
Nauru
রিপাবলিক অভ্ ন্যাউরু Republic of Nauru। আয়তনে দক্ষিণ কলকাতার থেকেও ছোট। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ধারের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির ক্ষেত্রফল মাত্র ২১ বর্গ কিলোমিটার। সেখানে কলকাতার ক্ষেত্রফল প্রায় ২০৬ বর্গ কিলোমিটার। সেই নিরিখে কলকাতার ১০ ভাগের ১ ভাগ এই দ্বীপরাষ্ট্র। নাম নাউরু। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়ের তাণ্ডব এবং উপকূলীয় ভাঙনের কারণে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ নাউরু।
নাউরু প্রজাতন্ত্র (নাউরুয়ান ভাষা Ripublik Naoero, রিপাবলিক নাওয়েরো; ইংরেজি : Republic of Nauru রিপাবলিক অভ্ ন্যাউরু) হল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি অতিক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র। এর নিকটতম দ্বীপ হল কিরিবাতির বানাবা দ্বীপ, যা এর ৩০০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এটি টুভালুর উত্তর-পশ্চিমে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ১,৩০০ কিলোমিটার (৮১০ মাইল) উত্তর–পূর্বে, পাপুয়া নিউ গিনির পূর্ব-উত্তর-পূর্বে এবং ফেডার্টেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
এছাড়া এটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। Nauru নাউরু বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্র ( ক্ষেত্রফল মাত্র ২১ বর্গকিলোমিটার)। এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ও একমাত্র দেশ যার কোনো রাজধানী নেই।এখানকার আদি বাসিন্দারা হল মাইক্রোনেশীয় ও পলিনেশীয় জাতির মানুষ। জার্মানি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটিকে দখল করে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ও যুক্তরাজ্যের অধীনে একটি ম্যান্ডেট বা প্রশাসিত এলাকায় পরিণত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান এটি দখল করে। যুদ্ধের শেষে এটি আবার অধীনস্থ প্রশাসিত এলাকায় পরিণত হয়, এবং ১৯৬৮ সালে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। Nauru নাউরু ফসফেট খনিজে সমৃদ্ধ। ১৯০৭ সাল থেকে এখানকার অর্থনীতির প্রধান আয় আসে ফসফেট খনিজ আকরিক আহরণের মাধ্যমে। তবে বর্তমানে খনিজ ফসফেট প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, আর এই খনিজ আহরণ করতে গিয়ে পরিবেশগত বিপর্যয়ের সূচনা হয়েছে। দ্বীপের সম্পদ রক্ষার্থে স্থাপিত তহবিলের অব্যবস্থাপনার ফলে এখানকার অর্থনীতিতে ধ্বস নামে।
অর্থ উপার্জনের জন্য Nauru নাউরুর সরকার বিভিন্ন অপ্রচলিত পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। যেমন, ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে Nauru নাউরু কালো টাকা সাদা করার আখড়াতে পরিণত হয়। ২০০১ সাল থেকে এটি অস্ট্রেলীয় সরকারের অনুদান গ্রহণ করেছে। এর বিনিময়ে Nauru নাউরুর ভুখন্ডকে অস্ট্রেলিয়া শরনার্থী ও উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করছে। Nauru নাউরুর জনসংখ্যা মাত্র ১৩,০৪৮ জন (২০০৫ সালের হিসাব)। এর মধ্যে ৫৮% নাউরুর আদি অধিবাসী, ২৮% অন্যান্য দ্বীপের অধিবাসী, ৮% চীনা, এবং ৮% ইউরোপীয়।
নাউরু একটি প্রশস্ত মহাসাগরের 21 বর্গ কিলোমিটার (8 বর্গ মাইল) ডিম্বাকৃতির আকৃতির দ্বীপ। এটি 55.95 কিলোমিটার (35 মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। দ্বীপটি একটি প্রবালপ্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত, যা কম জোয়ারের মধ্যে উন্মুক্ত এবং পঞ্চমাকারের সাথে বিন্দু। প্রবালপ্রাচীরের উপস্থিতি একটি বন্দর স্থাপন প্রতিরোধ করা হয়েছে, যদিও প্রি়ের চ্যানেলগুলি ছোট নৌকা দ্বীপে প্রবেশের অনুমতি দেয়। একটি উর্বর উপকূলীয় ফালা 150 থেকে 300 মিটার (490 থেকে 980 ফুট) প্রশস্ত সমুদ্র সৈকত থেকে অন্তর্হিত। কোরাল পর্বতমালা নুরে কেন্দ্রীয় প্লেটোর চারপাশে অবস্থিত। প্লেটোর সর্বোচ্চ পয়েন্ট, কমান্ড রিজ নামে পরিচিত, 71 মিটার (233 ফুট) সমুদ্রতল থেকে। নাউরোর একমাত্র উর্বর এলাকা স্রোত উপকূলীয় বেল্টের উপর অবস্থিত, যেখানে নারকেল পাম্পগুলি ফসল পায়। বুদা লেগুনের আশেপাশে জমি কলা, আনারস, সবজি, প্যানডাস গাছ এবং আদিবাসী কাঠের কাঠামো যেমন টমানো গাছকে সমর্থন করে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবের ফলে দ্রুত সমুদ্রের পেটে তলিয়ে যেতে বসেছে দ্বীপটি। সেই সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য চাই বিপুল পরিমাণ অর্থ। এখানকার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ফসফেট। ১৯৭৫ সালে Nauru নাউরুর জনগণের মাথাপিছু আয় এত বেশি ছিল যে, তাদের থেকে একমাত্র ধনী রাষ্ট্র ছিল কুয়েত। নাউরুকে তখন বলা হত ‘প্রশান্ত মহাসাগরের কুয়েত’। তেলের রাজ্য কুয়েতের মতোই ফসফেট থেকে বিপুল আয় করত নাউরু। এককালে খনিজ সম্পদে ফুলেফেঁপে থাকা দ্বীপটির বর্তমানে আর্থিক অবস্থা টলমল। ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে নাউরুতে ফসফেট খনির কাজ শুরু হওয়ার ফলে দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফসফেট ফুরিয়ে যাওয়ার পর, রাজস্বের নতুন উৎসের সন্ধান করতে শুরু করেছে নাউরু।জলবায়ু সঙ্কটের মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত সংস্থান বা পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নাউরুর মতো ছোট দেশগুলোর নেই। সেই অর্থ জোগানের জন্য সম্প্রতি এই দেশটি নাগরিকত্ব বিক্রির কথা ঘোষণা করেছে।
অর্থ সংগ্রহের জন্য দ্বীপটি ‘গোল্ডেন পাসপোর্ট’ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। ১ লাখ ৫ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯১ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র নাউরুর নাগরিকত্ব। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে নাউরুর পাসপোর্টধারীরা ইংল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর-সহ বিশ্বের ৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাবেন। নাগরিকত্ব বিক্রি করে যে তহবিল গড়ে উঠবে তা দিয়ে দেশের সাড়ে ১২ হাজার নাগরিককে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলক উঁচু ও নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানে তাঁদের বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া হবে।
এই টাকা দিয়ে নাউরুর জনপদকে নতুন রূপে গড়ে তোলা হবে বলে সে দেশের সরকার জানিয়েছে। নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড আদেয়াং সিএনএনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বেই জলবায়ু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। নাউরুর বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অবশ্যই সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যেন একটি নিরাপদ ও টেকসই বাড়ি থাকে। গোল্ডেন পাসপোর্ট নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছে। তাই নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে নাউরু সরকার।
অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়ানোর ইতিহাস রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হবে না। যাঁরা অপরাধী বা পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে, তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন না বলে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের অধ্যাপক কির্স্টিন সুরাক বলেছেন, ‘‘এই নতুন পাসপোর্টধারীদের মধ্যে খুব কম লোকেরই প্রত্যন্ত নাউরুতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশটির নাগরিকত্ব তাঁদের অন্যান্য দেশে ঘুরতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে, যাঁদের পাসপোর্টে খুব বেশি ভ্রমণ করা যায় না, তাঁদের জন্য নাউরুর নাগরিকত্ব হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো হতে পারে।’’
রাজধানীবিহীন দেশ নাউরু। রাজধানী যেমন নেই, তেমনই দ্বীপটিতে নেই দ্বিতীয় কোনও শহর। ইয়ারেনই একমাত্র শহর যেখানে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় অবস্থিত। নাউরুর আয়তন এত ছোট যে পুরো দ্বীপ জুড়েই রয়েছে বিমানবন্দরের রানওয়ে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এখানে জেট বিমান অবতরণ করত। দ্বীপে পর্যটকদের আনাগোনা কম যাওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয় ও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। ২০১১ সালে মাত্র ২০০ জন পর্যটক নাউরু গিয়েছিলেন। এখানকার আদি বাসিন্দারা হলেন মাইক্রোনেশীয় ও পলিনেশীয় জাতির মানুষ। মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ মানুষ নাউরুর আদি অধিবাসী।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সামুদ্রিক পাখিদের মুক্তাঞ্চল ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই নাউরু। তাদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য কয়েক লাখ বছর ধরে জমতে জমতে উৎকৃষ্ট মানের ফসফেটের টিলায় পরিণত হয়। পরবর্তী কালে এই ফসফেটের টিলা নাউরুর জন্য আশীর্বাদ বলে চিহ্নিত হয়। নাউরুর আশপাশে সমুদ্রের নীচে থাকা প্রবালপ্রাচীর এবং নির্মল জলরাশি প্রকৃতিপ্রেমী এবং ডুবুরিদের জন্য স্বর্গরাজ্য। ২০০০ সালের গোড়ার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা শরণার্থী এবং অভিবাসীদের জন্য এখানে একটি শিবির খোলা হয়েছিল। বন্দিদের মৃত্যুর পর এই কর্মসূচিটি প্রায় বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে।
