নদীয়া জেলা Nadia district প্রাচীন সংস্কৃত-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নদীয়া, রাজ্যের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পশ্চিমবঙ্গের Nadia district নদীয়া জেলা ঐতিহ্যবাহী শহর কৃষ্ণনগর। পর্যটন ছাড়াও জেলার আয়ের প্রধান উৎস হল কৃষি। পশ্চিমবঙ্গ মূলত ২৩টি জেলাতে বিভক্ত। বেশীরভাগ জেলাই স্বাধীনতার আগে থেকে ছিল, কিছু জেলা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গঠিত, আবার কিছু জেলা একটি মূল জেলাকে দুভাগে ভাগ করে তৈরি হয়েছে মূলত প্রশাসনিক সুবিধের কারণে। প্রতিটি জেলাই একে অন্যের থেকে যেমন ভূমিরূপে আলাদা, তেমনি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকেও স্বতন্ত্র। প্রতিটি জেলার এই নিজস্বতাই আজ আমাদের বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে।সেরকমই একটি জেলা হল নদীয়া জেলা (Nadia)। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা হল নদীয়া জেলা ৷
নদীয়া জেলা Nadia district বা নদীয়া জেলা (পূর্বনাম নবদ্বীপ জেলা) ভারতে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর-পশ্চিমে ও উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলা; পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ, দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা এবং পশ্চিমে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা অবস্থিত। এখানে শ্রীচৈতন্য ভক্তিবাদ প্রচার করেন। তিনি বলেন–তৃণাদপি সুনিচেন তরোরিব সহিষ্নুনা। অমানিনা মানদেন কীর্তনীয় সদা হরি।। নদিয়া একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বকালে জেলা হিসেবে নদিয়ার আত্মপ্রকাশ। সে সময় বর্তমান হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশ এই জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সাময়িকভাবে এই জেলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন দিন বাদে ১৮ আগস্ট কিয়দংশ বাদে নদিয়া পুনরায় ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলা তার বর্তমান রূপটি লাভ করে। ১৯৪৭ সালে সাময়িকভাবে জেলার নামকরণ নবদ্বীপ করা হলেও অনতিবিলম্বেই সেই নামকরণ বাতিল হয়। Nadia district নদিয়া মূলত একটি কৃষিপ্রধান জেলা। স্বাধীনতার পর বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে কল্যাণী নগরীকে কেন্দ্র করে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে এই জেলায়। এছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পেও এই জেলার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। বাঙালি হিন্দু সমাজে নদিয়া জেলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের প্রাণপুরুষ চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত।
ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় Nadia district নদীয়া জেলা হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য একটি তীর্থস্থান। রাজা বল্লাল সেন নদিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন বাংলার হিন্দু রাজারা গৌড়ের পাশাপাশি নদিয়াতেও অবস্থান করতেন। রাজা বল্লাল সেন তাঁর শাসনামলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাগীরথী নদীতে তীর্থস্নান করার উদ্দেশ্যে আসতেন। তিনি এই নদীর তীরে পঞ্চরত্ন নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২২ ও ১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপ ম্যাপে একই সময়ে খননকৃত একটি দীঘির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মুসলিম সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বিজিত হওয়ার আগে অবধি নদিয়া বাংলার রাজধানী ছিল।
নদীয়া জেলা Nadia district পশ্চিম তীরে প্রাচীর বেষ্টিত একটি নগরীতে রাজপ্রাসাদ, হারেম, বাজার ও বাসস্থান ছিল। ধারণা করা হয় যে, তিব্বত, নেপাল ও ভুটানের সাথে নদিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। ১৮৬৯ সালে নদিয়া পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ইংরেজ আমলে অবিভক্ত নদিয়া জেলা Nadia district কৃষ্ণনগর সদর, রানাঘাট, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর, এই পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত ছিল। দেশভাগের পরে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর, এই তিনটি মহকুমা তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা হিসেবে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত হয়।
নদিয়া জেলার Nadia district প্রধান নদনদীগুলি হল ভাগীরথী, জলঙ্গী, ভৈরব, চূর্ণী, মাথাভাঙা ও ইছামতী ইত্যাদি। এই জেলায় ভাগীরথীর দৈর্ঘ্য ১৮৭ কিলোমিটার। ভাগীরথীর বদ্বীপ প্রবাহে শেষ উপনদী হিসেবে যুক্ত হয়েছে মাথাভাঙা নদী। এরপর ভৈরব নদ ভাগীরথী থেকে নির্গত হয়ে জলঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। আরও দক্ষিণে ভাগীরথী থেকে নির্গত হয়েছে জলঙ্গী নদী (দৈর্ঘ্য ২০৬ কিলোমিটার)। এই অংশ বর্তমানে পলি পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। জলঙ্গী নদী উত্তর-পশ্চিমাংশে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ-পশ্চিম মুখে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর জেলার মাঝখান দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়ে নবদ্বীপের নিকট ভাগীরথী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
ভৈরব নদ বর্তমানে মৃতপ্রায়। মাথাভাঙা (দৈর্ঘ্য ১৯ কিলোমিটার) উপনদীটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। পশ্চিম শাখাটি চূর্ণী (দৈর্ঘ্য ৫৩ কিলোমিটার) নামে পশ্চিমে ও পূর্ব শাখাটি ইছামতী (দৈর্ঘ্য ৬৮ কিলোমিটার) নামে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে। নদিয়া জেলার নদীগুলি বারবার দিক ও গতি পরিবর্তন করে। বন্যা এখানকার নদীগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য। নদীর প্রবাহ পরিবর্তনের ফলে জেলায় অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, জলাভূমি ও বিল গড়ে উঠেছে।
নদিয়া জেলা Nadia district ২২°৫৩’ ও ২৪°১১’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০৯’ ও ৮৮°৪৮’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। কর্কটক্রান্তি রেখা এই জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে পূর্বদিকে মাজদিয়ার সামান্য উত্তর দিয়ে পশ্চিমে চাপড়া, নবিননগর, মধুপুর, কৃষ্ণনগরের উত্তরে– ঘূর্নি, ঘূর্ণি গোডাউণ, কালিদহ, পাণিনালা, হরনগর, আনন্দনগর, ভক্তনগর, হাঁসাডাঙ্গা-বনগ্রাম, চৌগাছা, মায়াকোল, বাহাদুরপুরের উপর দিয়ে চলে গেছে। সেজন্য তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি (বা শীতকালে কম) থাকে এই সব জায়গা গুলিতে। এই জেলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে মুর্শিদাবাদ জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা, পশ্চিমে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলা এবং পূর্বে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা অবস্থিত। নদিয়া জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় হিন্দু, যা মোট জনসংখ্যার ৭২.