মুর্শিদাবাদ জেলা Murshidabad ভারতের নবমতম জনবহুল জেলা মুর্শিদাবাদ জেলা। এই জেলার সদর দপ্তর এই জেলার অন্যতম শহর বহরমপুরে অবস্থিত।৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম একটি জনবহুল জেলা। বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খানের নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলার নামকরণ হয়েছে। এটি নবাবী আমলে বাংলার প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।অষ্টাদশ শতকের আগে এই শহরের নাম ছিল মুকসুদাবাদ আবার কেউ কেউ বলে মুকসুসাবাদ ।
তবে এই নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিক দের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। প্রচলিত আছে বাদশাহ্ হোসেন শাহে্র সময় মুখ্সুদন দাস নামে এক নানকপন্থী বাদশাহ্র রোগ নিরাময় করে এ স্থানটি নোখরাজ রুপে পায় পরে তার নাম অনুসারে স্থানটির নাম হয় মুখসুদাবাদ। রিয়াজুস সালাতিন এর মতে মুখসুদ খাঁ নামে এক প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম অনুসারে স্থানটির নাম- মুখসুদাবাদ। এইরকম নানান কথা প্রচলিত আছে মুর্শিদাবাদ জেলার নামকরন নিয়ে। তবে যায় হোক মুশিদকুলী খাঁ ১৭০৩ সালে তার দেওয়ানী দপ্তর ঢাকা থেকে পুরোনো মুখ্সুদাবাদ বা মুখসুসাবাদ এ নিয়ে আসে। ১৭০৪ সালে তিনি নায়েব নাজিম পদে নিয়োগ হন ও তার নাম অনুসারে মুখসুদাবাদের নাম রাখেন মুর্শিদাবাদ জেলা।
খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে গৌড় রাজা শশাঙ্কের রাজধানী মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসূবর্ণ অঞ্চলে ছিল। বাংলার অন্যতম পাল রাজা মহিপালের রাজধানী শহরও সম্ভবত এই জেলায় ছিল।আঠারো শতকের গোড়ার দিকে এই জেলাটির বর্তমান নাম এবং আঠারো শতকের শেষার্ধে এর বর্তমান আকারটি পাওয়া যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধের পরে বহু বছর ধরে এখান থেকে রাজত্ব করেছিল।ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি ১৯১২ সালে ব্রজ ভূষণ গুপ্তের সভাপতিত্বে গঠিত হয়।
১৫ ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতীয় স্বাধীনতা অধিনিয়ম ১৯৪৭ কার্যকর হয় এবং পরবর্তী দুই দিনের জন্য মুর্শিদাবাদ জেলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল। হুগলি নদীটি পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরে নিশ্চিত করার জন্য ১৯৪৭ সালের ১৭ই আগস্ট র্যাডক্লিফ কমিশন চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের সময় মুর্শিদাবাদকে ভারতীয় অধিসংঘে স্থানান্তরিত করে।এই জেলার উত্তরে মালদহ জেলা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা, দক্ষিণে নদীয়া জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে পূর্ব বর্ধমান জেলা, পশ্চিমে বীরভূম জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলা অবস্থিত ৷মুর্শিদাবাদ জেলার লোকসভা কেন্দ্র গুলি হল জঙ্গিপুর, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। বিধানসভা কেন্দ্র হল ফারাক্কা, শামশেরগঞ্জ, ভরতপুর, বেলডাঙা, বহরমপুর, নবগ্রাম, খড়গ্রাম, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ,হরিহরপাড়া, নওদা, সুতি,মুর্শিদাবাদ, সাগরদিঘি, রানিনগর, বারোয়ান, কান্দি, লালগোলা, ভগবানগোলা, ডোমকল, জলঙ্গী, রেজিনগর, আজিমগঞ্জ। মুর্শিদাবাদ জেলা পাঁচটি মহকুমা নিয়ে গঠিত। প্রতিটি মহকুমায় একাধিক সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে যা আবার গ্রামীণ এলাকা এবং শহরে বিভক্ত। মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৮টি পৌরসভা ও ২৬টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে।