নাউরু কি এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত? Nauru নাউরু, আনুষ্ঠানিকভাবে নাউরু প্রজাতন্ত্র, পূর্বে প্লেজেন্ট আইল্যান্ড নামে পরিচিত, হল মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলের অংশ মাইক্রোনেশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র রাজ্য। এর নিকটতম প্রতিবেশী কিরিবাতির বানাবা, যা প্রায় 300 কিলোমিটার (190 মাইল) পূর্বে অবস্থিত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দ্বীপ দেশ কোনটি? নাউরু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দ্বীপরাষ্ট্র, মাত্র ২১ বর্গকিলোমিটার (৮ বর্গমাইল) আয়তনের, এটি সবচেয়ে ছোট স্বাধীন প্রজাতন্ত্র এবং বিশ্বের একমাত্র প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র যার কোন আনুষ্ঠানিক রাজধানী নেই। এটি জাতিসংঘের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার সদস্য।
নাউরু কেন এখন দরিদ্র? তবুও, অপর্যাপ্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং দেশের আর্থিক অবস্থা চিরস্থায়ী নয় এই ধারণা দেশটিকে বর্তমান দরিদ্র অবস্থায় নিয়ে যায়। ১৯৯০ সালের মধ্যে, ভূমি তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় এবং ফসফেট খনির শিল্প ভেঙে পড়ে, যার ফলে নাউরু গভীর আর্থ-সামাজিক সংকটের মধ্যে পড়ে।
নাউরুর রাজধানী নেই কেন? পরিবর্তে, নাউরু ১৪টি জেলায় বিভক্ত, প্রতিটির নিজস্ব স্থানীয় সরকার রয়েছে, কিন্তু শহর হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট বড় কোনটিই নেই । দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত ইয়ারেন জেলাটি কার্যত রাজধানী হিসেবে কাজ করে যেখানে সরকারের আসন অবস্থিত, যার মধ্যে সংসদ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অফিসগুলিও অন্তর্ভুক্ত।
নাউরুর ভাষা কি? নাউরুর সরকারী ভাষা হল নাউরুয়ান , একটি স্বতন্ত্র মাইক্রোনেশিয়ান ভাষা, যা ৯৬ শতাংশ জাতিগত নাউরুয়ান বাড়িতে কথা বলে। ইংরেজি ব্যাপকভাবে কথিত এবং সরকার এবং বাণিজ্যের ভাষা, কারণ নাউরুয়ান দেশের বাইরে ব্যবহৃত হয় না।
নাউরুতে বসবাস কেমন? দারিদ্র্য: নাউরু আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মধ্যম-উচ্চ-আয়ের দেশ, এবং পূর্বে, এটি মাথাপিছু সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল। যাইহোক, ২০১৮ সালের জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে নাউরুবাসীর এক-চতুর্থাংশ “মৌলিক চাহিদা” দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, খাদ্যের খরচ এবং পরিষ্কার জল, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অ্যাক্সেসের জন্য তারা খুব দরিদ্র।
নাউরু কি হারিয়ে যাবে? যদি আরও জমি মানুষের জন্য বাসযোগ্য না করা হয়, তাহলে নাউরুর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নাউরুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মালভূমিতে ভূমি পুনর্বাসনের জটিল কাজের উপর।
নাউরু কিসের জন্য বিখ্যাত? মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ছোট, শান্তিপূর্ণ দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু, তার অনন্য আকর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্প্রদায়ের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান ফসফেট সম্পদের জন্য বিখ্যাত, নাউরু এখন টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে তার জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করছে।
পৃথিবীর কোন দেশের রাজধানী নেই? নাউরু বিশ্বের একমাত্র দেশ যার কোন আনুষ্ঠানিক রাজধানী নেই । একসময় প্লেজেন্ট আইল্যান্ড নামে পরিচিত, এটি আয়তনের দিক থেকে তৃতীয় ক্ষুদ্রতম এবং জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম। প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়ায় অবস্থিত ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ১০,০০০ এর কিছু বেশি বাসিন্দা বাস করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।