১৫%। এছাড়া অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইসলাম (২৬.৭৬%), খ্রিস্টান (০.৬৫%), শিখ (০.০২%), বৌদ্ধ (০.০১%), জৈন (০.০১)। এছাড়া অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী ০.৩৩% মানুষ ও বিবৃতি নেই এমন মানুষ ০.০৭%।
নদীয়া জেলা Nadia district মাত্র ১.২২ হেক্টর জমিতে অরণ্য বর্তমান, যা জেলার মোট ভৌগোলিক আয়তনের মাত্র ০.৩১ শতাংশ। নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরীতে বেথুয়াডহরী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এই জেলায় একমাত্র অভয়ারণ্য যেখানে শাল গাছ ও মেহগনি গাছ গাছের অরণ্যে হরিণ দেখা যায়। এছাড়া কৃষ্ণনগরের চার কিলোমিটার উত্তরে বাহাদুরপুর অরণ্যে প্রচুর অর্জুন, সেগুন ইত্যাদি গাছ দেখা যায়। রয়েছে রানাঘাটের ঠিক পূর্ব পাশেই (দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার) পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধীনস্থ ৩০০ বিঘা জমির উপরে বিশাল ফরেস্ট। যা কিনা দেবগ্রাম ফরেস্ট নামেই বহুল পরিচিত। জারুল, সেগুন, হিজল, বাঁশ গাছ সহ অন্যান্য চিরহরিৎ বৃক্ষে ভরপুর । জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে দুটি বড় পুকুর । একটি নলপুকুর এবং অপরটি পদ্মপুকুর নামে পরিচিত । এই বনাঞ্চলগুলি ছাড়াও জেলায় মনুষ্যরোপিত উদ্ভিদ যথা শাল, শিশু গাছ, গামার গাছ, তৃণ, শিমুল গাছ, নিম গাছ, অর্জুন গাছ, বাবলা গাছ, জাম গাছ, দেবদারু গাছ ইত্যাদিও দেখা যায়।
নদীয়া জেলা বিধানসভা করিমপুর, তেহট্ট, পলাশিপাড়া,- কালীগঞ্জ, – নাকাশিপাড়া, – চাপড়া, – কৃষ্ণনগর উত্তর, – নবদ্বীপ, – কৃষ্ণনগর দক্ষিণ ,- শান্তিপুর, – রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, – কৃষ্ণগঞ্জ, – রানাঘাট উত্তর-পূর্ব,- রানাঘাট দক্ষিণ, – চাকদহ, – কল্যাণী, – হরিণঘাটা।
নদীয়া পুরসভা কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, রাণাঘাট, শান্তিপুর, চাকদহ,
নদীয়া ব্লক চাকদা, চাপড়া, হাঁসখালি, হরিণঘাটা, কালিগঞ্জ, করিমপুর-৷, করিমপুর-II, কৃষ্ণগঞ্জ, কৃষ্ণনগর-৷, কৃষ্ণনগর-II, নবদ্বীপ, নাকাশিপাড়া, রানাঘাট-I, রানাঘাট-II, শান্তিপুর, তেহট্ট-৷, তেহট্ট-II
কৃষ্ণনগর মহকুমা কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার একটি মহকুমা। এই মহকুমা কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ পুরসভা এবং সাতটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর-১, কৃষ্ণনগর-২, নবদ্বীপ ও কৃষ্ণগঞ্জ) নিয়ে গঠিত। এই সাতটি ব্লকে ৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ছয়টি সেন্সাস টাউন বর্তমান। মহকুমার সদর কৃষ্ণনগর।
কালীগঞ্জ ব্লক কালীগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বড়চাঁদঘর, হাটগাছা, মীরা-১, পালিতবাগিয়া, দেবগ্রাম, জুরানপুর, মীরা-২, পানিঘাটা, ফরিদপুর, কালীগঞ্জ, পলাশী-১, রাজারামপুর ঘোড়াইক্ষেত্র, গোবরা, মাটিয়ারি ও পলাশী-২। এই ব্লকে কোনো শহরাঞ্চল নেই। ব্লকটি কালীগঞ্জ থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর দেবগ্রাম।