বহরমপুর সদর মহকুমার পৌরসভা দুটি হল বহরমপুর ও বেলডাঙ্গা পৌরসভা। ব্লকগুলি হল বহরমপুর, বেলডাঙ্গা- ১, বেলডাঙ্গা- ২, হরিহরপাড়া ও নওদা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক।ডোমকল মহকুমার পৌরসভা হল ডোমকল পৌরসভা । ব্লকগুলি হল ডোমকল, রাণীনগর- ১, রাণীনগর- ২ ও জলঙ্গী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। লালবাগ মহকুমার পৌরসভা হল মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা। ব্লকগুলি মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা- ১, ভগবানগোলা- ২, লালগোলা ও নবগ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। কান্দি মহকুমার পৌরসভা হল কান্দি পৌরসভা। ব্লকগুলি হল কান্দি, খড়গ্রাম, বড়ঞা, ভরতপুর- ১ ও ভারতপুর- ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। জঙ্গীপুর মহকুমার পৌরসভা হল জঙ্গীপুর ও ধুলিয়ান পৌরসভা । ব্লক গুলি হল সাগরদিঘী, রঘুনাথগঞ্জ-১, রঘুনাথগঞ্জ- ২, সুতি- ১, সুতি-২, সামশেরগঞ্জ ও ফারাক্কা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ।
মুর্শিদাবাদ Murshidabad জেলা পুলিশ পাঁচটি সার্কেলে বিভক্ত। প্রতিটি সার্কেল আবার কয়েকটি করে থানা নিয়ে গঠিত। যেমন বহরমপুর সদর সার্কেলের অন্তর্গত থানা গুলি হল বহরমপুর, বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, নওদা,রেজিনগর,দৌলতাবাদ ও শক্তিপুর থানা এবং বহরমপুর মহিলা থানা। লালবাগ সার্কেলের অন্তর্গত থানাগুলি হল Murshidabad মুর্শিদাবাদ, লালগোলা, ভগবানগোলা, জিয়াগঞ্জ, রানীতলা ও নবগ্রাম থানা। ডোমকল সার্কেলের অন্তর্গত থানাগুলি হল জলঙ্গী, ইসলামপুর , ডোমকল, ও রাণীনগর থানা।কান্দি সার্কেলের অন্তর্গত থানাগুলি হল খড়গ্রাম, ভরতপুর , কান্দি, বড়ঞা, ও সালার থানা। জঙ্গীপুর সার্কেলের অন্তর্গত থানাগুলি হল সাগরদিঘী, ও ফরাক্কা থানা রঘুনাথগঞ্জ, সূতি, সামসেরগঞ্জ জঙ্গিপুর মহিলা থানা।
উত্তরবঙ্গের শিক্ষাচর্চা বেশ উন্নত। সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়। Murshidabad মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েও রয়েছে অসংখ্য স্কুল, কলেজ। মুর্শিদাবাদ জেলার উল্লেখ্যযোগ্য স্কুলগুলি হল বেলডাঙ্গা C.R.G.S উচ্চ বিদ্যালয় (H.S.), বেলডাঙ্গা শ্রীকান্তবতী পি.এস.এস. শিক্ষানিকেতন (H.S.), রঘুনাথগঞ্জ সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল, সারগাছিআহিরান হেমাঙ্গিনী বিদ্যায়তন স্কুল (H.S.), আহিরান, সুতি প্রথম, মুর্শিদাবাদ জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দির (H.S.), জিয়াগঞ্জ বালিগ্রাম (রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় 10+2) রঘুনাথগঞ্জ মুর্শিদাবাদ।
মুর্শিদাবাদ জেলার উল্লেখ্যযোগ্য কিছু কলেজ হল দুমকল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, বেলডাঙ্গা সেওনারায়ণ রামেশ্বর ফতেপুরিয়া কলেজ ( বেলডাঙ্গা), সরকারি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি (বেরহামপুর) , ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট Murshidabad মুর্শিদাবাদ , জাকির হোসেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, হাফানিয়া, সুতি দ্বিতীয় , কল্যাণীর জঙ্গিপুর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় , কান্দি রাজ কলেজ , মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র জঙ্গিপুর মুর্শিদাবাদ । এছাড়াও মুর্শিদাবাদে রয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
দর্শনীয় স্থান Murshidabad মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক স্থান, যেগুলি জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।সেগুলি হল
খোশবাগ: Murshidabad মুশির্দাবাদে ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরের প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত বাংলার নবাবদের কবরস্থানের বাগান হল এই খোশবাগ । খোশবাগে আফশার রাজবংশের বাংলার নবাব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কবরস্থান, অন্যদিকে জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে নাজাফি রাজবংশের মীর জাফর থেকে শুরু করে পরবর্তী নবাব ও তাদের পরিবারের কবর রয়েছে। খোশবাগ নবাব সিরাজউদ্দৌলা, তার স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নেসা, নবাব আলীবর্দি খান ও তার মায়ের কবরস্থান । হাজারদুয়ারির নিকটেই ভাগীরথী নদীতে বোটে চড়ে আপনি খোশবাগে যেতে পারেন। কবরস্থানের বাগানটি বাংলার প্রথম নবাব নবাব আলীবর্দি খান নির্মাণ করেন। এটি প্রাচীরযুক্ত বেড়া নিয়ে গঠিত।
হাজারদুয়ারি : মুর্শিদাবাদ Murshidabad জেলার অন্যতম আকর্ষণ হাজারদুয়ারি , শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি। ১৮৩৭ সালে নবাব নাজিম হুমায়ুন খাঁয়ের জন্য ৮০ ফুট উঁচু তিনতলা গম্বুজওয়ালা এই প্রাসাদটি নির্মিত হয়। আদপে ৯০০টি দরজা হলেও আরও ১০০টি কৃত্রিম দরজা রয়েছে প্রাসাদে। তাই নাম হাজারদুয়ারি।বর্তমানে এই প্রাসাদটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। নবাবদের ব্যবহৃত প্রায় ২৭০০টি অস্ত্রশস্ত্র। এই বিশাল রাজপ্রাসাদের দ্বিতলে দেখা যায় রুপোর সিংহাসন যেটি ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী মহারানি ভিক্টোরিয়ার দেওয়া উপহার। ১৬১টি ঝাড়যুক্ত বিশাল ঝাড়বাতির নীচে সিংহাসনে বসে নবাব দরবার পরিচালনা করতেন। মন্ত্রণাকক্ষের লুকোচুরি আয়না, দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত বিশ্ববিখ্যাত সব ঘড়ি, টিশিয়ান, রাফায়েল, মার্শাল, ভ্যান ডাইক প্রমুখ ইউরোপীয় শিল্পীর অয়েল পেন্টিং, প্রাচীন সব পাথরের মূর্তি হাজারদুয়ারিকে বিখ্যাত করে তুলেছে। ত্রিতলে আছে নবাবী আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন সোনা দিয়ে মোড়া কোরাণ শরিফ, আইন-ই-আকবরির পান্ডুলিপি , অমূল্য পুঁথিপত্র সহ অসংখ্য বইয়ের সম্ভার। ভারতের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইতিহাসেরও কিছু বিশিষ্ট নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে এই মিউজিয়ামে।
বড়া ইমামবরা: হাজারদুয়ারি প্রাসাদের অপর পাশেই অবস্থিত মুসলমান ধর্মস্থান বড়া ইমামবরা , মূলতঃ শিয়া মুসলমানদের জন্য। এই ইমামবরার দৈর্ঘ্য ৬৮০ ফুট। মহরমের সময় এখানে প্রচুর জনসমাগম এবং পরব পালন হয়। যদিও মুসলমান ধর্মস্থান, মহরমের সময়ে এই স্থান সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত।
মোতিঝিল: মোতিঝিল সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগমের পতি নওয়াজেশ মহম্মদ নির্মাণ করান। এই স্থান কোম্পানি বাগ নামেও পরিচিত। এই ঝিলটি দেখতে ঘোড়ান নালের মত। এই মোতিঝিলের প্রাসাদে ওয়ারেন হেস্টিংস কিছুদিন বসবাস করেন। বর্তমানে পশ্চিম্বং সরকার মোটিঝিলের কাছেই একটি উদ্যান তৈরি করেছেন।
