dimer curry recipe in bengali এই বিশ্বে বিভিন্ন প্রাণীর ডিম খাওয়া যায়। তবে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল মুরগির ডিম। পূর্ব ভারতের ইতিহাসে খ্রিস্টের জন্মের ৩ হাজার ২০০ বছর আগেও বনমোরগকে পোষ মানানোর কথা জানা যায়। মিশর এবং চিনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ১ হাজার ৪০০ বছর আগে থেকেই মানুষ পোষা মুরগির ডিম খেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। আর ইউরোপের গৃহস্থালিতে মোরগ-মুরগি পালনের ইতিহাসও খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ বছরের পুরনো। প্রসঙ্গত,মুরগির ডিম ছাড়াও হাঁস, কচ্ছপ, কোয়েল, রাজহাঁসেরও ডিম খাওয়ার কথা শোনা যায়।
আর কিছু থাক না থাক গেরস্থ বাড়ির ফ্রিজে কয়েকটা ডিম সব সময়েই থাকবে। অঝোর বৃষ্টিতে বাজারে যেতে না পারলে, বাড়িতে হঠাৎ কোনও অতিথি এলে বাঁচিয়ে দেয় এই ডিমই। কিন্তু সকালে ডিমের পোচ, দুপুরে ডিমের ঝোল খাওয়ার পর রাতেও সেই এক বস্তু খেতে মোটেই ভাল লাগে না। তার পর ভ্যাপসা গরমও রয়েছে। খুব তেলমশলা দেওয়া রগরগে খাবার রান্না করতেও ইচ্ছে করছে না। স্বাদবদল করতে হালকা করে ডিমের মৌলি কিন্তু রেঁধে ফেলা যেতেই পারে। কী করে করবেন?
আজ একটা অসাধারণ “dimer curry recipe in bengali” ডিম কারি রান্না শেখাবো আপনাদের। একেবারে ধাবা স্টাইলের ডিম কারি। উত্তর ভারতে, বিশেষ করে পঞ্জাবের ধাবাগুলিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে যে ডিম কারি তৈরি করা হয়, তাকেই বলে ‘ধাবা স্টাইল আন্ডা কারি’। একদিন এই রান্নাটা করে দেখুন, রোজ খেতে ইচ্ছে করবে।
উপকরণ ডিম: ৩টি দুধ: ১ কাপ ময়দা: ২ টেবিল চামচ সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ রসুন বাটা: ১ চা চামচ আদা বাটা: আধ চা চামচ শুকনো লঙ্কা: ২টি পাঁচফোড়ন: আধ চা চামচ নুন: স্বাদমতো কারি পাতা: কয়েকটি
পদ্ধতি ১) প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। ২) এ বার একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তার মধ্যে শুকনো লঙ্কা এবং পাঁচফোড়ন দিন। ৩) কিছু ক্ষণ পর কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিন। ৪) তার পর দিন সাদা ময়দা। ৫) সমস্ত কিছু একসঙ্গে ভাজা হয়ে গেলে দুধ ঢেলে দিন। প্রয়োজন মতো নুন এবং সামান্য চিনি দিতে হবে এই সময়ে। ৬) দুধ ফুটে ঘন হয়ে এলে সেদ্ধ ডিম অর্ধেক করে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। ৭) আরও কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে উপর থেকে কারি পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি ডিমের মৌলি।