নাকাশিপাড়া ব্লক নাকাশিপাড়া ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বেথুয়াডহরি, দহরি-১, বিল্বগ্রাম, ধর্মদা, মুড়াগাছা, বেথুয়াডহরি-২, বীরপুর-১, দোগাছিয়া, নাকাশিপাড়া, বিক্রমপুর, বীরপুর-২, হরনগর, পাতিকাবাড়ি, বিলকুমারী, ধনঞ্জয়পুর ও মাঝেরগ্রাম। এই ব্লকের শহরাঞ্চল জগদানন্দপুর ও ক্ষিদিরপুর সেন্সাস টাউন দুটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি নাকাশিপাড়া থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর বেথুয়াডহরী।
চাপড়া ব্লক চাপড়া ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এর প্রধান কেন্দ্র চাপড়া। এগুলি হল: আলফা, চাপড়া-২, হৃদয়পুর, পিপড়াগাছি, বাগবেড়িয়া, হাতিশালা-১, কলিঙ্গ, বৃত্তিহুদা, হাতিশালা-২, মহতপুর, চাপড়া-১, হাটখোলা ও মহেশপুর। এই ব্লকে কোনো শহরাঞ্চল নেই। ব্লকটি চাপড়া থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর বাঙালঝি।
কৃষ্ণনগর-১ ব্লক কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: আসাননগর, ভাতজঙলা, দিগনগর, জোয়ানিয়া, ভালুকা, ভীমপুর, দোগাছি, পোড়াগাছা, ভাণ্ডারখোলা, চকদিলনগর, দায়পাড়া ও রুইপুকুর। এই ব্লকের শহরাঞ্চল বারুইহুদা সেন্সাস টাউনটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি কৃষ্ণনগর থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর কৃষ্ণনগর রোড।
কৃষ্ণনগর-২ ব্লক কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বেলপুকুর, ধুবুলিয়া-২, নোয়াপাড়া-২, সাধনপাড়া-২, ধুবুলিয়া-১, নোয়াপাড়া-১ ও সাধনপাড়া-১। এই ব্লকে কোনো শহরাঞ্চল নেই। ব্লকটি ধুবুলিয়া তদন্ত কেন্দ্র থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর ধুবুলিয়া।
নবদ্বীপ ব্লক নবদ্বীপ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বাবলারি, মহীশূরা, মায়াপুর বামনপুকুর-২, চারমাজদিয়া, চারব্রহ্মানগর, মাজদিয়া পানশিলা, মায়াপুর বামনপুকুর-১, স্বরূপগঞ্জ ও ফকিরডাঙা ঘোলাপাড়া। এই ব্লকের শহরাঞ্চল বাবলারি দেওয়ানগঞ্জ, চার মাজদিয়া ও চার ব্রহ্মানগর সেন্সাস টাউন তিনটি নিয়ে গঠিত। ব্লকটি নবদ্বীপ থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর মহেশগঞ্জ।
কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: ভজনঘাট টুঙ্গি, জয়ঘাটা, মাটিয়ারি বানপুর, তালদহ মাজদিয়া, গোবিন্দপুরে, কৃষ্ণগঞ্জ ও শিবনিবাস। এই ব্লকে কোনো শহরাঞ্চল নেই। ব্লকটি কৃষ্ণগঞ্জ থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর কৃষ্ণগঞ্জ।
শান্তিপুর ব্লক আরবন্দী- ১, আরবান্দি-২ , বাবলা, বাগানচরা , বেলগোরিয়া- ১ , বেলগোরিয়া-২ , গয়েশপুর, হরিপুর , নাবলা।
রানাঘাট-১ ব্লক আনুলিয়া, বারাসাত, হাবিবপুর, কালিনারায়ণপুর-পাহাড়পুর, খন্ডরা, খিসমা, নাও পাড়া মাসুন্দা, পায়রাডাঙ্গা, রামনগর-১, রামনগর-২, তারাপুর।
রানাঘাট-২ ব্লক আইসমলী, বদবাগী, বালিয়া ডাঙ্গা, চকদেবগ্রাম, চাকসারিসাডাঙ্গা, চিনাপুকুরিয়া, ইরুলি, খড়গডাঙ্গা, মোল্লাবাড়িয়া, মন্ডলপুকুরিয়া, পূর্ব পুঠখালী, পূর্বনগর, রাখালগাছি, সরিষাডাঙ্গা, উত্তরখাসপুকুর।
তেহট্ট মহকুমা করিমপুর-১ ব্লক করিমপুর-১ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হলহরেকৃষ্ণপুর, জামশেরপুর, করিমপুর-২, পিপুলবেড়িয়া, হোগলবেড়িয়া, করিপুর-১, মধুগড়ি ও শিকারপুর। ব্লকের একমাত্র নগরাঞ্চলটি হল করিমপুর সেন্সাস টাউন। ব্লকটি হোগলবেড়িয়া, করিমপুর ও মুরুটিয়া থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর শিকারপুর।
করিমপুর-২ ব্লক করিমপুর-২ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল ঢোরাদহ-১, মারুতিয়া, নারায়ণপুর-২, রহমতপুর, ঢোরাদহ-২, নন্দনপুর, নটিডাঙা-১, দিঘল কান্দি, নারায়ণপুর-১ ও নটিডাঙা-২। এই ব্লকে কোনো নগরাঞ্চল নেই। ব্লকটি থানারপাড়া, করিমপুর ও মুরুতিয়া থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর রহমতপুর।
তেহট্ট-১ ব্লক তেহট্ট-১ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল বেতাই-১, ছিটকা, পাথরঘাটা-১, শ্যামনগর, বেতাই-২, কানাইনগর, পাথরঘাটা-২, তেহট্ট, চাঁদেরঘাট, নাতনা, রঘুনাথপুর। এই ব্লকে কোনো নগরাঞ্চল নেই। ব্লকটি তেহট্ট থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর তেহট্ট।
তেহট্ট-২ ব্লক তেহট্ট-২ ব্লকের গ্রামীণ এলাকা সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল বার্নিয়া(নতুন বার্নিয়া), হাঁসপুকুরিয়া, পলসুন্ডা-১, সাহেবনগর-২, গোপীনাথপুর, পলাশীপাড়া ও পলসুন্ডা-২।এই ব্লকে কোনো নগরাঞ্চল নেই। ব্লকটি তেহট্ট ও পলাশীপাড়া থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর পলাশীপাড়া।
কল্যাণী মহকুমা নদিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক মহকুমা। মহকুমাটির মোট আয়তন ৫২৬.৫৭ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী কল্যাণী মহকুমার মোট জনসংখ্যা হল ৮,৯১,৫৬৩ জন। মোট জনসংখ্যার ২৩.২৭ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ এলাকাতে এবং ৭৬.৭৩ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করেন। এই মহকুমার সদর দপ্তর কল্যাণী শহরে অবস্থিত। কল্যাণী মহকুমা ৩ টি থানা নিয়ে গঠিত। মহকুমার পূর্ব সীমান্তে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমা, দক্ষিণ সীমান্তে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত সদর মহকুমা ও ব্যারাকপুর মহকুমা, পশ্চিম সীমান্তে হুগলী জেলার চুঁচুড়া মহকুমা এবং উত্তর সীমান্তে নদীয়া জেলার রাণাঘাট মহকুমা অবস্থিত।
মহকুমায় ৩ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট ২৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে:
কল্যাণী ব্লক ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলি হল- চান্দুরিয়া ২, সরাটি, মদনপুর ১, মদনপুর ২, শিমুরালি, সগুনা এবং কাঁচড়াপাড়া।
চাকদহ ব্লক ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।এগুলি হল- চান্দুরিয়া ১, শিলিন্দা ১, শিলিন্দা ২, হিংনাড়া, দেউলি, দুবরা, ঘেটুগাছি, তাতলা ১, তাতলা ২ এবং রাউতাড়ি।
হরিণঘাট ব্লক ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত।এগুলি হল- বেরোহি –১, হরিণঘাটা –১, কাষ্টডাঙ্গা -২, নগরউখরা –১, বেরোহি –২, হরিণঘাটা –২, মোল্লাবেলিয়ার, ফতেপুর, কাষ্টডাঙ্গা -২ এবং নগরউখরা -১
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব কবি কৃত্তিবাস ওঝা – শ্রী চৈতন্যদেব – কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ – রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ — তারাশঙ্কর তর্করত্ন – মদনমোহন তর্কালঙ্কার – দীনবন্ধু মিত্র – রাণী রাসমণি – বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী – কর্নেল সুরেশ বিশ্বাস – অক্ষয়কুমার মৈত্রে – দ্বিজেন্দ্রলাল রায় – দীনেন্দ্রকুমার রায় – হরিদাস দে – চঞ্চল কুমার মজুমদার – দিগম্বর বিশ্বাস – বিশ্বনাথ সর্দার – অনন্তহরি মিত্র – বসন্ত বিশ্বাস – হেমন্তকুমার সরকার – বীণা দাস – শরৎকুমার রায় – করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় – চার্লস জিমেলিন – ভক্তিবিনোদ ঠাকুর – যতীন্দ্রমোহন বাগচী – হেমচন্দ্র বাগচী – মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক – সরলাবালা সরকার – কৃষ্ণরাম ভট্টাচাৰ্য – অসীমকান্তি দত্তরায় – সুধীর চক্রবর্তী – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
নদীয়ার বর্তমান নাম কি? নদিয়া জেলা – ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সাময়িকভাবে এই জেলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন দিন বাদে ১৮ আগস্ট কিয়দংশ বাদে নদিয়া পুনরায় ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলা তার বর্তমান রূপটি লাভ করে। ১৯৪৭ সালে সাময়িকভাবে জেলার নামকরণ নবদ্বীপ করা হলেও অনতিবিলম্বেই সেই নামকরণ বাতিল হয়।
নদীয়া কি জন্য বিখ্যাত? শ্রী চৈতন্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত ভগবান কৃষ্ণের উপাসনা, জেলায় অনেক উদযাপনের ফলে। এর মধ্যে রয়েছে রথযাত্রা, দোলযাত্রা, ঝুলন যাত্রা, রাস যাত্রা, গোষ্ঠাষ্টমী এবং জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণনগরের ‘বড়দোল’ নদীয়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
নদীয়া জেলার ব্লক কয়টি ও কি কি? প্রশাসনিক সুবিধার জন্য নদীয়া জেলাকে চারটি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়েছে – কৃষ্ণনগর সদর, রানাঘাট, কল্যাণী এবং তেহট্ট। নদীয়া জেলার ভৌগোলিক সীমানা পূর্বে বাংলাদেশ, পশ্চিমে বর্ধমান ও হুগলি জেলা, উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে মুর্শিদাবাদ জেলা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে উত্তর চব্বিশ পরগনা নিয়ে গঠিত। নদীয়া জেলার ব্লক ১৮ টি
নদীয়া জেলার রাজধানীর নাম কি? জেলা সম্পর্কে ঐতিহ্যবাহী শহর কৃষ্ণনগর হল জেলার সদর দফতর। এর মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য।
নদিয়া জেলায় কয়টি নদী আছে? List of rivers of Nadia এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত নদীয়া জেলার নদীগুলির একটি তালিকা। জেলায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ নদী রয়েছে: জলঙ্গী নদী। হুগলি নদী।
নদিয়া জেলার পুলিশ কয়টি? জেলাটি চারটি মহকুমা নিয়ে গঠিত: কৃষ্ণনগর সদর, কল্যাণী, রানাঘাট এবং তেহাট্টা।
নদীয়া জেলায় পৌরসভা কয়টি? নদীয়ায় মোট ১১ টি পৌরসভা রয়েছে।
কৃষ্ণনগর থানা কয়টি? কৃষ্ণনগর সদর মহকুমায় 8টি থানা , 7টি সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক, 7টি পঞ্চায়েত সমিতি, 77টি গ্রাম পঞ্চায়েত, 534টি মৌজা, 487টি অধ্যুষিত গ্রাম ২টি পৌরসভা এবং ১৬ টি সেন্সাস টাউন রয়েছে।
নদীয়া জেলায় কয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে? ওভারভিউ। নদীয়া জেলা পঞ্চায়েত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি গ্রামীণ স্থানীয় সংস্থা। নদীয়া জেলা পঞ্চায়েতের অধিক্ষেত্রের অধীনে মোট ১৮ টি পঞ্চায়েত সমিতি, ১৮৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১৩৫২ টি গ্রাম রয়েছে।