্যাশনাল ক্লাব, মডেল মিউজিক অপেরা, ডিফেন্স ড্রামাটিক ক্লাব, ইয়ং মেন্স অ্যাসোসিয়েশন, তরুণ সঙ্ঘ, যুব সঙ্ঘ, এমিকেবল ক্লাব, মিলন সঙ্ঘ, সুহৃদ সঙ্ঘ, শিল্পীদল, রূপকার, বৈকালী, পরপারের যাত্রী, রূপারূপ নাট্য সংস্থা, নাট্যমঞ্চ-সহ বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন শহরের নাট্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। বিশিষ্ট নাট্যকার ও পরিচালক দেবনারায়ণ গুপ্ত, কৌতুক শিল্পী হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি হরবোলা হরিদাস নামে সকলের কাছে পরিচিত। সেই সময় মঞ্চে বেশ কিছু পুরুষ শিল্পী মহিলাদের ভুমিকায় অভিনয় করতেন। শুধু শিল্প সংস্কৃতি নয় খেলাধূলার জগতেও রানাঘাট পরিচিত নাম। খেলাধূলার ক্ষেত্রেও এই শহরের নাম বিশেষ ভেবে উল্লেখযোগ্য।
রানাঘাটের ফুটবল খেলার পথিকৃৎ বলা যায়। টাউন ক্লাব পরে বিশ্বাস পাড়া, পাইওনিয়ার, তরুণ ব্যায়াম সমিতি, স্বাস্থ্যোন্নতি সমিতি, নির্মল স্বাস্থ্যোন্নতি সমিতি, বোসপাড়া ভারতী সঙ্ঘ, অ্যাথলেটিক ক্লাব-সহ বিভিন্ন ক্লাব ও বিদ্যালয় এগিয়ে আসে। এখানকার কয়েকজন খেলোয়াড় বিদেশেও খেলতে গিয়েছেন। অজিত নন্দী ইস্টবেঙ্গলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন। অনিল নন্দী ১৯৪৮ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অলিম্পিকে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। নিখিল নন্দী ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এ ছাড়াও, এখানকার বহু খেলোয়াড় কলকাতার মাঠে খেলেছেন। অবনী বসু, সুধীর রায়, বিশ্বনাথ পাল, কৃষ্ণ মিত্র, কৃষ্ণ মণ্ডল, অসীম কুণ্ডু, গোবিন্দ গুহঠাকুরতা, বিদ্যুৎ মিত্র-সহ আরও অনেকে কলকাতার মাঠে খেলেছেন। এখানকার বেশ কয়েক জনকে পরবর্তীতে ভাল রেফারির ভুমিকায় দেখা গিয়েছিল। ফুটবল ছাড়াও, ক্রিকেট, ভলিবল, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, জিমন্যাস্টিক, টেনিস, খোখো খেলাতেও বিশের নজির রেখেছিল।
স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসেও জড়িয়ে রয়েছে রানাঘাটের নাম। নীলবিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন মানুষ। অসহযোগ আন্দোলনে শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কেশবচন্দ্র মিত্র, নেপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, রেণুমাধব দাস, শিশিরকুমার বসু, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে সহায়রাম দাস, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীমকুমার মজুমদার, বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়, নৃসিংহ চৌধুরী, কুমারেশ বিশ্বাস, মহম্মদ হবিবুল্লহ, মহম্মদ কালু শেখ, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়, পটল মুস্তাফি-সহ অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়। তবে দিন বদলের সঙ্গে রানাঘাটের নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন রাণাঘাট প্রবীণ বাসিন্দারা।
এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল এই রাণাঘাট শহরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজি নজরুল ইসলাম-সহ বিশিষ্ট মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই রাণাঘাট । সঙ্গীত, নাটকের পাশাপাশি খেলাধুলাও সুনাম কুড়িয়েছে রানাঘাট। এই শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত কালীময় ঘটক, নদিয়া কাহিনীর রচিয়তা রায়বাহাদুর কুমুদনাথ মল্লিক, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য ভবতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এছাড়াও এই শহরের বিশিষ্ঠ ব্যেক্তিদের মধ্যে আছেন বাংলা সাহিত্যের কবি জয় গোস্বামী , ইন্দ্রানী পাল-চৌধুরী, ভারতীয়-কানাডিয়ান-ব্রিটিশ পরিচালক এবং ফটোগ্রাফার , রাখি গুলজার, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী । সব মিলিয়ে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে রানাঘাটের। আর সেই ঐতিহ্যকে সমানে আগলে চলেন রানাঘাটবাসী।
কার নামানুসারে রানাঘাট নামকরণ করা হয়? নদীয়ার মহারাজা বিখ্যাত কৃষ্ণ চন্দ্রের রানী (রানী) নাম অনুসারে রানাঘাটকে মূলত রাণীঘাট বলা হয়। যাইহোক, এটি রানা ডাকাত (ডাকাত) এর নামে নামকরণ করা হয়েছে বলেও বলা হয়, এবং এটি একটি রেকর্ড যে, 1809 সালের দিকে ডাকাতরা এই স্থানটিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যখন জনাব টাইটলার সেই স্থানের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
রানাঘাট কিসের জন্য বিখ্যাত? রানাঘাটে পশ্চিমবঙ্গের ফুলের অন্যতম বাজার রয়েছে। আরেকটি শিল্প যা প্রচুর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় তা হস্তশিল্প এবং বুটিক। অন্তত এক হাজার মানুষ তাদের জীবিকার জন্য এর উপর নির্ভরশীল। আইশতলা (চূর্ণী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত) হল বস্ত্র বুননের জায়গা।
রানাঘাট গ্রামীণ নাকি শহুরে? ভারতের জনগণনা 2011-এর জন্য, রানাঘাট হল একটি শহুরে সমষ্টি যা ক্লাস I UAs/শহরের শ্রেণীভুক্ত। রানাঘাট ইউএ অঞ্চলটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত। রানাঘাট ইউএ/মেট্রোপলিটন অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা হল ২৩৪,৪৯৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ জনসংখ্যা 118,970 এবং মহিলা জনসংখ্যা 115,529।
রানাঘাট কি জেলা? রানাঘাট জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি প্রস্তাবিত জেলা । জেলাটি বিদ্যমান নদীয়া জেলা থেকে খোদাই করা হবে। জেলা সদর হবে রানাঘাট।
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস