Jagannath Mandir পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরটি পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের তৃতীয় ত্রিকলিঙ্গ রাজা অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা ১২ শতকে নির্মাণ করেছিলেন, যা তাঁর বংশধর নরসিংহদেব দ্বিতীয়ের কেন্দুপাটনা তাম্র-ফলকের শিলালিপি দ্বারা প্রস্তাবিত। অনন্তবর্মণ মূলত একজন শৈব ছিলেন এবং ১১১২ খ্রিস্টাব্দে উৎকল অঞ্চল (যেখানে মন্দিরটি অবস্থিত) জয় করার পর তিনি বৈষ্ণব হয়েছিলেন। ১১৩৪ – ১১৩৫ খ্রিস্টাব্দের একটি শিলালিপি মন্দিরে তাঁর দানকে লিপিবদ্ধ করে। অতএব, মন্দির নির্মাণ অবশ্যই ১১১২ খ্রিস্টাব্দের পরে শুরু হয়েছিল।
মন্দিরের ইতিহাসের একটি গল্প অনুসারে, এটি দ্বিতীয় অনঙ্গভীম দেব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: বিভিন্ন ইতিহাসে বিভিন্নভাবে ১১৯৬, ১১৯৭, ১২০৫, ১২১৬ বা ১২২৬ হিসাবে নির্মাণের বছর উল্লেখ করা হয়েছে। এটি থেকে বোঝা যায় যে মন্দিরের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল বা মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছিল অনন্তবর্মণের পুত্র অনঙ্গভীমার রাজত্বকালে। পূর্ব গঙ্গা রাজবংশ এবং সূর্যবংশী (গজপতি) রাজবংশ সহ পরবর্তী রাজাদের শাসনামলে মন্দির কমপ্লেক্সটি আরও বিকশিত হয়েছিল।
পুরীর কথা বলতেই সকলের মনে আসে Jagannath Mandir প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দির ও পুরীর বিশাল রথযাত্রা উৎসব | চার ধামের মধ্যে পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির অবশ্যই অন্যতম | লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে | প্রভুর দর্শনের জন্য দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত | পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরটি ওড়িশার পুরী পূর্ব সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত | ১০৭৮ সালে তৈরি হয় এই মন্দির | প্রতি বছর পুরীতে উজ্জাপন করা হয় বিশাল রথযাত্রা | এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু অজানা কথা | প্রতি ১২ বছর অন্তর জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর নতুন মূর্তি তৈরি করা হয় পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে | যাকে বলা হয় ‘নব কলেবর’ | নিম কাঠ ব্যবহার করে গড়া হয় জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর মূর্তি | কিন্তু, বিস্ময়ের ব্যাপার হল, পুরনো মূর্তি ভাসান দেওয়া হয় না | নতুন মূর্তির নীচেই মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয় | যা পরে মিশে যায় মাটির সঙ্গেই |
Jagannath Mandir পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকাটি লাগানো থাকে তা সবসময় হাওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে | মূল মন্দিরের চূড়ায় যে সুদর্শন চক্র রয়েছে, তা যে দিক থেকেই দেখা হোক না কেন মনে হবে তা দর্শকের দিকেই | কথিত আছে প্রায় ২০০০ বছর আগে এই সুদর্শন চক্র মন্দিরের চূড়ায় লাগানো হয়েছিল | কিন্তু, কী ভাবে তা মন্দির চূড়ায় লাগানো হয় তা এখনো অজানা | প্রভুর মন্দিরের দিয়ে উপর কোনও পাখি বা বিমান উড়তে পারে না | মন্দিরের ছায়া মন্দিরের সবচেয়ে বড় প্রাসাদটির ছায়া দিনের যে কোনও সময় অদৃশ্য থাকে | মন্দির চূড়ায় যে ধ্বজা রয়েছে তা প্রতিদিন ভোরে লাগানো হয় | এবং সন্ধাবেলা খুলে ফেলা হয়। কথিত, গত ১৮০০ বছর ধরে এই নিয়ম চলে আসছে |পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে সিংহদ্বারের মন্দিরে প্রবেশ করার পরেই প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের আওয়াজ আর শুনতে পাওয়া যায়না | কিন্তু ওই সিঁড়িটি টপকে গেলে আবার সমুদ্রের শব্দ শুনতে পাওয়া যায় | সন্ধেবেলায় এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় |
Jagannath Mandir পুরীর মন্দিরের সিংহ দরজাতে সাইন বোর্ডে লেখা আছে, সনাতন হিন্দু ব্যতীত কারও প্রবেশ নিষেধ | সেই কারণেই ১৯৮৪ তো স্বয়ং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকেও পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি | কারণ তাঁর স্বামী ফিরোজ গান্ধী ছিলেন পার্শী | পাশাপাশি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামও পুরীর মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাননি | এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, দিনে ৩০ হাজারেরও বেশি ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে | জানা যায়, জগন্নাথ দেবের মন্দিরে দুটি ‘রত্ন ভাণ্ডার’ রয়েছে— ভিতর ভাণ্ডার ও বাহার ভাণ্ডার | যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে সাজানোর জন্য বাহার ভাণ্ডারের অলংকারই ব্যবহৃত হয় বলে | মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের মোট সাতটি কক্ষ রয়েছে | কিন্তু তার বেশির ভাগই বন্ধ থাকে | ১৯৮৪ সালে, মাত্র তিনটি কক্ষ খোলা হয়েছিল পরিদর্শনের জন্য | ২০১৬ সালে ফের খোলা হয়েছিল | মাত্র ১০ জন ব্যক্তি ঢুকেছিলেন | সেই সময়ে মন্দিরে কোনও ভক্তকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি |
মন্দিরের বিবরণ, মাদালা পাঞ্জি রেকর্ড করে যে পুরীর জগন্নাথ মন্দির আঠারো বার আক্রমণ ও লুণ্ঠন করা হয়েছে। ১৫৬৮ সালে বাংলার কররানী রাজা সুলায়মান খান কররানীর সেনাপতি কালাপাহাড় পুরীর জগন্নাথ মন্দির আক্রমণ করেন। সেই সময় ১৫৬৮ থেকে ১৫৭৭ সাল পর্যন্ত মোট ৯ বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা। ১৬০১ সালে তত্কালীন বাংলার নবাবের কম্যান্ডার মিরজা খুররাম হামলা চালায় পুরীর মন্দিরে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি রক্ষা করতে মূর্তিগুলিকে পুরী থেকে ১৩-১৪ কিলোমিটার দূরে কপিলেশ্বরের পঞ্চমুখী গোসানি মন্দিরে সরিয়ে নিয়ে যান। সেই বছর রথযাত্রা বন্ধ থাকে। ১৬০৭ সালে ওডিশার মুঘল সুবেদার কাসিম খান জুইনি হামলা চালান জগন্নাথ মন্দিরে।
মূর্তিগুলিকে বাঁচাতে লুকিয়ে খুড়গার গোপালা জিউ মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই বছরও রথযাত্রা হয় না। ১৬১১ সালেও বন্ধ থাকে রথযাত্রা। আকবরের সভাষদ টোডর মলের ছেলে কল্যাণ মল ওডিশার সুবেদার হয়ে এসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালান। আক্রমণের খবর আগেই পেয়ে মূর্তিগুলি চিল্কা হৃদের মাহিসানসিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬১৭ সালে আবার জগন্নাথ মন্দিরের হামলা চালায় কল্যাণঞ মল। তবে তার আসার আগেই তিনটি মূর্তি চিল্কা হৃদের গুরুবাইগড়ে সরিয়ে ফেলা হয়। ১৬২১ এবং ১৬২২ এই দুই বছর বন্ধ থাকে রথযাত্রা। মুসলিম সুবেদার আহমেদ বেগ মন্দিরে হামলা করায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি বানাপুরের আন্ধারিয়াগড়ে সরিয়ে ফেলা হয়। ১৬৯২ সালে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মন্দিরটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন যতক্ষণ না তিনি এটি পুনরায় খুলতে চান অন্যথায় এটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, স্থানীয় মুঘল কর্মকর্তারা যারা কাজটি সম্পাদন করতে এসেছিলেন তাদের স্থানীয়দের দ্বারা অনুরোধ করা হয়েছিল এবং মন্দিরটি কেবল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ওডিশার মুঘল কম্যান্ডার একরাম খান মন্দিরে হামলা পরিকল্পনা করেন। হামলার খবর আগে থেকে পেয়ে পুরোহিতরা খুড়দার বিমলা মন্দিরে লুকিয়ে রাখেন। সেখান থেকে মূর্তিগুলি চিলিকা হৃদের কাছে গাডাকোকালা গ্রামে সরিয়ে ফেলা হয়। সেখান থেকে আবার বানাপুরের বড়া হনতুয়াদা গ্রামে সরানো হয় মূর্তিগুলি। এই কারণে ১৩ বছর সেবার রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ১৭০৭ সালে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর এটি পুনরায় চালু করা হয়। ১৭৩১ সালে মাসুলিপত্তনমের নবাব মহম্মদ তাকি খান মন্দিরে হামলা চালান। চিলিকা হৃদের কঙ্কনাশেখারি কুড়ায় সেবার লুকিয়ে রাখা হয় মূর্তিগুলি। সেখান থেকে মূর্তিগুলি নিয়ে যাওয়া হয় খুড়দার হরিশ্বর মণ্ডপে। সেখান থেকে আবার গঞ্জাম জেলার চিকিলি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় মূর্তিগুলি। সেই বছরও অনুষ্ঠিত হয়নি পুরীর রথযাত্রা। জগন্নাথের প্রধান উত্সব | আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু করে শুক্লা একাদশীর দিন পূর্ণযাত্রা বা উল্টোরথ অনুষ্ঠিত হয় |পুরীতে রথযাত্রা সময় সবার প্রথম বলভদ্রের তালধ্বজ চলতে শুরু করে | এর পরে সুভদ্রার পদ্মধ্বজ এবং সব শেষে জগন্নাথের নন্দীঘোষের পথ চলা শুরু হয় |
পুরীর মন্দির কে নির্মাণ করেছিলেন? শ্রী জগন্নাথ মন্দির, জগন্নাথকে উৎসর্গ করা একটি উল্লেখযোগ্য হিন্দু মন্দির, বিষ্ণুর একটি রূপ, ওড়িশা রাজ্যের ভারতের পূর্ব উপকূলে পুরীতে অবস্থিত। অবন্তীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রাথমিকভাবে মূল মন্দির নির্মাণ করেন।
জগন্নাথ মন্দিরের ছায়া কেন? মন্দিরের কোনো ছায়া নেই খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত মন্দিরটির কোনো ছায়া নেই। যদিও কিছু লোক বিশ্বাস করে যে এটি একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনা, অন্যরা বলে যে মন্দিরটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি কোনও ছায়া ফেলে না ।
জগন্নাথ দেবের মূর্তি কি বাড়িতে রাখা যায়? আপনি এটিকে আপনার পূজা ঘরে রাখতে পারেন এবং প্রভুর উপাসনার ধাপ অনুসারে পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন বা আপনি এটিকে অন্য কোনও জায়গায় রাখতে পারেন এবং যখন আপনি যান তখন এটি পূজা করতে পারেন। প্রতিমাকে কোন কোনায় না রেখে কেন্দ্রীভূত স্থানে রাখাই সর্বদা উত্তম।
জগন্নাথ পুরীর কাহিনী কি? Jagannath Temple, Puri জগন্নাথ মন্দিরের উৎপত্তি সম্পর্কিত ঐতিহ্যগত কাহিনী হল যে দ্বাপর যুগের শেষের দিকে জগন্নাথের আসল মূর্তিটি একটি বটগাছের কাছে, তীরের কাছে ইন্দ্রনীল মণি বা নীল মণির আকারে উদ্ভাসিত হয়েছিল ।
জগন্নাথ মন্দিরে পাখিরা উড়ে না কেন? এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাজা নিজেই যখন মন্দির রক্ষা করছেন, তখন কে তাকে অতিক্রম করার সাহস করবে। অন্যদিকে, গবেষকদের মতে, মন্দিরটি ইতিমধ্যেই প্রায় 1000 ফুট উঁচু এবং সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়ায় বাতাস পাখিদের ওড়ার জন্য খুব বেশি শক্তিশালী এবং তাই পাখিরা এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া এড়িয়ে যায়।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কোন দেবতা আছে? মন্দিরটি দেবতা বিষ্ণুর একটি বিশেষ রূপকে উৎসর্গ করা হয়েছে, যাকে বলা হয় জগন্নাথ (মহাবিশ্বের প্রভু)। তার সাদা রঙের ভাই, বলভদ্র এবং তাদের হলুদ রঙের বোন, সুভদ্রার সাথে দেবতার ছবিগুলি নিয়মিতভাবে সুগন্ধি মার্গোসা গাছের লগগুলি থেকে খোদাই করা হয় যা আনুষ্ঠানিকভাবে কাটা হয়েছে।
জগন্নাথদেবকে কি কি দিতে হবে? বাষ্পে রান্না করা খাবারটি প্রথমে ভগবান জগন্নাথকে এবং তারপরে দেবী বিমলাকে নিবেদন করা হয় যার পরে এটি মহাপ্রসাদে পরিণত হয়। কোনো বৈষম্য ছাড়াই এই মহাপ্রসাদ সব জাতি-ধর্মের মানুষ অবাধে গ্রহণ করে। প্রদত্ত আইটেমগুলির মধ্যে রয়েছে রান্না করা ভাত, ডাল, সবজির তরকারি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, কেক ইত্যাদি।
জগন্নাথ দেবের পুত্র কে? সে তার প্রেমে পড়েছিল। এরপর তিনি তাকে বিয়ে করেন এবং তাদের সালাবেগা নামে একটি ছেলে হয়। শালাবেগা ছিল তাদের একমাত্র ছেলে । ভগবান জগন্নাথের প্রতি অত্যন্ত ঋণী বোধ করে, বিস্মিত ও রোমাঞ্চিত হয়ে তিনি ভগবান জগন্নাথকে দেখতে পুরীতে যান।
শিখরা কি জগন্নাথ মন্দিরে যেতে পারবে? Sri Jagannath Darshan শুধুমাত্র ভারতীয় বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখদের মন্দিরের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় এবং বিদেশী নয় । গুরু নানক, যিনি শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় প্রথম শিখ গুরু জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন, প্রথমে 1508 সালে এবং পরে 1510 সালে। মন্দিরে কোন বিদেশী প্রবেশের অনুমতি নেই।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির কত বছরের পুরনো? বর্তমান মন্দিরটি খ্রিস্টীয় 12 শতকে নির্মিত হয়েছিল মন্দিরের কাঠামোটি চমৎকার খোদাই এবং ভাস্কর্যের মনোরম অংশে পূর্ণ এবং এটি কলিঙ্গ শৈলীর স্থাপত্যের একটি চমৎকার নমুনা। এটি এখন ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
জগন্নাথ মন্দির কেন বিখ্যাত? এটি ভারতের সবচেয়ে পবিত্র মন্দির । একটি প্রাণবন্ত এবং জীবন্ত মন্দির, এটি ওড়িশা রাজ্যের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বহু শতাব্দী ধরে, এটি অনেক রাজা, বিজয়ী, ধর্মীয় শিক্ষক, ভক্ত এবং তীর্থযাত্রীদের আকৃষ্ট করেছে।
জগন্নাথ মন্দিরে কোন সবজি ব্যবহার করা হয় না? আলু এবং টমেটোর মতো বিদেশী খাবার মহাপ্রসাদ তৈরি করতে দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, বিটরুট, ভুট্টা, সবুজ মটর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, ধনে, মটরশুটি, শালগম, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ, সবুজ মটরশুটি, করলা, ভদ্রমহিলা এবং শসাও মহাপ্রসাদ তৈরির সময় ব্যবহার করা হয় না।
জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন কতজন লোক যায়? মন্দির পরিদর্শনকারীর মোট সংখ্যা প্রতিদিন 2,000 থেকে 2,00,000 লোকের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। অলৌকিকভাবে, প্রতিদিন প্রস্তুত করা পরসাদাম কখনও নষ্ট হয় না, এমনকি একটি কামড়ও নয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।