মহারাষ্ট্রের বিধানসভা Maharashtra Assembly Election ভোটে ১৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে হায়দরাবাদের সাংসদ Asaduddin Owaisi আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)। এর মধ্যে চারটি আসন রাজধানী মুম্বইয়ের। বাকিগুলি মূলত পশ্চিম মহারাষ্ট্রে অওরঙ্গাবাদ ডিভিশনে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওয়েইসির দল জোট গড়েছিল বাবাসাহেব অম্বেডকরের পৌত্র, প্রভাবশালী দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকরের দল ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’ (ভিবিএ)-র সঙ্গে। অওরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন মিম প্রার্থী। এর পর সে বছরের বিধানসভা ভোটে ৪৪টি আসনে লড়ে দু’টিতে জিতেছিল Asaduddin Owaisi ওয়েইসির দল।
পেয়েছিল প্রায় দেড় শতাংশ ভোট। কিন্তু এ বার লোকসভা ভোটে ভিবিএ-স সঙ্গে সমঝোতা করে তিনটি আসনে লড়েও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে ওয়েইসিকে। অওরঙ্গাবাদ আসনটি শিন্ডসেনার কাছে খুইয়েছে তাঁর দল। এই পরিস্থিতিতে গত বারের বিধানসভা ভোটের তুলনায় মিম এক-তৃতীয়াংশ আসনে লড়ায় বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র তিন শরিক— কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি (এসপি) কিছুটা সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রে প্রধান বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আবঘাড়ী’তে (এমভিএ) কোনও ফাটল নেই! জোটের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, মতানৈক্যের কথা স্বীকার করে জানাল কংগ্রেস। শুধু তা-ই নয়, তারা আরও জানাল, মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনেই এমভিএ-র মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। বিধানসভায় আসন বণ্টন নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটে টানাপড়েন চলছিল। আসন চূড়ান্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে হয় কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। তবে তাতেও জট কাটেনি।
অন্তিম প্রহরে ‘ইন্ডিয়া’র তিন শরিক— কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি (এসপি)-র মধ্যে চূড়ান্ত হয় আসনরফা। তার পরই বুধবার কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির পর্যবেক্ষক রমেশ চেন্নিথলা জানান, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে প্রস্তুত। মঙ্গলবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওযার শেষ দিন। তবে অন্তিমপর্বে এসে দেখা যায়, ১১ আসন নিয়ে মতোবিরোধ রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’র তিন শরিকের মধ্যে। সেই নিয়ে রমেশ জানান, জোটের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছিল। কিন্তু জোট অটুট।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও জোটে সকলের সঙ্গে সমান আচরণ করি।’’ তার পরই শাসক জোটকে নিশানা করেন রমেশ। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা একে অপরের কোটা থেকে লড়াই করছে। বিজেপি নেতারাই শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে শিবির) এবং এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) প্রতীকে লড়ছেন। শিন্ডে এবং অজিতের ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ একই সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র হয়ে মুম্বইয়ে প্রচারে যাচ্ছেন রাহুল।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০২, উদ্ধবসেনা ৯৬ এবং এনসিপি(এসপি) ৮৬টি আসনে লড়বে। বাকি চারটি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কৃষক সংগঠন পিডব্লিউপি-কে দু’টি করে ছাড়া হবে। এ ছাড়া, বড় তিন শরিক চাইলে নিজেদের কোটা থেকে অন্য ছোট দলগুলিকে আসন ছাড়তে পারে।
আরো পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস জেলা শহর লোকসভা বিধানসভা পৌরসভা ব্লক থানা গ্রাম পঞ্চায়েত কালীপূজা যোগ ব্যায়াম পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড জ্যোতিষশাস্ত্র ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজকের রাশিফল চানক্যের নীতি বাংলাদেশ লক্ষ্মী পূজা টোটকা রেসিপি সম্পর্ক একাদশী ব্রত পড়াশোনা খবর ফ্যাশন টিপস