কাটরা মসজিদ: নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ ১৭২৩ সালে এই মসজিদ নির্মাণ করান। এই মসজিদের ৫টি গম্বুজ ছিল, কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে দুইটি গম্বুজ ভেঙ্গে পড়ে। এই মসজিদে একসময়ে একসাথে ২,০০০ ব্যাক্তি প্রার্থনা করতে পারেন। কাটরা মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আগে একটি তোপখানা ছিল। এই স্থানে এখনো জাহান কোষা নামে একটি বড় কামান আছে।
নাসিপুর প্রাসাদ: রাজা কীর্তিচন্দ্র বাহাদুর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এই প্রাসাদ নির্মাণ করান। প্রাসাদের উদ্যানে রাম ও লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির রয়েছে। কাছেই মোহনদাসের আশ্রম এবং জাফরগঞ্জ দেউড়ি রয়েছে। জগৎ শেঠের কুঠি এই স্থানের সন্নিকটেই। এছাড়াও মুশির্দাবাদে কাঠগোলা বাগানবাড়ী , কাশিমবাজার রাজবাড়ী মুশির্দাবাদে দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে অন্যতম।স্বাধিনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই জেলার নাম। Murshidabad মুর্শিদাবাদ জেলাতে স্বদেশী আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন বেশ সক্রিয় ছিল। শিক্ষা সংস্কৃতিতেও বেশ এগিয়ে এই জেলা। এছাড়াও এই জেলায় জন্মগ্রহন করেছেন বেশকিছু বিশিষ্ঠ ব্যেক্তিত্ব।এই জেলার প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার, বিশিষ্ট বাঙ্গালী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিখ্যাত সাহিত্যিক মণীশ ঘটক , খ্যাতনামা কীর্তন-গায়ক ফটিক চৌধুরী (১২৭৭ – ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ), বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং, বিখ্যাত গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল , রেডিও জকি, উপস্থাপক, অভিনেতা মীর আফসার আলী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজনীতিবিদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক। গোবিন্দদাস, বাংলা বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য এর একজন বিখ্যাত পদকর্তা।
মুর্শিদাবাদ জেলার মহকুমা কি কি? এই জেলাটি শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হয়েছে, যদিও এই জেলার সাধারণ অর্থনৈতিক প্রত্নতাত্ত্বিক ধারা এখনও বিকশিত হয়নি। এই জেলায় পাঁচটি মহকুমা রয়েছে যেমন বেরহামপুর, জঙ্গিপুর, কান্দি, লালবাগ এবং ডোমকল।
মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়টি গ্রাম আছে? জেলায় ৭টি পৌরসভা রয়েছে। ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, কান্দি, বেলডাঙ্গা এবং বেরহামপুর। জেলার 26টি সিডি ব্লকে মোট 2166টি গ্রামে বিতরণ করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে কয়টি ব্লক আছে ও কি কি? মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি, সদর বহরমপুর, ডোমকল, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর এই পাঁচটি মহকুমা নিয়ে গঠিত জেলা। ২২টি বিধানসভা ও ২৬টি ব্লক আছে মুর্শিদাবাদ জেলার।
মুর্শিদাবাদের দর্শনীয় স্থানগুলি কি কি? মুর্শিদাবাদের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে কয়েকটি হল মুর্শিদাবাদ জেলা জাদুঘর, কাটগোলা প্রাসাদ, নিজামত দুর্গ, জাহান কোষা কামান, ইমামবাড়া, হাজারদুয়ারি প্রাসাদ এবং কাটরা মসজিদ।
মুর্শিদাবাদ জনসংখ্যা কত? মুর্শিদাবাদ জেলার আয়তনের 6% এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার 7.78% নিয়ে গঠিত। 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে, মোট জনসংখ্যা হল 71.02 লক্ষ এবং আশা করা হচ্ছে 70 লক্ষ অতিক্রম করবে এবং সাক্ষরতার হার হল 63.88%৷
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস